বিচিত্র বৈচিত্র্য্যহীন দিনগুলোর সকাল থাকেনা।
দুপুর-বিকাল-সন্ধ্যা-রাত্রি! তারপর, আবার দুপুর।
চক্রের চক্রান্তে, ভোরের স্মৃতি মুছে যায়;
বিনিময়ে, জোর করে ধোঁয়া গেলায়।
ঘুণে-ধরা মগজের তথাকথিত সুস্থ মানুষেরা,
রুপ চুরি করা চুপ-চাপ তরুনীরা,
সদ্য গোঁফ গজানো বালকেরা,
নতুন বিবাহিত পুরুষেরা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা-
চায়ের সাথে রোদ মিশিয়ে মুড়ি খায়!
পিরিচে সাজানো থাকে-
গত রাতের অমিমাংসিত আলোচনা।
অথচ, আমার রাত কাটেনা!
কোন কালের কোন গোপন ব্যাথার ঢেউ বয়ে যায়।
রোদ ফুরালেই মাথার ভিতর আঁধার নামে।
বৃদ্ধরা সব নরম আলো ভাগ করে নেয়-
স্কুলকে ছুটি দেওয়া বালকের দল সূর্যকেও নিস্কৃতি দেয়।
তরুনীদের চোখে তখনও সবুজ আলো। যখন তাদের
শাক-সবজি খচিত মুখ ছায়া খুঁজে; ঠিক সে-সময়
(আমার) চোখের বারান্দায় দেখা যায় এক দল কাক!
কালো ডানায় আঁধার আরো ঘোলা হয়-
কর্কশ কাক-কন্ঠের গভীরে
শুরু হয় এক মিনিটের নিরবতা।
(অসমাপ্ত অথবা অমীমাংসিত!)
শাহজাহান আহমেদ
মার্চ-১৮-১৪