তোমার জন্মদিনে গিয়েছি সীমা ছাড়িয়ে
অবাক মৌনতায় নিয়েছো আদর কেড়ে।
তোমার জানালায় পাঠিয়েছি প্রেম বারবার
সারাদিন সারারাত ; ভালবাসার সুখপ্রপাত।
একসময় আটকে দিলে তোমার ভিতরে
মোর ভালবাসার যাদুর কাঠি …
তারপর নিরবতা ….আহা কি প্রশান্তি!
আবারো খুলো প্রেমের করিডোর
সুপরিকল্পনা ছাড়া প্রতিহত করা যায়না
ফুলের কন্টক ; পরম সাধনার ধন মোর কাছে
ওগো প্রিয়তমা তোমার মন;
ভ্রমরের রেণুমাখা দেহ
ফুলের গর্ভাশয়ে সানাইয়ের সুর বাজাতে হলে
এবার খোল ভাঁজ, চেখে দেখি যমুনার উষ্ণ জল
তারপর দু'জনে হই ক্লান্ত দেহ- শরতের শিশির ভেজা ঘাস।
পরোয়া করোনা সখি ,
যা বলে বলুক লোকে, ওগো মায়াবতী।
আমি তোমার সেই একজন। যাকে মনের গহীনে
লুকিয়ে রেখেছো সুদীর্ঘ সময় ; র্যৌবনের অনুরাগে;
কত সোহাগ করেছো কপট রাগের ছলনায়!
ধূলো দিয়েছো পরশ্রীকাতর জিজ্ঞাসায়।
ভালবাসা দিয়েছো ঢেলে
নিরব অভিসারে..।
বৃক্ষের শেকড়ের মত দিনে দিনে
শুধু গভীর থেকে গভীরতর স্থানে
মিশে গেছি হৃদয়ের আকরে তোমার ।
এবার শুধু সঙ্গম হোক…
নতুনের আয়োজনে
আমাদের দু’জনার বাগান
এলা ভরে উঠুক ফুলে আর ফলে
চল হই উদাসী প্রেমের বাতায়নে ।
খোলো তোমার ভালবাসার জানালা।
সনেট কবি বলেছেন:
কবি সেলিমের ‘খোল তোমার ভালবাসার
জানালা’ কবিতায় সনেট মন্তব্য-
মূল কবিতার সঙ্গে এড করে দিলাম
সনেট কবির সনেট খানা (আশা করি আপত্তি করবেন না করলে জানাবেন)
ভালবাসার জানালা ওপাশে দাঁড়িয়ে
ভরপুর প্রেম সিক্ত কবির অপেক্ষা
প্রিয়ার বিলম্বে ক্লান্ত মনে অনুযোগ
জানালা খোলায় বাড়ে তাগাদা অনেক।
অতীত স্মৃতির কণা ছন্দ হয়ে ঝরে
যেন ফুলেরা ঝরছে অনবরত সে
কবিমন দূর্বাঘাসে শিশিরের ভেজা
ভোরের আবছা আলো আধাঁরের মাঝে।
অবশেষে খুলে যায় প্রিয়ার জানালা
ফুরফুরে হাওয়ার সাথে কবি দৃষ্টি
পড়ে প্রিয়ার মুখের চন্দ্রিমা উদ্যানে।
শায়মার আঁকা ছবি প্রিয়ার মুখের
অনুরূপ ভাবে কবি। অনুপমা তবে,
কবি মনে বহে প্রীতি সুখ স্রোত ধারা।
শাহরিয়ার কবীর কবিতা রূপ দিয়েছেন এভাবে :
তোমার জন্মদিনে গিয়েছি আমি আনন্দের সীমা ছাড়িয়ে
কিন্তু তোমার অবাক মৌনতায় নিয়েছো আদর কেড়ে।
তোমার জানালায় পাঠিয়েছি আমার প্রেম বারবার
সারাদিন সারারাত ; ভালবাসার সুখপ্রপাত।
একসময় আটকে দিলে তোমার ভিতরে
ভালবাসার যাদুর কাঠি …
তারপর নিরবতা ….আহা কি প্রশান্তি!
আবারো খুলো প্রেমের করিডোর
সুপরিকল্পনা ছাড়া প্রতিহত করা যায়না
ফুলের কন্টক ; পরম সাধনার ধন মোর কাছে
ওগো প্রিয়তমা তোমার মন;
ভ্রমরের রেনোমাখা দেহ
গর্ভাশয়ে সানাইয়ের সুর বাজাতে হলে
এবার খোল ভাঁজ, চোখে দেখি যমুনার উষ্ণ জল
তারপর দুজনে হই ক্লান্ত দেহ- শরতের শিশির ভেজা ঘাস।
ওগো মায়াবতী, ওগো রূপবতী
ওগো আমার প্রাণের সখি
তুমি আর পরোয়া করিনা
যে যা বলে বলুক লোকে...
আমি তোমার সেই একজনা। যাকে মনের গহীনে
লুকিয়ে রেখেছো সুদীর্ঘ সময় ; র্যৌবনের অনুরাগে;
সোহাগ করেছো কপট রাগের ছলনায়
ধূলো দিয়েছি পরশ্রীকাতর জিজ্ঞাসায়।
ভালবাসা দিয়েছো ঢেলে
নিরব অভিসারে..।
বৃক্ষের শেকড়ের মত দিনে দিনে
শুধু গভীর থেকে গভীরতায়
ঢুকেছি হৃদয়ের গৃহে তোমার ।
এবার শুধু সঙ্গম হোক…
নতুনের আয়োজনে
আমাদের দু’জনার বাগান
এবার ভরে উঠুক ফুলে আর ফলে
চল হই উদাসী প্রেমের বাতায়নে । ..
ছবি: শায়মার দক্ষহাতে আঁকা
এলা লালমনিরহাটে আঞ্চলিক ভাষা। এর অর্থ বোধ হয় এ বেলা।অথবা এখন ।
অশেষ কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় সনেট কবি ও শাহরিয়ার কবির ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩০