গত মে মাসের শেষের দিকে আমরা মানে আমি আর আমার জামাই বিবাহ পরবর্তীকালীন ঘুরাফেরার অংশ হিসেবে ঘুরে আসলাম পাতায়া ও ব্যাংকক সিটি । এই ট্যুরটা বিয়ের গিফট ছিল আমার বড় ভাই এর পক্ষ থেকে আমাদের ২ জনকে। ঢাকা হলিডে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আমরা ৩ দিন ৪ রাত এর প্যাকেজ ট্যুরটা নিসিলাম। ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করতে আমাদের বেশ কিছুদিন লেগে যায়। আর যেহেতু এটাই আমাদের প্রথম দেশের বাইরে কোথাও যাওয়া তাই অনেক কিছুই আমাদের অজানা ছিল। যেমন সব কাগজ পত্র নিয়ে যেদিন ভিসা অফিসে গেলাম , গিয়ে শুনি বুকিং এর কাগজ ছাড়া ফিসা প্রসেসিং হবে না, স্বভাবতই আমাদের ধারণা ছিল আগে ভিসা পেলেই না তারপর টিকেট কাটা বা বুকিং। যাক বহু ঝামেলার পর অবশেষে ভিসা পেলাম। এদিকে আমার নতুন সরকারী চাকুরী ।বুয়েটে জয়েন করলাম ২৬ শে মে আর ট্রাভেল এজেন্ট এর মাধ্যমে অনেক আগেই টিকেট কাটা হয়ে গেসে ২৯ শে মে



আমদের ফ্লাইট ছিল ২৯ তারিখ রাত ২ টার দিকে । ইমিগ্রেশন পার হয়ে আমরা ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করতে লাগলাম । আমি এবং আমার জামাই ২ জনেই একটু ভীত আমরা যেই বেকুব প্রকৃতির , আল্লাহ জানে ঠিকঠাক মতন আবার দেশে ফিরে আসতে পারবতো





যাই হোক এয়ারপোর্ট এ নেমে আমরাতো চিন্তিত আমাদের যে নিতে আসবে তাকে আদৌ খুজে পাবতো



এরপর ঐ লোক আমাদের সুবর্নভূমি এয়ারপোর্ট থেকে নিয়া গেল পাতায়ার চনবুড়িতে । আমাদের হোটেল এর নাম ছিল ভাসায়া বিচ রিসোর্ট। হোটেলটা খুবিই সুন্দর ছিল ।খোলামেলা বিশাল জায়াগ জুড়ে আর সাথে সুইমিংপুল ও ।আমাদের রুম ছিল নিচতলায় , সামনেই বিশাল খোলা জায়গা ,সুইমিং পুল । আমরা প্রথমে ফ্রেশ হয়ে হোটেলটা ঘুরে দেখলাম। তারপর রেডি হয়ে বের হলাম ঘুরতে। আমাদের হোটেল এর পাশেই বিশাল বিচ আর ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টও । আমরা বের হয়েই সামনেই ট্যাক্সি পেয়ে গেলাম। গন্তব্য আন্ডার ওয়াটার ওর্য়াল্ড । যদিও হোটেল থেকে এর দূরত্ব খুব বেশি ছিলনা কিন্তু এখানে ট্যাক্সি ওয়ালারা ফিক্সরেট এ যায়। ২০০ বাথ (ওখানের কারেন্সী, বাংলাদেশি প্রায় আড়াই থেকে ৩ টাকা=১ বাথ) লাগল যেতে আসতেও ২০০ বাথ। ওখানের টিকেট ছিলা জন প্রতি ৩০০ বাথ করে। খুবই সুন্দর লাগল জায়গাটা বিশেষ করে জেলি ফিস এর এত সুন্দর রং বদলানো ।ওখান থেকে আবার হোটেল এ ব্যাক করে কাছেই এক ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট এ লাঞ্চ করলাম , একটু কস্টলি , জন প্রতি প্রায় ২০০-২৫০ বাথ করে লাগল। এরপর হোটেল এ এসে একটু জিরিয়ে বের হলাম আবার ঘুরতে । এবার হেটে হেটে অনেক কিছু দেখলাম ।রাস্তায় খালি বার আর স্পা এর দোকান । সুন্দর সুন্দর অনেক জুতা স্যান্ডেল পাওয়া যায় কিছু কিনলাম । তারপর বিচে ঘুরলাম ।বিকালে একটা থাই রেস্টুরেন্ট এ গিয়া পিজা খাইলাম , বুঝলাম এভাবে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট এ খেতে থাকলে টাকা সব একদিনেই ফুরায়ে যাবে।
এরপর আমরা গেলাম শপিং মলগুলা ঘুরতে। এখানে টুরিস্ট আসে বেশি দেখে জিনিস পত্র এর অনেক দাম । তাই খালি দেখেই মনের আশা মিটাতে হল

পরদিন সকালে এখানে ব্যুফে ব্রেকফাস্ট করলাম । ভালই অনেক আইটেম কিন্তু মিট সবই হল পিগএর


সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৫