বাহুবালী ১ দা বিগেনিং এটা সুনিশ্চিত করেছে যে অমরেন্দ্র বাহুবালীকে হত্যা করে তার বিশ্বস্ত গুলাম কাটাপ্পা। কিন্তু কেন হত্যা করেছে সে ব্যাপারে কোন হিন্টস নেই। দর্শকরা ভেবে ভেবে হয়রান কোন সহজ উত্তর মেলেনি। এই প্রশ্ন এমনই প্রশ্ন যার উত্তর দেখতে উপচে পরা ভীড় থিয়েটারে। ১ম দিনেই ১০০ কোটির রুপীর ল্যান্ডমার্ক ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে মুভিটি । ছবির এত বড় সাফল্যের কারণ দূর্দান্ত একশন, অসাধারণ দৃশ্যায়ন, বিশাল সেট, সিংহাসন দখলের জাকজমকপূর্ণ লড়াইা ,সবাইকে ছাপিয়ে বাহুবালী প্রভাস, মহারানী সিভাগামী, গ্লামারগার্ল দেবাসেনা, কাটাপ্পা এবং ভাল্লালাদেবার অনবদ্য অভিনয়। চরিত্রগলো কিংবদন্তী হয়ে থাকবে। যারা বাহুবালী ১ দেখেছেন তাদের এটা নিশ্চিৎ করে বলা যায় যে বাহুবালী ২ সেটির চেয়ে উৎতর্ষতায় কয়েকগুণ এগিয়ে। বিশেষ করে প্রভাস আর আনুশকার রসায়ন, বাহুবালী এবং ভাল্লালা দেবার দ্বৈরথ, কাটাপ্পা এবং বাহুবালীর নাটকীয় উপস্থাপনা ছবিটিকে করে তুলেছে অনন্য ।
অমরেন্দ্র বাহুবালীর মাহিশমাতির রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হবার সময় অত্যাসন্ন। সেই সময় ভাল্লালা দেবা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেন। তার পিতা এ ব্যাপারে তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। বাহুবালীর দেবা সেনাকে প্রেমে ফেলার গল্প বাহুবালীর সঙ্গে কাটাপ্পার নির্ভরশীলতার গল্প আর এই দুই গল্পের ফাঁক গলে ঢুকে যাওয়া সিংহাসন ষড়যন্ত্র ডালাপালা বিস্তার করতে থাকে ছবির গল্প এগুনোর সঙ্গে সঙ্গে। ভাল্লালা দেবার লালসা পরে দেবাসেনার উপর । রাজমাতা কথা দিয়ে ফেলেন তাকে দেবসেনার ব্যাপারে। অমরেন্দ্র বাহুবালীর সামনে কঠিন পরীক্ষা সিংহাসন অথবা দেবাসেনা যে কোন একটা বেছে নিতে হবে। তিনি বেছে নেন দেবাসেনা । রাজার মুকুট পেয়ে যান ভাল্লালা দেবা আর বাহুবালী সেনাপতি । আবারো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র এবং রাজ প্রাসাদ ছাড়তে হয় বাহুবালীকে। এমনকি মৃত্যু বরণ করতে হয় অমরেন্দ্র বাহুবালীকে কাটাপ্পার কাছে। মৃত্যুর সময় মহারানী সিভাগামী আর নিজপরিবারের রক্ষার দায়িত্ব হত্যাকারী কাটাপ্পার হাতে দিয়ে শ্বেস নিশ্বাস ত্যাগ করে অমরেন্দ্র বাহুবালী । মহারানী কাটাপ্পার কাছে ভাল্লালার ষড়যন্ত্রের কথা জেনে শিশু মাহেন্দ্র বাহুবালীকে মাহিশমাতির রাজা হিসেবে ঘোষনা করে পুত্রের রোষানলে পড়েন।
ছবির দূর্বলতা বলতে একটিই সেটি হলো মহারানীর মত একজন বিচক্ষণ নারী কেন অন্য এক নারী রাজকুমারীর উপর অনধিকার চর্চা করে তার ভালবাসাকে অবজ্ঞা করে ভাল্লালা দেবার কাছে বিয়ে দেয়ার পণ করে বসলেন ।পুরোই অযৌক্তিক ।
এস এস রাজামুলির পরিচালনায় ছবিটি প্রজোযনা করেছে সবু এবং প্রাসাদ। ১৭১ মিনিটের মুভিতে অভিনয় করেছেন প্রভাস ,রানা, আনুশকা শেঠী, তামান্না ভাটিয়া, সত্যরাজ এবং রামায়া কৃষ্ণা।এটির IMDb রেটিং ৯.৩/১০ । আমার রেটিং ৪.৫/৫। মুভিটি সকল শ্রেনীর দর্শকের কাছে ভাল লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস। তবে পুরোপুরি উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই আগে বাহুবালী ১ দা বিগেনিং দেখে নিতে হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ২:২৫