প্রসঙ্গ আওয়ামী রাজনীতিঃ প্রস্তাবনা.....
খুব লক্ষ্য করে দেখলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ- সার্জিস আলম- আইএসপিআর তিন দিকের বক্তব্যের শানেনজুল এবং সারমর্ম একই। একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। তবে সব আলোচনা পাবলিক করতে হয় না। সব সত্য সব সময় বলতে নেই। সব সত্যিই সব সময় মংগলজনক হয়না। ফ্যাসিবাদের পতন আমরা সবাই চেয়েছিলাম। আমার অনেক আওয়ামী লীগের বন্ধুরাও শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী কার্যকলাপে অসহ্য হয়ে একটা পরিবর্তন চেয়েছে। স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। এখন দেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই সময়ে আপনারা বাটপার পিনাকীর ফাঁদে পা দিয়ে সেনাপ্রধানের সততা নিয়ে, সেনাপ্রধানের আন্তরিকতা নিয়ে, সেনাবাহিনীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অবস্থা সৃষ্টি করেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও আপনারা বিতর্কের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। প্রফেসর ড. ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের দ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টা করছেন। আমি মনে করি, আপনারা সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছেন এবং দেশটা একটা বিপর্যের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত আওয়ামী রাজনীতি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত প্রস্তাবনা.....
(১) আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিবন্ধন এবং প্রতীক বাতিলের জন্য এবং বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সংসদে ভোটাভুটির মাধ্যমে নিষিদ্ধকরনের জন্য গনস্বাক্ষর অভিযান শুরু করা হোক।
(২) জুলাই শহীদদের পরিবারের ভিডিও রেকর্ডেড অভিমত, এরপর জুলাই আহতদের অভিমত এবং শেষধাপ সাধারন মানুষের গনস্বাক্ষর।
মনে করে দেখুন- ২০০৬ থেকে লীগের পেইড ছানাপোনারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গনস্বাক্ষর অভিযান শুরু করেছিলো। সেটা ৩৫ বছরের পুরনো ফৌজদারি অপরাধের জন্য।
আর জুলাই গণহত্যার অপরাধ চাক্ষুষ, রক্তাক্ত, বিভীষিকাময়। সুতরাং গনস্বাক্ষর অভিযান শুরু হোক ওদের প্রতীক এবং নাম নিষিদ্ধের জন্য।
রাজনীতি থেকে বুড়ো খোকাদের বিদায় নেয়া উচিত।
একজন রাজনৈতিক নেতা বলেছেন- "বিচার শেষে আওয়ামী লীগের যাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া যাবেনা, তাদের রাজনীতি করতে বাধা কোথায়।"
মনে করে দেখুন- ১৯৩০'র দশকে যারা জার্মানিতে নাজি পার্টির রাজনীতি করতো তাদের সেকেন্ড জেনারেশন, থার্ড জেনারেশন, ফোর্থ জেনারেশন জার্মানিতে আজও রাজনীতি করে। কিন্তু নাজি পার্টি নাম আর স্বস্তিকা চিহ্ন নিয়ে করতে পারেনা।
সেগুলো নিষিদ্ধ।
কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় সাজা না থাকলে, ঋণখেলাপী না হলে সে এমনিতেই নির্বাচন করতে পারবে।
তবে জুলাই গণহত্যার অপরাধী সংগঠন আওয়ামী লীগের নাম এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে করতে পারবেনা।
'রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ' বা 'গুড আওয়ামী লীগ' বলে কিছু নাই। আওয়ামী লীগ হইল গু। গু' র মধ্যে আবার রিফাইন্ড গু হয় না-কি! গু এর মধ্যে যারা রিফাইন্ড গু খোঁজে তারাও গু।
আওয়ামী লীগ একটা ভাইরাস।
এটা ট্রোজান হর্স।
এই ট্রোজান হর্সের পেটে সবসময় লুকিয়ে থাকে গণশত্রু আওয়ামী লীগ।
'It was well anticipated that General Waker might make an opinion to include a dummy Awami League in the election process."- উনি ওনার মন্তব্য করেছেন। এটা চাঞ্চল্যকর কোন কিছু না।
শেষ পর্যন্ত বল ইন্টারিম সরকার এবং দেশের সাধারন মানুষের কোর্টে। সবাই মিলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই গণশত্রুর সব সিম্বল এবং ইনসিগনিয়া নিষিদ্ধ করতে হবে।
চারদিকে অতি গবেষণা এবং বুদ্ধিজীবীতা কপচানো চলতেছে। এইসব বাচালতা বন্ধ করে গনস্বাক্ষর অভিযান শুরু করুন। সেখান থেকে একটা গনভোটের দিকে যাওয়া যাবে। কিংবা গনস্বাক্ষর অভিযানের ভিত্তিতে ওদের প্রতীক এবং নিবন্ধন বাতিল করতে হবে ইলেকশন কমিশন থেকে।
রক্তাক্ত জুলাই এর স্মৃতিগুলো মানুষকে পুনঃস্মরণ করাতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৪