somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

প্রসঙ্গ আওয়ামী রাজনীতিঃ প্রস্তাবনা.....

২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রসঙ্গ আওয়ামী রাজনীতিঃ প্রস্তাবনা.....

খুব লক্ষ্য করে দেখলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ- সার্জিস আলম- আইএসপিআর তিন দিকের বক্তব্যের শানেনজুল এবং সারমর্ম একই। একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। তবে সব আলোচনা পাবলিক করতে হয় না। সব সত্য সব সময় বলতে নেই। সব সত্যিই সব সময় মংগলজনক হয়না। ফ্যাসিবাদের পতন আমরা সবাই চেয়েছিলাম। আমার অনেক আওয়ামী লীগের বন্ধুরাও শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী কার্যকলাপে অসহ্য হয়ে একটা পরিবর্তন চেয়েছে। স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। এখন দেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই সময়ে আপনারা বাটপার পিনাকীর ফাঁদে পা দিয়ে সেনাপ্রধানের সততা নিয়ে, সেনাপ্রধানের আন্তরিকতা নিয়ে, সেনাবাহিনীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অবস্থা সৃষ্টি করেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও আপনারা বিতর্কের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। প্রফেসর ড. ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের দ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টা করছেন। আমি মনে করি, আপনারা সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছেন এবং দেশটা একটা বিপর্যের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত আওয়ামী রাজনীতি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত প্রস্তাবনা.....

(১) আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিবন্ধন এবং প্রতীক বাতিলের জন্য এবং বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সংসদে ভোটাভুটির মাধ্যমে নিষিদ্ধকরনের জন্য গনস্বাক্ষর অভিযান শুরু করা হোক।

(২) জুলাই শহীদদের পরিবারের ভিডিও রেকর্ডেড অভিমত, এরপর জুলাই আহতদের অভিমত এবং শেষধাপ সাধারন মানুষের গনস্বাক্ষর।

মনে করে দেখুন- ২০০৬ থেকে লীগের পেইড ছানাপোনারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গনস্বাক্ষর অভিযান শুরু করেছিলো। সেটা ৩৫ বছরের পুরনো ফৌজদারি অপরাধের জন্য।
আর জুলাই গণহত্যার অপরাধ চাক্ষুষ, রক্তাক্ত, বিভীষিকাময়। সুতরাং গনস্বাক্ষর অভিযান শুরু হোক ওদের প্রতীক এবং নাম নিষিদ্ধের জন্য।

রাজনীতি থেকে বুড়ো খোকাদের বিদায় নেয়া উচিত।
একজন রাজনৈতিক নেতা বলেছেন- "বিচার শেষে আওয়ামী লীগের যাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া যাবেনা, তাদের রাজনীতি করতে বাধা কোথায়।"

মনে করে দেখুন- ১৯৩০'র দশকে যারা জার্মানিতে নাজি পার্টির রাজনীতি করতো তাদের সেকেন্ড জেনারেশন, থার্ড জেনারেশন, ফোর্থ জেনারেশন জার্মানিতে আজও রাজনীতি করে। কিন্তু নাজি পার্টি নাম আর স্বস্তিকা চিহ্ন নিয়ে করতে পারেনা।
সেগুলো নিষিদ্ধ।

কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় সাজা না থাকলে, ঋণখেলাপী না হলে সে এমনিতেই নির্বাচন করতে পারবে।
তবে জুলাই গণহত্যার অপরাধী সংগঠন আওয়ামী লীগের নাম এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে করতে পারবেনা।

'রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ' বা 'গুড আওয়ামী লীগ' বলে কিছু নাই। আওয়ামী লীগ হইল গু। গু' র মধ্যে আবার রিফাইন্ড গু হয় না-কি! গু এর মধ্যে যারা রিফাইন্ড গু খোঁজে তারাও গু।
আওয়ামী লীগ একটা ভাইরাস।
এটা ট্রোজান হর্স।
এই ট্রোজান হর্সের পেটে সবসময় লুকিয়ে থাকে গণশত্রু আওয়ামী লীগ।

'It was well anticipated that General Waker might make an opinion to include a dummy Awami League in the election process."- উনি ওনার মন্তব্য করেছেন। এটা চাঞ্চল্যকর কোন কিছু না।
শেষ পর্যন্ত বল ইন্টারিম সরকার এবং দেশের সাধারন মানুষের কোর্টে। সবাই মিলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই গণশত্রুর সব সিম্বল এবং ইনসিগনিয়া নিষিদ্ধ করতে হবে।

চারদিকে অতি গবেষণা এবং বুদ্ধিজীবীতা কপচানো চলতেছে। এইসব বাচালতা বন্ধ করে গনস্বাক্ষর অভিযান শুরু করুন। সেখান থেকে একটা গনভোটের দিকে যাওয়া যাবে। কিংবা গনস্বাক্ষর অভিযানের ভিত্তিতে ওদের প্রতীক এবং নিবন্ধন বাতিল করতে হবে ইলেকশন কমিশন থেকে।
রক্তাক্ত জুলাই এর স্মৃতিগুলো মানুষকে পুনঃস্মরণ করাতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অদৃশ্য দোলনায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৩৮



ভোরের রোদ্র এসে ঘাসের শিশিরে মেঘের দেশে চলে যেতে বলে
শিশির মেঘের দেশে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঘাসের মাঝে ফিরে আসে-
বৃষ্টি হাসে শিশিরের কথায়। তাহলে আমরা দু’জন কেন প্রিয়?
এক জুটিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লায় দেছে!

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯



আল্লায় দেছে। কথাটার মানে হচ্ছে- আল্লাহ দিয়েছেন।
হ্যা আল্লাহ আমাদের সব দেন। এই দুনিয়ার মালিক আল্লাহ। আল্লাহ আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন শুধু মাত্র তার ইবাদত করার জন্য। কিন্তু মানুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনুস: এক নতুন স্টেটসম্যানের উত্থান

লিখেছেন মুনতাসির রাসেল, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ড. মুহাম্মদ ইউনুস ধীরে ধীরে রাজনীতির এক নতুন স্তরে পদার্পণ করছেন—একজন স্টেটসম্যান হিসেবে। তার রাজনৈতিক যাত্রা হয়তো এখনও পূর্ণতা পায়নি, তবে গতিপথ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তার প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে মেপে নেয়া,... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর কেমন হলো ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৮


প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এখনো চীন সফরে রয়েছেন। চীন সফর কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এক শ্রেনীর মানুষের মধ্যে ব্যাপক হাইপ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন সাসেক্সফুল সফর আর কোনো দলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×