মানুষ যত দূরদর্শী এবং পরিণামদর্শী হয় ততই সে সফল হয়, সুখী হয়, স্বাচ্ছন্দময় হয়। জাতিগতভাবে আমরা আজকের পরে কালকের কথা চিন্তা করিনা। ঘরে বাইরে সর্বত্র এক অবস্থা।
একটা বাড়ী করলেই যেন জীবন ধন্য। এর প্রতিবেশ-পরিবেশ নিয়ে ভাবা হয়না। দুই ফুট জায়গা কম ছেড়ে বাড়ীর সামনে নিয়মিত গাড়ী জ্যামকে গুরুত্ব দেওয়া হয়না। ভাবখানা হয়ে দাঁড়ায়, চার দেয়ালে ভিতরে থাকলেই হলো। বাড়ীর সামনে শব্দদূষণে সন্তানের ক্ষতি, বয়স্কদের ভোগান্তি বিবেচনায় রাখা হয়না।
নগর পরিকল্পনা বা নিয়ন্ত্রণ বলে কিছু নেই এই রাজধানীর। এই রাজধানীর জনগণের যন্ত্রণার জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী প্রতিষ্ঠান রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশান। এখানকার দায়িত্বপ্রাপ্তদের ধরে ধরে প্রধান প্রধান সড়কের হাঁটু সমান/কোমর সমান পানিতে চুবানো উচিত।
সবচেয়ে ভালো হয়, চলমান জলাবদ্ধতার যন্ত্রণা তীব্র থেকে তীব্রতর হোক। সব অচল হয়ে যাক। টানা ১৫ দিন সবাই ঘরে বসে থাকি। যারা আয়-উপার্জনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা রাস্তায় নেমে যাবতীয় ক্ষোভ দেখাক। যাকে বলে প্রাকৃতিক ধর্মঘট। এরপর সংশ্লিষ্ট বিভাগ আর ব্যক্তিরা বুঝুক কী না করিলে কী হয়।