somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিশু একাডেমী: অটোগ্রাফ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিনের পুরানো ডায়রী থেকে:

বিরক্তিকর ভাষন শুরু হলো। বেগম সারওয়ারী রহমানের ভাষনের সময় প্রফেসর চৌধুরী পকেট থেকে একটা ছোট ক্যামেরা বের করে আমাদের আশ্চর্য করে দিয়ে প্রথমে দর্শকদের একটা ছবি তুললেন, তারপর বেগম সাওয়ারী রহমানের একটি, অবশেষে একজন লোককে ডেকে অন্যান্য অতিথিদের সাথে দাঁত বের করে একটি ছবি তুললেন। এরপর প্রফেসর চৌধুরী ভাষন দিতে দাড়ালেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন ভাষন শোনার কোন ইচ্ছা দর্শকদের নেই। তাই দাড়িয়েই বললেন, আমি ছোট্ট বন্ধুদের প্রশ্ন করবো, তোমরা উত্তর দিবে। এভাবে আসর জমিয়ে তিনি ভাষন দিলেন। সবার ভাষন শেষ হলে অতিথিরা মন্ঞ থেকে নেমে অন্যান্যদের উঠিয়ে দিয়ে সোফায় বসলেন। এরপর শুরু হলো অটোগ্রাফ নেবার পালা। আমি অটোগ্রাফ খাতা আনলেও, সাইনপেন খুজে না পেয়ে একটা ইকোনো ডি এক্স বলপেন এনেছিলাম। এটা নিয়েই ভিড়ের মধ্যে ঢাক্কাঢাক্কি করতে করতে শেখা অটোগ্রাফ আনতে গেল। বেগম সারওয়ারী রহমান অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে দেখলেন, কলমে কালি নেই। অথচ আমি চেক করেই এনেছিলাম। শেখা রাগে ওখান থেকেই কলমটা আমার গায়ে ছুড়ে ফেলল। পাজিটাকে কাছে পেলে কান টেনে এই বেয়াদবির দন্ড দিতাম। এখন সম্ভব না। যা হোক অন্যের কলম ধার করে কোনমতে অটোগ্রাফ নিয়ে রওনা হলাম। দরজার ভিড় কাটিয়ে বাইরে বের হয়ে আরেক ঢাক্কা খেলাম। দরজা থেকে বারান্দা দিয়ে হেটে প্রায় ২০ ফুট পেরুতে হয়। এ অংশটুকু পুরোটাই ছেলেরা ভিড় করে দাড়িয়ে আছে। অনুষ্ঠান দেখতে ঢুকতে পারছে না। কিন্তু আমি বের হই কি করে? "এক্সকিউজ মি" বলে কোনমতে রাস্তা বের করে এগুচ্ছি। এক সময় সামনের একটা অভদ্র লোক জায়গা না ছেড়ে দাড়িয়ে থাকায় আমাকে থামতে হলো। শেখা পিছন থেকে ঢাক্কা মেরে প্রায় লোকের গায়ে ফেলে বলল, "থামলে কেন? যাও!" আবার রাগ সামলে লোকটিকে সরতে বললাম। এবার পাশের একটি লোক সামনের লোকটিকে সজোরে সরিয়ে দিয়ে আমাদের বলল, যান। আমরা জায়গা পেয়ে তাড়াতাড়ি ভিড় কাটিয়ে বাইরে আসলাম। এরপর রিক্সা নিয়ে সোজা বাড়ি।
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সরু চিকেন নেক করিডর সমস্যা এবং সমাধান

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭



সরু চিকেন নেক করিডরের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে নেপাল ও ভুটানের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্তের ব্যাপারে ভাবছে ভারত

ভারতের অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশের রেল সংযোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাকীত্ব: আত্মার ঘুণপোকা ও আধুনিক সমাজের অদৃশ্য মহামারী

লিখেছেন মি. বিকেল, ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৫



‘একাকীত্ব’ সাধারণ বিষয় নয়। একা থাকা মানে অজস্র চিন্তার স্রোত মাথায় প্রবাহিত হওয়া। একা থাকা মানে নিজের সাথে থাকা। নিজের চিন্তা ও স্মৃতির সাথে একাকীত্ব আমাদের বেশি করে পরিচয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠকানোটাই ভাল শিখেছি আমরা

লিখেছেন ফেনা, ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭



এই বিশাল মহাকর্ষীয় বস্তু সবকিছু নিজের দিকে টেনে নেয়—এমনকি আলোও পালাতে পারে না। কিন্তু কৃষ্ণ গহ্বরের ভিতরে কী ঘটে? সেখানে সময় ও স্থান কেমন আচরণ করে? এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরব বিশ্বে নারীরা অপমানিত? আমার অভিজ্ঞতা বলছে ভিন্ন কথা

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬



বহুদিন ধরে একটি কথা শুনে আসছি—“নারীরা আরব দেশে অসম্মানিত অবস্থায় থাকে।”
কিন্তু আমি আরব দেশে গিয়েছি, থেকেছি, এবং প্রায় দুই মাস ধরে একাধিক জেলায় ঘুরেছি।
সত্যি বলছি—আমি সেখানে কোথাও নারীদের অসম্মানিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় দাবিদাওয়া নিষ্পত্তি সংস্থা : অরাজকতার পালে নতুন হাওয়া!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:০৩


বাংলাদেশে আজকাল দাবি না জানালে কেউ আর মানুষ থাকে না—ছাত্র, শিক্ষক, গৃহিণী, পুলিশ, পিয়ন, কবি, কুস্তিগির, সবাই 'অধিকার' চায়। তবে অধিকার মানে এখানে মোটেই দায় বা কর্তব্য নয়, বরং ছিনিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×