কিংবা একটা সময় থাকে ভীষণ অসহনীয়। কিংবা সে থাকে সর্বত্র ছড়িয়ে, মানে তুমি যেখানে আছো। কিন্তু তুমি তো কোথাও নেই আসলে। কেননা মহাবিশ্ব ক্রমগতিশীল। ফলে তোমার থাকা মুখ্যত এক ভ্রম। সেই ভ্রমের অনেক রং। নানান সম্র্পকের জালে অনন্ত মিশ্রণ। আর শুধু সেই রংগুলোর কথাই তুমি বল যেগুলো তুমি দেখতে পারো বুঝতে পারো। অথবা অন্যরা যা বলে এসেছে সুন্দর।
ফলে তুমি যা বোঝো তা সাপেক্ষ বোঝ। তুমি যা কর তা সাপেক্ষ কর।
একটা সমাধানহীন ক্রমাগতপনা তোমাকে একটুও বিচারে না এনে অনন্তকাল চলমান। আর তাই এই অমোচনীয় উপেক্ষা তুমি মোকাবিলা কর সাপেক্ষ দিয়ে। মানে তোমার মতই আক্রান্ত যারা। কারণ তারাও তোমার নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ পরপারে নিজ থেকেই তোমারই দলে।
ফলে দল বলে তুমি যা বোঝ তা আসলে ব্যক্তিসমূহের অনুপেক্ষনীয় কোলাহল। আর তাই কোলাহলে কোন প্রকৃত ব্যক্তি নেই। আলাদা কোন মুখ নেই। এমনকি নেই মুখোশ কেননা অপর ব্যতীত তোমার কোন মুখোশ নেই। মুখোশ ভীষণ সাপেক্ষ-প্রবণ।
ঠিক তখনি তুমি বোঝো কেন মহামাঠের মহামিলনে কোন সমষ্টি নেই। আছে সাঁরিবেধে দাড়িয়ে থাকা একপাল তুমি। তোমাদের হাজিরা খাতা।
তোমাদের ইতিহাস। অথচ তোমার কোন স্মৃতি নেই। শিশু ধর্ষক, মাতৃখুনী ও জ্ঞানপাপীগণ সবাই একইসাথে অপেক্ষমান। যদিও বিচারের আগে তুমি আলাদা করে কাউকেই চিনতে পারো না। কেননা জ্ঞান এমনকি সেটাও ভীষণ স্মৃতি নির্ভর।
আর তাই প্রতিক্রিয়াই সর্বোত্তম জ্ঞান যা মানুষের আছে। আর তাই প্রতিক্রীয়াশীলতার জমাট অন্ধকারই তোমার প্রথম আলো উৎস। কিন্তু তখনো তুমি সাপেক্ষের দাস। তুমি বলে তুমি যে আছো তা তুমি তখনি বোঝ, যখন তুমি বোঝ আসলে তুমি নেই। আমরা, মানে তুমি আমি। বিষয়টা একটু সামষ্টিক করেই বলি বরং, আসলে নেই।
ফলে কারাগারের বোধ গেঁথে আছে তোমার রক্তে, মানের আমাদের সবার। জানোতো রক্ত হল ইতিহাস। জগতে যা কিছু হয়েছে তার সবটুকু খোদাই করা আছে তোমাদের, মানে আমাদেরই রক্তে।
সেই রক্ত, যা আমরা অনুদান করি, কেটে-ছিড়ে বের করি তা সবই হল তথ্যের আদান প্রদান। রক্তের মত তথ্য প্রবণ স্বয়ং ইতিহাসও নয়। রক্ত তো সেই ইতিহাসের বই যার পুরোটা তুমি কখনোই পড়তে পারবে না, যার পুরোটা তুমি কখনোই লিখতে পারবে না।
আর তাই আমি যখন রক্ত পান করি। তখন আমি আসলে ইতিহাস পাঠ করি। আমাদের ইতিহাস। আমাদের বিস্মৃতির ইতিহাস।