ঐ শব্দকুঞ্জন, যা ছিল তোমার পায়ে পায়ে
যার ডাকনাম ছিল নুপূর
সে, বিগত বিকেলে
সন্ধ্যার আলোতে
চলে গেছে দূরে
শুনেছি গাজীপুরের জঙ্গলে পাওয়া গেছে
তাকে বহনকারীর লাশ
নিথর
উহু, হত্যা করার সুযোগ সে দেয়নি
কাউকে
এমনকি নুপূর
সেও বিস্রস্ত পোশাকে হেলেদুলে হাঁটেনি
বেশ একটা সিনেমেটিক
আবহাওয়ায়
উড়ে গিয়েছিল নুপূরের ওড়না
ভোঁ ভোঁ ভোঁ
ব্যাস এতটুকুই
এরপর সব নিশ্চুপ
কোন ধস্তাধস্তির সিন ছিল না
অনেকেই জানতো না
তবে সে সন্ধ্যার ঠিক পরের রাতটুকু ছিল
জোড়া চাঁদের
মানে যখন
সূর্য্য আর চাঁদের প্রভাব ছিল সমান
অবশেষে খাঁটি সাম্যবাদ
মানুষতো চাঁদের প্রেমের পড়ে
আর সূর্যের উপাসনা করে
মানুষ তো চির বৈষম্য বিবাগী
কিন্তু সেইসব শব্দরা যারা লুকিয়ে থাকে
অন্যসব চিৎকারের আড়ালে
অন্যসব নৈঃশব্দের আড়ালে
তারা নেকড়ের মত সেদিন
ঠিক মাইকেল জ্যাকসনের থ্রীলারের মত
ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছিল
এরপর তাদের বড় বড় নখ দিয়ে
নপূরের বহনকারীকে
আঁচড়ে আঁচড়ে খুলে ফেলেছিল
রক্তে-গন্ধে-মাংসে
সম্পূর্ণ রঙ্গীন
কেউ এগিয়ে আসেনি
কোনো সিনেমেটিক ফ্রেমও নয়
তোমার পেলব পায়ের
কড়া-পরা পাতার নীচে
দেবে গিয়েছিল একখন্ড রূপার পাত
কারুকাজ করা
শাঁখারী বাজার থেকে শখ করে কেনা
অথচ কেউ তাকে
একবিন্দু হত্যা করেনি
অথচ কেউ
একবিন্দু অভিনয় করেনি
তবুও একটা নাটক হয়েছিল
রক্তে-গন্ধে-মাংসে
সম্পূর্ণ রঙ্গীন
এরপর মর্গ হয়েছিল
এরপর কান্না হয়েছিল
এরপর পত্রিকার কোণায়
খবরও হয়েছিল
অথচ কেউ তাকে হত্যা করেনি
সে জৈষ্ঠী পূর্ণিমার রাতে শুধু শুনতে চেয়েছিল
অর্কেষ্ট্রা
ফুল ও শেকড় বিষয়ক
রক্তে-গন্ধে-মাংসে
নুপূর রঙ্গীন।