জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)। রাজনীতি করা ভালো। বোকা, সহজ সরল লোকদের রাজনীতি করা ঠিক না। রাজনীতি খুব কঠিন জিনিস। যেহেতু তারা রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, সেহেতু তারা ক্ষমতা যাওয়ার চেষ্টা করবে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করা,, চেষ্টা করা রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য।
তারা কি বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা পূরন করতে পারবে? দেশের অধিকাংশ মানুষ ইতর। বাংলাদেশের মানুষ উপকার করনে ওয়ালাকে ভুলে যায়। কারো কাছ থেকে টাকা ধার নিলে, ফেরত নেয় না। কথা দিলে, কথা রাখার চেষ্টা করে না। পরের টা মেরে খ্ওয়ার ধান্ধা। আমার চরম লেভেলের মেধা থাকলে; স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ চলে যেতাম। এমন পঁচা নাগরিকদের সাথে একসাথে থাকা সম্ভব না।
যাই হওক। বাঙ্গালীদের চাহিদা কি? বা দেশের জন্য আগামী দিনের জন্য কি কি দরকার?
প্রথমে যে সমস্যা আমার চোখে পড়ে, সেটা হচ্ছে কর্মসংস্থান এর সমস্যা। তরুনগণ সরকারি চাকরি পাচ্ছে না। আর বাংলাদেশের জনসংখ্যার আয়তনে অনুপাতে সরকারি স্টাফ খুব কম। মনে করেন ২০ জন পুলিশ দরকার। মনে করেন, একজন অফিসার, ৫ জন কন্সটাবল আর একজন গোয়েন্দা দিয়ে চলছে পুলিশ ডিপারমেন্ট। তারপরেও কিন্তু ১৩ জন স্টাফ শর্ট। তারমধ্যে একজন তো ২৪ ঘন্টা ডিউটি করতে পারবে না। ১৩ জন সবাই তো এক সাথে অফিসে থাকবে না। কারো না কারো ছুটি লাগবে।
সরকারি হাসপাতাল এ গেলে বুঝা যায় যে জনসংখ্যার অনুপাতে ডাক্তারদের সংখ্যা কত কম। এ রকম প্রত্যেক ডিপারমেন্টে চাহিদা মাফিক লোকবল বাড়ানো দরকার।
প্রাইবেট হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গেলে আমরা চেয়ারে বসে সিরিয়াল এর জন্য অপেক্ষা করি। আর সরকারি হাসপাতালে রোগীকে লাইনে দাড়াতে হয়। ব্যাপারটা বুঝেন, কতটা অব্যাবস্থাপনার মধ্যে চলছে দেশ। এরকম অব্যাবস্থাপনা প্রত্যেক ডিপারমেন্ট এর মধ্যে রয়েছে।
রেল লাইন এর সংখ্যা বাড়াতে হবে। ট্রেনের আসন সংখ্যা বাড়াতে হবে। গাইবান্ধা টু ঢাকার ট্রেনের আসন এর চাহিদা মনে করেন দিনে ১০ হাজার। আর সেই লাইনে মোট আসন আছে ৫০০ টি। বাকি চাহিদা কিভাবে পূরন করবে, এই দল।
ঘুমে ধরছে। আরো লিখতে চাইছিলাম। ব্রেন কাজ করছে না। আলসেমি লাগতাছে। কারন রোল নং ৯৯ এর কাছ থেকে A+ আশা করা বোকামি হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪৭