ছাত্রদের মাঝ থেকে একজন প্রশ্ন করল, “ স্যার আপনাকে ভূতে ধরে নি ?”
“আরে ঐ ঘটনাই তো বলতেছি, শোন্। আকাশে চাঁদ উঠেছে, আর বাঁশ বাগানে আলো ছায়ায় এক ভূতুড়ে পরিবেশ। আমি খুব দ্রুত হাঁটছি, হঠাৎ শুনি কেউ যেন হাত তালি দিচ্ছে। আশে পাশে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই। আমার তো আত্বা রাম খাঁচা ছাড়া। আমি আবার হাটতে যাব এমন সময় আবার হাত তালি, হঠাৎ দেখি ল্যাম্প পোস্টের পেছনে একটা গলা কাটা লোক। আর দেখলাম তার কাটা মাথাটা উড়ে চলে যাচ্ছে।” ক্লাসের সবাই নিঃশব্দে শুনছিল, এই পর্যন্ত এসে স্যার থেমে গেলেন। কিছুক্ষন চুপ থেকে স্যার বললেন, াচ্ছা তোমরা কি বলতে পারবে আসলে আমি কি দেখেছিলাম?” কয়েকজন সমস্বরে বলে উঠল,“স্যার আপনি ভূত দেখেছিলেন!!” কয়েক জন অতি উৎসাহে প্রশ্ন করল,“ভূতটা দেখতে কি খুব ভয়ংকর ছিল?” কেউ কেউ জানতে চায়ল,“ভূতটা আপনার ক্ষতি করেনি, স্যার?” স্যার মৃদু হেসে বললেন, “ক্ষতি কিছুটা করেছিল, হার্টের রোগী হলে হয়ত অজ্ঞান হয়ে যেতাম। কিন্তু ভূত বলেতো কিছু নেই। আমি সাহস সঞ্চয় করে এগিয়ে গেলাম, মাথা বিহিন লোকটা তখনও দাড়িয়ে। যেই টর্চ জ্বাললাম, দেখলাম একটা গাছের গুড়ি। আমি যখন সকালে স্কুল আসছিলাম তখন গাছটাকে কাটা হচ্ছিল, নিশ্চয় পুরোটা কাটা হয়নি তাই ওভাবে সাত ফুট মত রেখে দিয়েছিল। আর আমি যে মাথাটা উড়ে যেতে দেখেছিলাম, ওটি আসলে কোন একটা পাখি ছিল। আর পাখির পাখা ঝাপটানোর শব্দকে ভেবেছিলাম, হাত তালির শব্দ।” ক্লাসের সবাই একযোগে হেসে উঠল।
(২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর এই গল্পটির মাধ্যমে আমার লেখালেখিতে হাতে খড়ি। অবাক করার জন্য নয়, তবু বলি ঐ সময় আমি ক্লাস সিক্স এ পড়ি।)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৪১