নতুন সরকারে এনজিও পন্থী লোকজন দিয়া ভরপুর। তারপর আছে লালনবাদী আর আছে পাক্কা নাস্তিকগণ। দেশে ইসলাম কুপিয়ে ইন্ডিয়া আর পশ্চিমা দেশগুলোকে খুশি রাখা ছিল তার ক্ষমতার মূল উৎস। খবরে দেখলাম সংবিধান সংশোধন হবে আবার কি ৯০% মুসলমানদের দেশে ইসলাম কে পাস কাটিয়ে সংসয়বাদী-লালনবাদী-আ নাস্তিকদের প্রাধান্য দেওয়া হবে?
জুলাই বিপ্লবে যত মানুষ শহিদ হয়েছে এবং যত মানুষ আহত হয়েছে, তাদের সবার একটা আইডিওলজিক্যাল প্রোফাইলিং করতে পারেন। কাজটা খুব কঠিন না, তাদের অনলাইন প্রেজেন্স ঘাঁটলেও অনেক ক্লু বেরিয়ে আসবে।
দেখবেন সিংহভাগ (৮০-৯০%) আহত-নিহত মানুষের প্রেরণা ও চেতনার প্রধান কম্পোনেন্ট ছিল ইসলাম। কেউ শহিদ হবার আগে গজলের ভিডিও আপলোড দিয়েছে, কেউ ওয়ালে লিখেছে- 'ঈমানের' সর্বনিম্ন স্তরে আছি, কেউ কোরানের আয়াত শেয়ার দিয়েছে। ব্যাপারটা এমন নয় যে তারা ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের জন্য লড়েছে, কিন্তু স্বৈরাচার বিরোধী এই আন্দোলনে তাদের স্পিরিট ও মনোবলের প্রধান কম্পোনেন্ট ছিল ইসলাম।
ওয়েল, সালমান মুক্তাদিরের একটা ইন্টার্ভিউতে দেখছিলাম, সেও বলছিল- "আমার ভয় কাজ করেনি, কারণ মরলে টেকনিক্যালি শহিদ হতাম, জীবনে অনেক পাপ করছি, এই উছিলায় আল্লাহ হয়তো মাফ করে দিতো"। (ভিডিও লিংক আছে)
এটা শুধু সালমানের না, ৫ই আগস্ট যখন সকালে হাজারো মানুষ কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নামে, তাদের সিংহভাগই কালেমা পড়ে শহিদ হবার চেতনাতেই বেরিয়েছিল। গণভবনে হাজারো মানুষ সেজদায় লুটিয়ে পড়ে। কারাবন্দী হওয়া সন্তানদের জন্য মায়েরা সারারাত তাহাজ্জুদ পড়ে। হাজারো মানুষ স্বৈরাচারের পতনের জন্য হাত তুলে দোয়া করে।
আমার কথা বিশ্বাস না হলে সকল আহত-নিহতের অনলাইন প্রোফাইলিং করেন, দেখবেন ইসলাম কত স্ট্রংলি ডমিন্যান্ট ছিল তাদের স্পিরিটে। এই কাজটা কেউ সিরিয়াসলি করতে পারেন, এটা নিয়ে একাডেমিক স্টাডিও হতে পারে।
এই কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হল, আপনারা যাদের ত্যাগের উপর নতুন বাংলাদেশ গড়তে চান, সেই দেশ ও সংবিধানে যাতে এই শহিদ-গাজীদের চেতনার প্রতিনিধিত্ব থাকে। নতুন রিপাবলিকে যাতে তাদের এজেন্সিকে নাই করে দেয়া না হয়, বা তাদের স্পিরিটকে খারিজ করা না হয়। প্রথম আলোরা যাতে আপনাদের স্পিরিট ও চেতনাকে হাইজ্যাক না করে। এই মুহূর্তটা ক্রিটিকাল।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮