প্রিয় পাঠক, আমি একজন সাধারন নাগরিক। নিচের লেখাগুলো আমার ব্যাক্তিগত অভিমত। আপানাদের ভাল না লাগলে ক্ষমা করবেন।
জনগনের স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহনের মধ্যমে নির্বাচিত একটি নতুন সারকার কয়েক দিন আগে মাত্র ক্ষমতা নিয়েছে। সাধারন নাগরিক ছিল উতকন্ঠিত।
কি হবে না হবে এসব ভেবে। আমাদের সকল অতীত ইতিহাস ও জল্পনা-কল্পনার ইতি টেনে অর্নিবাচিত সরকার একটি র্নিবাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে শান্তিপূর্ন ভাবে। নতুন সরকারের কাছে আমাদের আশা অনেক। দেশকে নিয়ে যাবে অনেক দূর। দিনে দিনে মিটবে আমাদের সকল চাহিদাগুলো।
সরকারের পদক্ষেপগুলোও ছিল ইতিবাচক। মন্ত্রিপরিষদ গঠন, প্রসাশনকে ঢেলে সাজানো, দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে দরার চেষ্টা, প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করা থেকে শুরু করে দিনবদলের প্রতিটি পদক্ষেপই এগিয়ে চলছিল সুন্দর গতিতে।
এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেল নানা প্রতিবন্ধকতা। যেমন- হল দখল, ক্ষমতা অপব্যবহার, ভয়ঙ্কর সব সন্ত্রাসীদের তথাকথিত স্বাভাবিক জীবনে ফেরা, জংগী তৎপরতা বৃদ্ধি এবং সর্বশেষ বিডিআর বিদ্রোহ।
২৫-ই ফেব্রুয়ারি বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত দরবার হলের মিটিং এবং তারপরবর্তী রক্তক্ষয়ী ঘটনায় দেশের এক অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে। দেশ হারিয়েছে অনেক দেশপ্রেমিক, ত্যাগী, দক্ষ ও সাহসী সৈনিক এবং অফিসারকে। দেশের ভাবমূর্তি ও সার্বভৌমত্বের ভিতকে করেছে নড়বড়ে। কিন্তু এঘটনাটিকে শুধু মাত্র শাসক ও শোষিতের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত না করে এর পিছনের সত্যকে উদঘাটন করা উচিত।
দেশের গোয়েন্দা কাজে জড়িত সংস্থাগুলো কি করে? তাদের তো জানা উচিত ছিল যে বিডিআর সদস্যরা বিক্ষুব্ধ এবং তারা তাদের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সংগঠিত হচ্ছে। জানা গেছে যে ২৪-ফেব্রুয়ারি বিডিআর প্যারেড অনুষ্ঠান এবং প্রধানমন্ত্রির প্রত্যাবর্তন দুটোই অন্যান্য বছরের তুলনায় ছিল অনেকটা ব্যতিক্রম। তহলে কি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে কোন তথ্য ছিল?
চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৬