শুনেছি, সেই আদিকাল থেকেই
কিছু বিনম্র কোমল সংযমী মানুষের মুখ থেকে
এই যে ঘণ সবুজ বোতলের কালো পদার্থটি
সেটি সর্বরোগের মহাঔষধ
আর রোগ
সেতো মমতাময়ীর শাড়ির আঁচলে আশ্রয়ের ছুতা
জ্বরের ঘোরে শৈশবের ডাক
কারো কোলে মাথা রাখার নিঃশঙ্ক অধিকার
তবুও আজ বিছানায় বিছানায় তীব্র প্রতিবাদ
আমরা সবাই স্বাধীন
একক এবং অনন্য
ঘুরপাক খাওয়া বিভ্রান্তির চির অবসানের বিপ্লব
ঘরের কোণায় কোণায়
স্পর্শের প্রতিটি দরোজায়
চেকলিস্ট চেকলিস্ট
কোনকিছু নেবোনা আমি
কিংবা দেবোও না
যা নেই মাপমত, খাপমত
আহ! শরীর
কি বিমানবিক শরীর
ফ্রেমে পিক্সেলে স্পর্শে
উত্তীর্ণ না হলে
আজ সবই ব্যর্থ
সবই ফিরে যাবে মর্গে
এরপর নোংরা ট্রাকে
ফেলে দেয়া হবে
একা কিংবা একসাথে
তবুও তুমি মরার জন্যই এসেছো
মানে অমরত্ব অর্জনের আগ পর্যন্ত
তবে মনে রেখো সেও বড়লোকের ভাগ
এই কবিতা, সেও তলানীর অভিশাপ
যখন মরে মরে পুঁজ হবে
হবে রিসাইকেল্ড
তখনো তোমার গন্তব্য নির্ধারিত
হয় প্রকৃতি না হয় সংস্কৃতি
বিভৎস! তাই না?
একটা ডিসটোপিয়ার দুঃস্বপ্নের চাইতে
এই এই বর্তমানকে ঘিরে
একটু নিরাপদে আপস-রফা-চূক্তি
মন্দ কি বল
তবুও বিষ্মিত কি হবে
যখন জানবে
তোমার সমস্ত সিদ্ধান্ত পূর্ব নির্ধারিত
তোমার সমস্ত পদক্ষেপ পূর্ব পরিকল্পিত
তখন তুমি কোন ঈশ্বরের কাছে যাবে?
বিত্ত, আয়না, শরীর নাকি আদি পুস্তক
তখন তুমি কার কোলে যাবে?
টাকা, হলিডে, নাকি মাছ-মাংস
নিশ্চয়ই!
এ পথও রয়েছে খোলা
যখন তুমি বলবে
কাউকেই চাইনা আমি
আমার হরমোন
আমার পাললিক মন
সব, সবই কবর দিয়েছি
একেএকে
পাশবিক দৃঢ়তায়
যখন থেকে জেনেছি
সবই এক বানানো মদ্য
সার্ভ হচ্ছে
বোতলে, গ্লাসে
কিংবা রংজ্বলা রেঁস্তোরায়
ফলে, ক্রেতা তুমি নও কখনোই
তুমিই আসলে পণ্য
না জানলে, জেনে নাও
তুমি বেঁচে চলেছো
সবুজ বোতলে ভ'রে দেয়া স্বপ্নের জন্য।
শরৎ চৌধুরী, ঢাকা।