একজন শাহ আহমদ শফি কেন এত শক্তি শালী।সবাই অবাক হয়ে ভাববেন।ব্যাপরটা খুব সহজ।আসলে একজন মানুষ একজন নেতা যিনি সত্যের পক্ষে ডাক দেন তখন ?পরিস্থিতির দাবী।সময়ের দাবী তার মুখে উচ্চারীত হয়।তখন জন জোয়ার সৃষ্টি হয়।
সুপ্রিয় ব্লগার ফিউশন ফাইভ শফি সাহেবকে তার জ্ঞানের পরিধিকে অবজ্ঞা করেছেন।এটা নিশ্চিৎ ভাবেই তার অজ্ঞতা।শফি সাহেব যদি আলেম হয়ে থাকেন।কোরআন আর মাসলামাসায়েল বিষয়ক ওস্তাদ হয়ে থাকেন তাহলে তার জ্ঞানের পরিধিকে খাট করার কোন সুযোগ নাই।পবিত্র কোরআনে সমস্ত জ্ঞানই আছে।এটির শরুতেই সুরা বাকারা শুরু হয়েছে এই বলে যে নিসন্দেহে এই কিতাব তাদের জন্য হেদায়েত স্বরূপ যারা মুত্তাকী ।তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।তিনি যে সমস্ত বিষয়ে জ্ঞান দান করে থাকেন তা ফিউশন ফাইভ জানেন না।
কিন্তু মন্তব্য করার সময় বলে বসলেন একজন সামান্য ব্লগার তার চেয়ে বেশি জানেন।প্রতিপাদ্য বিষয় হলো কি বেশি জানেন?শুধু মাত্র সাইবার নলেজ আর কিছু পুথিগত বিদ্যা। দুইচারলাইন ইংরেজী বেশি জানেন কিনা জানি না। আমি একবার তবলীগে গেলাম ৩ দিনের জন্য সেখানে একজন মুফতি বয়ান করলেন।ইংরেজীতে তার ফ্লোয়েন্সি অসাধারণ।আদতে তিনি একজন প্রকৌশলি ছিলেন।পরে তবলীগ করতে এসে চাকুরী বাদ দিয়ে ভারতের নিজাম উদ্দিনে গিয়ে দাওরা শেষ করে একজন ফতোয়া বিশেজ্ঞ বা মুফতি হয়েছেন।অবাক হওয়ার কিছুই নাই।এই রকম শতশত লোক আছেন। তিনি লন্ডনের তবলীগ জামাতের জিম্মাদার।
তারা হলেন আধ্যাত্মিক নেতা। মানুষ তাদের কেমন সম্মান করে তা দুই চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবেনা।তাদের ছাত্ররা ওস্তাদকে কেমন শ্রদ্ধা করেন তা ও না দেখলে বুঝার উপায় নাই।আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ততটা করতে পারিনা।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কি তার সমালোচনা করবেন?জ্ঞানত করবেন না।কারণ তাতে তার ইমেজ নষ্ট হবে।তিনিও আল্লাহতে বিশ্বাস করা একজন মানুষ।আর ধর্মমতে আলেমরা হলেন নবীর খলিফা।আমি ধরে নিয়েছি তিনি একজন বুজুর্গ ব্যক্তি।আলেম তো অবশ্যই।এবং তিনি জামাত বিরুধী।
তাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে।সাম্প্রতিক আন্দোলন ইসলাম বিরুধী।বিজাতীয় সংস্কৃতির লালন পালন তাদের মূল নীতি।মোদ্দা কথা এরা সবাই মুরতাদ।আর মুরতাদ শক্তিকে ধ্বংস করা আবশ্যক।তাই জিহাদী চেতনা থেকেই তার এই মুভমেন্ট।
-------------------------------------------------------
ইসলামী বিপ্লব হলে কি হতে পারে? (পুরোটাই আনুমানিক অনেক ভয়ানক হতে পারে)
১.রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হবে।
২.সমস্ত স্থপত্য তাদের ব্যাখ্যায় মূর্তি ধ্বংস করা হবে।বঙ্গবন্ধু ,জিয়া কারোটাই বাদ থাকবে না।
৩.মেয়েদের পর্দা করা মাস্ট।
৪.ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা।
৫,কয়েকজন ব্লগারের মৃত্যু।(সবও হতে পারে)সমস্ত ব্লগ নিষিদ্ধ
আরো অনেক কিছু!!!
-------------------------------------------------------------
এটা কিন্তু পাল্টা আন্দোলন করে ঠেকানোর বিষয় নয়।যেখানে স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী নিজেকে আস্তিক প্রমান করার জন্য পারলে এখন তজবী জোব্বাহ পড়বেন।ওমরা হজ্জ করলে করতেও পারেন।অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হয়। তিনি ধরি মাছ না ছুই পানির মতন বামদলদের দিয়ে পারলে ব্লগার দিয়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করবেন।রাশিয়া চীন এসে এই আন্দোলন দমানোর জন্য মিশন ফোর্স পাঠাবেন না।এটা আভ্যন্তরীণ ব্যাপার।আর তাদের হাতে অস্ত্রপাতি নাই। আছে ধর্মীয় চেতনা মূল্যবোধ।তিনি পারেন অন্যকে ঝুকির মধ্যে ঠেলে দিতে এতে তার কিছু যায় আসে না।পরে যারা গেছে তাদের গ্রেফতার করলেই তার দায়িত্ব শেষ!!
---------------------------------------------------------------
নাসির ইউসুফ সাহেব তার সংস্কৃতি বাহিনী দিয়ে এর কিছুই করতে পারবেন না।পারবেন না বাম দলের .০০১% জনসমাজ। পুলিশের হাত কাঁপবে তাদের কিছু করতে। বরঞ্চ তাদের এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা তান্ডব চালাতে পারে জামাত।ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা।
বি এন পি রাজনৈতিক কারণে তাদের সমর্থন দিবে।এতে তাদের সুবিধা হবে।তাদের রাজাকাদের সঙ্গে পেচিয়ে যতটা হেয় করতে পারল আওয়ামীলীগ এখন তারা আওয়ামীলকে নাস্তিক ধর্মবিদ্বেষী বলে তার চেয়ে ১০ গুণ হেয় করতে পারবে।তাদের ভোট ব্যাংক ফুলে ফেপে ওঠবে।
এদিক দিয়ে ব্লগার ধরপাকড় করে সরকার এদিক থেকেও সমর্থন পাবেন না। আবার শুধু প্রপাগান্ডার উপর ভর করে ঝাপিয়ে পরা লোক ব্লগাররা নন।তাদের কে মিসগাইড করা যাবেনা।ব্লগারদের কিছু অংশের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে।তাদের ইউজ করে ফিউজ করা হচ্ছে।শহীদ রুমী স্কোয়াড যেমন।
--------------------------------------------------------------
এখন ব্লগার প্রতিনিধি যদি তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে বুঝাতে পারেন আমরা বাম দল বা নাস্তিক বা সরকারের আজ্ঞাবহ কেউ নয়।হুজুর (শাহ শফিক আহমেদ)আপনি যদি সুরা এখলাছের শানে নযুল আর তরজমা পোস্ট করেন ব্লগে তাহলে আপনিও একজন ব্লগার। আর আমরা দেশের সমাজের অসংগতি গুলো মেলে ধরি। এটা হলো অহিংস আন্দোলন।কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে?
------------------------------------------------------------
আমার ধারণা এখন আমরা প্রতিপক্ষ কে কি কেন কিভাবে তা পুরোপুরি না জেনেই যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরি।প্রতিপক্ষ সম্বন্ধে সম্যক ধারণা নেয়া উচিৎ।তারপর ফিজিবিলিটি স্টাডি।অন্ধের হাতি দেখার মতন কলাগাছ কূলা ইত্যাদি ভাবা যতটা অন্যায় তার চেয়ে বড় অন্যায় মিথ্যা প্রপাগান্ডা।ওটাতো হিটলারে গুয়েবলসীয় থিওরী।শফিক আহমেদকে দেওয়ানবাগীর ভন্ডপীর ভাবা বা প্রচারণা চালনা কবিরা গুনাহ হবে।একজন ভন্ডপীরের যদি এত প্রভাব থাকে।একজন কামেল লোক কতটা শক্তিশালী হতে পারে একটু ভাবেনতো ।নিশ্চিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে ভালো ভেবে নিলাম।এটাই বুদ্ধিামানের কাজ।
--------------------------------------------------------------
গণজাগরণ মঞ্চ ইমরান সহ সকল কর্মকান্ডের কাউন্টার ইমোশন ফুলে ফেপে ওঠছিল।সেটিরই বিস্ফোরণ হলো এই লংমার্চে।হেফাজতে ইসলাম এর।এর শেষ কোথায় কেউ বলতে পারবেনা।
ছবি-প্রথম আলো
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০১