১। ঢাকা শহরে হঠাত করে রিক্সা চলাকের সংখ্যা কমে গেছে , ফলে রিক্সা পাওয়া কিছুটা সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে । গতকাল এক চালককে কারন জিজ্ঞাসা করায় সে বিষয়টা বুঝিয়ে বলল, হালকা জ্ঞান অর্জন ও হইল-
* নির্বাচনের কারনে অনেকেই গ্রামে চলে গেছে । ভোট শেষে উদযাপন করে তারা ফিরবে । [বাংগালী আসলেই নির্বাচনমুখী জাতি । যে নির্বাচনে তার দুইপয়সার লাভ ক্ষতি নাই সেটার জন্যও সে কাজ কাম ফেলে বাড়ি চলে গেছে , নিশ্চিতভাবেই গমচোর আর কাবিখার টাকা মেরে খাওয়া এই সব চেয়ারম্যানরা ঢাকার এইসব রিক্সাচলককে তুচ্ছতাচ্ছিল্যই করবে সবসময়]
* দ্বিতীয় কারন হচ্ছে এখন ধান কাটার মৌসুম । প্রতিদিন ১৫ জন মানুষ একসাথে ৫-৬ বিঘা জমির ধান কাটতে পারে। সেখান থেকে আনুমানিক ১০০ মন ধান পাওয়া যায় । যার থেকে ১৫মন ধান এই শ্রমিকরা পেয়ে থাকে ।অর্থের পরিবর্তে ধান বিনিময় প্রথা । এইভাবে কেউ যদি ২০-২২ দিন কাজ করে তাহলে ২০-২২ মন ধান সে পেয়ে যায়,যা দিয়ে তার পরিবারের সারা বছরের চাল হয়ে যায় মোটামুটি । ।
২। নদীর মাছ শুনলেই বাংগালীর জিভে জল চলে আসে, বিশেষ করে যারা আমার মত মাছ ব্যাপক পছন্দ করে । গতকাল বাজারে দেখলাম ৫-৬ কেজি সাইজের বেশ কিছু রুই কাতল বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়ীর কাছে যেগুলার কানে দঁড়ি দিয়ে বাঁধা, দেখলে মনে হবে একটা একটা করে কস্ট করে ধরে আনা হয়েছে । যারা গ্রামে যাতায়াত করেন তারা হয়ত দেখবেন গ্রামে বড় মাছ কিভাবে নিয়ে যাওয়া হয় । ডাকাডাকির কারনে অভ্যাস এবং আগ্রহ বশতঃ জিজ্ঞাসা করলাম কোথাকার মাছ । উত্তর পেলাম নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের মাছ । মাছ দেখে কেন জানি মানে হলনা যে এটা নদী বা হাওড়ের । পরিচিত মাছওয়ালার কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম এইগুলা আসলে কোথাকার । সে জানাল এইগুলা রাজশাহী থেকে আনা চাষের মাছ, নতুন পদ্ধতি ফলো করে এখন কানে রশি লাগাইয়া নদীর মাছ বলে বিক্রি হয় , আরো বলল নদীর মাছ যে বিক্রি করবে সে অত ডাকাডাকি করবেনা, আপনিই যাবেন তার কাছে ।