পাঁচটা ভিন্ন দেশের পাঁচটা চলচ্চিত্র। আরও ভালভাবে বলতে গেলে পৃথিবী'র পাঁচটা ভিন্ন অঞ্চলের (দূর প্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য, মধ্য ইওরোপ আর স্ক্যান্ডিনেভিয়া), তাই পাঁচটা সম্পূর্ণ ভিন্ন সংস্কৃতিতে নারী'দের জীবন নিয়ে নির্মিত পাঁচটা চলচ্চিত্র নিয়ে এই পোস্ট। চলচ্চিত্র'কে আমি 'নারীবাদী' নামে কোনও ক্যাটাগরিতে ফেলতে চাই না, তবে এই পোস্টের মুভিগুলো বাছাই করেছি বিভিন্ন কালচারে নারী'দের জীবনের গল্প থেকে। মুভি বিষয়ে আমার প্রথম পোস্ট এটা। দেখা যাক কেমন হয়।
Raise the Red Lantern
দেশ: চীন
ছবিমুক্তির সন: ১৯৯১
পরিচালক: Zhang Yimou
এশিয়া'র শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলো'র মধ্যে একটা মনে করা হয় এই মুভিটাকে। মুভি'র শুরুটা হয় এক তরুণী'র তীব্র কষ্ট চেপে রাখা চেহারা দেখানোর মাধ্যমে। বাবা'র আকস্মিক মৃত্যুর কারণে ইউনিভার্সিটি ত্যাগ করে এক সম্ভ্রান্ত লোকের ঘরে চতুর্থ বউ হয়ে আসতে বাধ্য হয় তরুণী সঁলিয়ান(অভিনেত্রী গং লি)। আর এই ঘরে পা রাখতেই নতুন এক জীবন, নতুন এক পৃথিবী উপস্থিত হয় তার সামনে। কড়া রক্ষণশীল পরিবারে চার বউয়ের জীবন ওই পাথুরে দেয়ালে বন্দী, এর মাঝে শুরু হয় আরেক প্রতিযোগীতা। স্বামী তার খেয়াল-খুশিতে ঠিক করবেন - কোন ঘরে তিনি রাত কাটাবেন। যে ঘরে তিনি রাত কাটাবেন, সেই ঘরে সে রাতে লাল লন্ঠন জ্বালানো হবে, সেই স্ত্রী পাবেন বাড়তি সমাদর। তাই বাইরের পৃথিবী থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন সতীনদের মাঝে শুরু হয় নিজেদের পৃথিবীতে জেতার লড়াই। বিশ্বাস আর ছলনা, মমতা আর রুঢ়তা - বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জীবনকে আবিস্কার করতে থাকে সঁলিয়ান। এক সময় সে নিজেই জড়িয়ে পড়ে কুটিল বুদ্ধিতে। তাদের সবার জীবনের লক্ষ্য হয়ে পড়ে একটাই - লাল লন্ঠন জ্বালানোর অধিকার !
পাথুরে দেয়ালের মাঝে বন্দী কয়টা জীবন নিয়ে যেভাবে শ্বাসরুদ্ধকর একটা ছবি বানিয়েছেন, তার জন্যে পরিচালকের মুন্সিয়ানা স্বীকার করতেই হবে। ছবির ঘটনাকাল ১৯২০-এর দশকের চায়না। সিভিল ওয়ার শুরু'র কিছুকাল আগে। তাই শুনেছি, কোনও কোনও 'বুদ্ধিবণিক' মনে করেন, এই ছবিতে আসলে ওই সময়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতপন্থীদের ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগীতাকে রূপক হিসেবে দেখানো হয়েছে ! তবে ছবির পরিচালক সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন। আমিও তাই মনে করি - কেন অনর্থক এত রূপক খুঁজতে যাওয়া? সেই সময়ের রক্ষণশীলতার বেড়াজালে মেয়েগুলো'র অসহায়ত্ব আর তাদের অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠা'কে যেভাবে দেখানো হয়েছে - থিম হিসেবে সেটাই কি যথেষ্ঠ মারাত্মক না?
সঁলিয়ানের চরিত্রে অভিনেত্রী গং লি'কে নিয়ে আলাদা করে বলতেই হয়। তার অভিনয় দেখে আমার প্রথম ইম্প্রেশন ছিল - শার্প এবং স্মার্ট ! (এখনও ইম্প্রেশন তা-ই আছে) কোনও নায়িকাসুলভ ন্যাকামি নেই, এক্সপ্রেশনের বাড়াবাড়ি নেই - এক কথায় অনবদ্য। আমার দেখা যেকোনও মুভিতে নারী চরিত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপায়ন !
ছবিতে আমার রেটিং: ৯/১০
Kandahar
দেশ: ইরান
ছবিমুক্তির সন: ২০০১
পরিচালক: Mohsen Makhmalbaf
ফারসী ভাষায় ছবিটা'র মুল টাইটেল 'সফর-ই-গান্ধাহার' (Safar-e-Ghandehar)। নামেই অনেকটা বলে দিচ্ছে - পুরো ছবিটা কান্দাহার যাত্রা'র এক সফরকে কেন্দ্র করে নির্মিত। ভূমিকা বিস্তারিত না করে গল্পে চলে যাই। আফগানকন্যা নাফাস বহুকাল আগে দেশত্যাগ করে কানাডা চলে যায়। তবে তালেবান অধ্যুষিত দেশে পেছনে পড়ে থাকে তার বোন। বহুদিন পর নাফাসের হাতে হঠাৎ বোনের লেখা একটা ভয়াবহ চিঠি এসে পৌঁছে। চিঠিতে বোন জানায়, পরবর্তী সূর্যগ্রহনের দিন সে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে দেশে বেঁচে থাকা আর সম্ভব হচ্ছে না। চিঠির তারিখ দেখে নাফাস বুঝতে পারে, রিফিউজি ক্যাম্প পার করে চিঠি এসে পৌঁছাতে এর মাঝে কয়েকমাস দেরী হয়ে গেছে; হাতে আছে আর মাত্র অল্প ক'টা দিন ! বোনকে বাঁচাতে তৎক্ষণাৎ কান্দাহারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে নাফাস।
শুরু হয় ভয়ানক বিপদসঙ্কুল আর অদ্ভূত সব অভিজ্ঞতায় ভরপুর এক যাত্রা। শুরু হয় আমাদের সিনেমা'র কাহিনী।
আমি সবকটা মুভি রিভিউ'তে কাহিনী'র ব্যাকগ্রাউন্ডটা শুধু বলে যাচ্ছি। কিন্তু যাত্রাপথের কিছু বলব না। আপনার মুভি দেখার মজাটা নষ্ট করার অধিকার আমার নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, নাফাসের সাথে যাত্রার পথে পথে বিভিন্ন সময় আমি থতমত খেয়ে গেছি, কখনও শিউরে উঠেছি, আর শেষটায় মরুভূমির বুকে একটা উদাস মন রেখে ফিরেছি। তৎকালীন আফগানিস্তানের পথে-প্রান্তরে একা একটা নারীর চলাফেরা যে কী পরিমাণ অসম্ভব আর অকল্পনীয় - সেটা দেখে মানুষ হিসেবে নিজেকে মাঝে মাঝে অসহায় মনে হচ্ছিল ! মানুষ হিসেবে তাদের কোনও অধিকারেরই বালাই নেই যেন - অথচ নারী'রাই কি পৃথিবী'র অর্ধেক জনসংখ্যা না?
মহসেন মাখমালবাফ এখন ইরানের একজন ডাকসাইটে নির্মাতা। শোনা কথা, এই ছবি রিলিজ দেয়ার পর প্রথমদিকে খুব একটা মানুষের নজরে আসে নি। তবে ৯/১১'র পর হঠাৎ আফগানিস্তান পুরো পৃথিবী'র আকর্ষণের কেন্দ্রে চলে আসে, আর 'কান্দাহার' মুভিটা হয়ে ওঠে তৎকালীন আফগান পরিস্থিতি'র এক অসামান্য দলিল। ছবি'র কিছু অংশ সেই তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানে শ্যুটিং করতে গিয়ে এর নির্মাতাও অসামান্য সাহসের পরিচয় দিয়েছেন।
ছবিতে আমার রেটিং: ৮/১০
Forbidden Fruit (Finnish title: Kielletty hedelmä)
দেশ: ফিনল্যান্ড
ছবিমুক্তির সন: ২০০৯
পরিচালক: Dome Karukoski
দুই কিশোরী বান্ধবী'র গল্প। মারিয়া আর রাকেল। ছোট এক মফস্বলের কড়া রক্ষণশীল পরিবশে দুজনের বেড়ে ওঠা। এদের মাঝে মারিয়া একটু অধীর-অস্থির টাইপের, আর রাকেল পুরোপুরি শান্ত-অচঞ্চল। ঘটনা শুরু হয় যখন একদিন মারিয়া হঠাৎ 'থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখবো এবার জগৎটাকে' - এই পণ করে ঘর ছেড়ে বড় শহরে পা বাড়ায়। সমাজের লোকজনের টনক নড়ে ওঠে। অনেক আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, মারিয়াকে ফিরিয়ে আনবার জন্যে রাকেলকে শহরে পাঠানোর। সে-ই শুধু পারবে, মারিয়াকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনতে। ফলে রাকেলও গিয়ে উপস্থিত হয় বিগসিটি'র উদ্দাম-অস্থির জীবনে।
পুরো ছবির কাহিনী এক অচেনা জগতে অজানা মানুষদের মাঝে দুই বান্ধবী'র জীবনকে আবিস্কার করার গল্প নিয়ে। তাদের দুজনের চোখে বাইরের পৃথিবী ধরা দেয় সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে। একের পর এক ঘটনায় এলোমেলো হয়ে যেতে থাকে দুজনের চিন্তা-ভাবনা। শহরকে নয়, তারা আবিস্কার করে নিজেদেরকে; আর নিজেদের ফেলে আসা কঠোর রক্ষণশীল সমাজকে। একসময় দুই মেয়ে আবার পা বাড়ায় বাড়ির পথে। কিন্তু আরও কিছু গল্প বাকি থেকে যায়... এই অল্প ক'দিনে অনেককিছু পাল্টে গেছে ওদের...
ছবিটা দেখেছিলাম অনেক আগে, কিন্তু মনে আছে ছবিটা 'দেখার আনন্দ' পেয়েছিলাম। উত্তর ইউরোপের ছবি দেখেছি মাত্র হাতে-গোণা কয়েকটা, কিন্তু ছবিগুলোতে পরিচ্ছন্নতা, ঝকঝকে-তকতকে পরিবেশ ইত্যাদি কারণে 'দেখে' একরকম আরাম পাই। কাহিনী বলার স্টাইলও সরল আর সুন্দর, কোনও জটিলতা নেই। এই সিনেমা'র শেষের বোধটা হয়ত চিরায়ত, কিন্তু আচ্ছন্ন করে রাখার মত। ভাল লাগার যথেষ্ঠ কারণ আছে বলে মনে হয়েছে।
ছবিতে আমার রেটিং: ৭/১০
Mozart's Sister (French title: Nannerl, la sœur de Mozart)
দেশ: ফ্রান্স
ছবিমুক্তির সন: ২০১০
পরিচালক: René Féret
কিংবদন্তী কম্পোজার উলফগ্যাং মোযার্টের বোনের গল্প নিয়ে এই সিনেমা। উলফগ্যাং-এর মত তার বড় বোন নানের্ল-ও ছিল যন্ত্রসঙ্গীতশিল্পী, বাবার হাত ধরেই দুই ভাই-বোনের সঙ্গীতে আসা, কিন্তু বাবা কিছুতেই মেয়ের শিল্পীসত্তায় বিশ্বাসী না। নানের্ল তার নিজের করা সুর যখন ভাইয়ের নামে চালায়, তখন তার বাবা সেই সুর শুনে উচ্ছসিত হয়ে ওঠে; কিন্তু পরে যখন তাকে জানানো হয়, এই সুর তার ছেলের করা নয়, মেয়ের করা - তখন তার বিস্ময়সূচক বিরক্তি ছিল দেখার মত। মেয়ের যে সৃষ্টিশীলতা থাকতে পারে - একথা স্বীকার করা দূরে থাক, তিনি চিন্তা করতেও চাইতেন না। ছবি'র একপর্যায়ে তার মা অসহায় হয়ে বলে বসেন, “At least can she have talent?”... সৃষ্টিশীল হওয়ার অধিকার না থাকুক, অন্তত 'প্রতিভাবান' হওয়ার অধিকারটুকু কি তার আছে? এ ধরণের দৃশ্যগুলোর সামনে থমকে যেতে হয়।
ভাবছেন, শাহেদ তো পুরো গল্পই বলে দিল ! না, এতটা অবিবেচক হইনি। গল্পের শুরু মোযার্ট পরিবারের এক গ্র্যান্ড-ট্যুরের মাধ্যমে, আর পুরো ছবির কাহিনী এই ট্যুরের সাথে এগিয়েছে। যাত্রাপথে এক রয়্যাল-প্রিন্সেসের সাথে নানের্লের বন্ধুত্ব হয়, এক প্রিন্সের সাথে মন ভাঙ্গা-গড়ার খেলা হয়, এক পর্যায়ে সে সম্পূর্ণ নিজের পায়ে দাঁড়াতে ছুটে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু হয় না; মেয়ে হওয়ার কারণে তার কিছু পাওয়া হয় না। পৃথিবী তার বিপক্ষে অটল দাঁড়িয়ে থাকে, আর সিনেমা শেষে তাকে এক অনাকাঙ্খিত পরিণতি'র দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
ছবিটা দেখার পর দীর্ঘশ্বাস চলে আসে। ছবি'র প্রধান চরিত্র আর পার্শ্ব-চরিত্রে পরিচালকের দুই মেয়ে অভিনয় করেছে, আর দুই কিশোরী বোনের অভিনয় এক কথায় অনবদ্য। যদি এখনও না দেখে থাকেন, তবে বলব, মোযার্ট পরিবারের সাথে দুই-ঘন্টা কাটিয়ে আসুন। যাত্রাপথের অবাক আর শ্বাসরূদ্ধকর কিছু অভিজ্ঞতা আপনাকে আলোড়িত করবে !
ছবিতে আমার রেটিং: ৮/১০
সূর্য দীঘল বাড়ি
দেশ: বাংলাদেশ
ছবিমুক্তির সন: ১৯৮০
পরিচালক: শেখ নিয়ামত আলী
সবশেষে, আমার ভাষার একটা ছবি। খ্যাতনামা সাহিত্যিক আবু ইসহাকের ক্ল্যাসিক উপন্যাস থেকে মসিহউদ্দিন শাকেরের চিত্রনাট্য আর শেখ নিয়ামত আলী'র পরিচালনায় একটা অনন্য সিনেমা - "সূর্য দীঘল বাড়ি"। চিরায়ত গ্রামীন সমাজে এক নারী'র ক্রমাগত সংগ্রাম নিয়ে এই ছবি'র গল্প। ঘরে কোনও কর্তা পুরুষ না থাকা সত্বেও এক নারী নিজের চেষ্টায় স্বাবলম্বী হয়ে যাচ্ছে, গাঁয়ের প্রভাবশালীদের কাছে এ তো রীতিমত অসহ্য একটা ব্যাপার ! একলা যুবতী মেয়েমানুষ, অথচ কারও দয়ার মুখাপেক্ষী না, তার উপর প্রভাব খাটানো যায় না - এ হয় নাকি? না, হয় না। হয়ও নি। তার প্রতি পদে বাধা'র সৃষ্টি করা হয়, জীবিকা উপার্জনের পথ বন্ধের হরেক চেষ্টা করা হয়, এমনকী তার কিশোর ছেলেটার কানেও তার নামে বাজে কথা বলা হতে থাকে। আর সেই সমস্ত বাধা-বিপত্তি'র সঙ্গে তার নিরন্তর সংগ্রামের নীরব সাক্ষী হয়ে থাকে তার সূর্যদীঘল বাড়ি।
এই পোস্টে অন্য যেসব ছবি'র কথা বললাম, সবক'টা আপনি টরেন্টেই পাবেন, কিন্তু এই মুভি'র ডাউনলোড লিঙ্ক কোথায় পাওয়া যাবে আমি জানি না (কেউ জানলে জানিয়ে যাবেন কমেন্টে?)। মুভি'টা আমি দেখেছিলাম টি-এস-সি'তে এক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। আর দেখার পর অবাক হয়েছিলাম ! এর আগে অনেককেই আমি পছন্দের বাংলা ছবি'র রেটিং করতে দেখেছি, কিন্তু কারও রেটিং-এ উপরের দিকে এই ছবি'র নাম শুনিনি বলে অবাক লেগেছে।
কেন্দ্রীয় চরিত্রে ডলি আনোয়ার চমৎকার অভিনয় করেছেন, আর বিশেষ ব্যাপার হল প্রতিটা পার্শ্ব-চরিত্র এমনকি রেলের হকারের মত ক্ষুদ্রতম চরিত্রগুলোও মনকাড়া বাস্তব অভিনয় করেছে। কাহিনী'র ব্যাপারে আগেই বললাম - ক্ল্যাসিক। সেই একবার দেখার ভাল লাগা'র তীব্রতা আমার মাঝে এখনও ভাল রকম রয়ে গেছে। মুভিটা আমি অবশ্যই আবার দেখতে চাই !
ছবিতে আমার রেটিং: ৯/১০
** প্রথমবারের মত 'মুভি' নিয়ে লিখলাম। কেমন লাগল জানাতে পারেন।
** পোস্টের প্রথম ছবিটি অভিনেত্রী গং লি (Gong Li), যার কথা প্রথম মুভি-রিভিউতে বলা হয়েছে।
** এক ভাষায় নামের উচ্চারণ অন্য ভাষায় বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে। পাঠকের সার্চের সুবিধার কথা ভেবে তাই মুভি-টাইটেল আর পরিচালকের নামগুলো আর বাংলায় উচ্চারণ করে লিখলাম না; ইংরেজীতেই রাখলাম।
** আমার রেটিং ব্যাপারটা'র স্থায়িত্বের কোনও গ্যারান্টি নেই। সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট। অবশ্য, পরিবর্তনের মাত্রা হবে অল্প-বিস্তর।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০