ভালোবাসা কি সখি?
ভালোবাসা কি সখি তবে মস্ত বড়ো পাপ?
যেখানে কেবল আনমনে আমরা দু’জনে
ফুলের মতো দু’হাত বড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিষ্পাপ।
আমাদের মাঝখানে আজি নেই যেন কোন ফাঁক
আমরা দু’জন নরনারী এবার তা প্রমান হয়ে যাক।
কবি গুরুতো বুঝেননি বুঝবো মুরা কেন?
ন্যায় অন্যায় চুলোয় যাক আমরা এক জেনো ।
আমাদের গায়ে জল জমেছে বর্ষাকালেরই মতো,
বাণের জোয়ারে যাক ভেসে শোকস্মৃতি আছে যতো।
প্রাণের সখি,
আজি খেলিবো প্রাণের খেলা তৃষিতো এ মনে দাও দোলা
ছোট্ট তটিনীর মাঝে থাকে যেন একটি নৌকো-নোঙর তোলা ।
মনে রেখো
মনে রেখো দিতে হয়
দে বে না
এমনটা হবার নয়।
দিনে দিনে হারিয়ে ফেলবে নিয়ন্ত্রণ
নিখাদ ভালোবাসা বহুল প্রতীক্ষার
রুখিবে কে তারে
সাধ্য আছে কার?
একটু একটু করে
আসবে আমার তরে
তোমার চারিপাশ করিবে উপহাস
একদিন গনমিছিল হবে প্রতিটি অঙ্গের
রুদ্ধ দ্বার থাকিতে পারিবে না আর ।
ভালোবাসা স্লু পয়জন
মনের মাঝে ঘুণপোকার ভীষণ দংশন
পরবে খসে অহংবোধের সকল পরিধান
একদিন পৃথিবীর বুক বিদীর্ণ করে
করবে নিণাদ তুমি
তোমার প্রাণের ভালোবাসা—একমাত্র আমি;
সোনা নয় রুপো নয় হীরার চেয়ে দামী ।
স্বাধীনতা দিবস
আজিকের দিন এসছিলো বলে
আমরা আজি স্বাধীন জাতি
স্বাধীনতা দিবস এসেছিলো বলে
প্রিয়া তোমায় মধুর নামে ডাকি।
আমরা যে ভাই বীরের জাতি
প্রমান হলো এই কথাটি
বঞ্চনা আর বৈষম্যের পীড়ণ হলো দূর
তেরো নদী আর সাত সমুদ্দুর।
নতুন একটি মানচিত্র হলো
লালসবুজের পতাকা এলো
সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে
মানবতার এক বিজয় হলো।
আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার আত্নদানে
বাংলার মানুষ মুক্তি পেলো।
আর আমাদের দাবায় কে?
সমৃদ্ধির পথে হাঁটবো এবার
অন্যায় সব পদদলিত করে
আমরা এগুবো গণতন্ত্রের ঝান্ডা হাতে
রাজাকার তাবেদার সাবধান হুশিয়ার,
গোলামী নয় আর তাবেদারী করিলে
এই মুহর্তে বাংলা ছাড়।
বাংলার মানুষ মুক্তি চায়
বাংলার মানুষ স্বাধীনতা চায়
একাত্তুরে সেই শ্লোগান—আমরা ভুলি নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২