somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিশু একাডেমী: অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার পুরানো ডায়রী থেকে লেখা তুলে দিলাম।

অফিস বিল্ডিংয়ের সিড়িতে দেখলাম গানের স্যার দাড়িয়ে আছেন। সালাম দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। হাফসা আপার রুমে ঢোকার আগে দেখলাম নাচের আপা দাড়িয়ে আছেন। তাকে সালাম দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। হাফসা আপাকে দেখলাম উপস্হাপনার মেয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সালাম দিলে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললেন। বললেন, "আমি এখনই তোমাদের ফোন করার কথা বলছিলাম আর তোমরা এসে পড়লে" তন্বীর (উপস্থাপিকা) আম্মা শেখাকে বললেন, "তুমিই বড় বিলাই "? হাফসা আপা বললেন, "না ও শেখা"।
এরপর হাফসা আপা উপস্থাপিকা শিটে বড় বিলাইয়ে র নাম কেটে শেখা লিখে দিলেন। আমাকে বসতে বললেন। অথচ চেয়ার মাত্র দুটো। একটাতে ঐ আন্টি আর আরেকটাতে শেখা বসে ছিল। আমার অপ্রস্তুত অবস্থা দেখে আন্টি উঠে আমাকে বসতে বললেন। কিন্তু একজন বয়স্ক মহিলাকে উঠিয়ে আমি বসি কি করে? তাই আমরা দুজনে দাড়িয়ে রইলাম আর চেয়ার খালি রইল। এরপর হাফসা আপা আন্টিকে বললেন, "আপনারা স্টেজে যান, ওদের (আমি আর শেখা) নিয়ে যান"।
অফিস থেকে বের হয়ে আন্টি অডিটোরিয়ামে যাবার পথ দেখিয়ে দিলেন (যেন এই মাত্র সুন্দরবন থেকে আমরা এসেছি কিছুই জানিনাহ)।
এবং নিয়ে কন্যাকে নিয়ে উল্টা দিকে চলে গেলেন। আমি আর কি করি, শেখাকে নিয়ে অডিটোরিয়ামে চলে আসলাম। একি! স্টেজের একি অবস্থা! রাস্তায় বানানো মঞ্চও এরচেয়ে ভাল হয়। সরু সিড়ি বেয়ে স্টেজে উঠলাম। তিন পাশে সাদা ময়লা চাদর দিয়ে ঢাকা। স্টেজের কোনায় চাদর সরিয়ে ঢোকা যায়। কোনাটা মেকানিক দিয়ে জ্যাম হয়ে আছে। বললাম, "এক্সকিউজ মি আমরা ভিতরে যাব" সবাই সড়ে দাড়িয়ে আমাদের ঢোকার জায়গা করে দিল। আমি আর শেখা ভিতরে একবার উকি দিয়ে দেখলাম, সম্পুর্ন অন্ধকার, কেউ নেই আর বসার কোন জায়গা নেই। শেখা বলল, "এখানে ঢুকে কোন কাজ নেই, চলো আমরা চলে যাই"।
এরমধ্যে স্বপন ভাই (গিটারের শিক্ষক) এসে মেকানিকদের পরামর্শ দেয়া শুরু করেছেন। আমরা স্টেজ থেকে নামার আগেই তিনি সিড়ি দিয়ে নামা শুরু করলেন আর পরপরই আমি আর শেখা। এখানে একটা কথা জানানো দরকার, স্বপন ভাই বেশ ছোট খাট একজন মানুষ। আর গলাও ভরাট না মানে বেশ চিকন। ফলে আমার নিচের সিড়িতে তাকে কেমন দেখাচ্ছিল, সেটা দেখটে না পেলেও অনুমান করা কঠিন না। কারন দর্শকদের প্রথম সারির লোকরা ৩৩ দাত বের করে হাসছিল। আমি এসব পাত্তা না দিয়ে অডিটোরিয়ামের দরজার পাশে দাড়ালাম। বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে গল্প করে পা ব্যাথা করার পর দেখলাম তন্বী আর তার মা আসছে। ওরা ভিতরে ঢুকে সোফায় বসে আমাদের ডাকলেন। আমরাও বিশেষ অতিথিদের জন্য সংরক্ষিত আসনে (সোফায়) বসলাম। একটু পর আন্টি আর তন্বী উঠে চলে গেল। ম্যানেজম্যান্টের লোকজন আমাদের দিকে বাকা চোখে তাকাচ্ছিল।এখানে আমাদের বসা উচিত না। শেখা ভয় পেয়ে বার বার বলছিল, "চলো উঠে যাই"।
আমি জোর করে বসে রইলাম। যা হয় হবে। দাড়িয়ে থাকতে পারবোনা। এদিকে হলের সিট সম্পুর্ন ভরে গেল। মানুষ আর দাড়িয়ে থাকতে না পেরে সোফায় বসে পরতে আরম্ভ করলো। অবশ্য আমাদের বসা দেখে সাহস পেল। এরপর একাডেমীর লোকদের আর সহ্য হলো না। ওরা উঠে যেতে বলল এবং কেউই উঠলোনা। বলল, "আগে সিটের ব্যবস্থা করে দেন তারপর উঠব।" পরে উপ পরিচালক আসলে কমিটির লোকরা তার কাছে নালিশ জানালো। তিনি বললেন প্রথম সারির সোফাতেই অতিথিদের জায়গায় হয়ে যাবে। তাই দ্বিতীয় সারির লোকদের আর উঠতে হলোনা। আমরাও স্বস্তির নি:শ্বাস ফেললাম।
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×