~*~অঃটঃ এটি আমার ২৫০তম পোষ্ট~*~
আধুনিক বিভিন্ন ধাচের অস্ত্রঃ-
সাধারণ অস্ত্রের চেয়ে বেশী ভয়ংকরঅস্ত্র হচ্ছে রাসায়নিক অস্ত্র। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এ ধরনের অস্ত্র প্রথম ব্যবহার করা হয় এবং এরপর থেকে আরো অনেক যুদ্ধেই এই অস্ত্রটি মানুষ মারার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ধরণের রাসায়নিক উপাদানগুলো হয় অত্যন্ত বিষাক্ত এবং এগুলো আপনার শরীরে ঢুকে শরীরের রক্তে বা মস্তিস্কে গিয়ে আঘাত হানবে। আপনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঢলে পড়তে পারেন মৃত্যুর কোলে।
রিসিনঃ-
*রেডির তেল যে বীজ থেকে তৈরী হয় সেখান থেকেই রিসিন পাওয়া যায়।
*১৯৭৮ সালে বুলগেরিয়াতে রিসিন ব্যবহার করা হয় (সরকারীভাবে)।
*পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে।
*ফুসফুসে ঢুকে একে নিস্ত্রিয় করতে সময় নেয় তিনদিন।
*কোন চিকিৎসা নেই।
*মৃত্যু অনিবার্য্য।
টাবুনঃ-
*গ্যাসীয় বা তরল উভয় অবস্থায় থাকতে পারে।
*ত্বক বা নিশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে।
*১৫মিনিট সময় ন্যায় হত্যা করতে।
*ব্লি¬চিং পাউডার ব্যবহার করে এর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ফসজিনঃ-
*বিষাক্ত গ্যাস।
*নিশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রচুর পরিমানে প্রবেশ করলে শ্বাসকষ্ট,ফুসফুসের ক্ষতি ইত্যাদি হতে পারে।
হাইড্রোজেন সায়ানাইডঃ-
*রংবিহীন গ্যাস।
*বেশী পরিমাণে নিশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করলে মৃত্যু অনিবার্য।
ভিএক্সঃ-
*সাধারণ অবস্থায় তরল কিন্তু ব¬াষ্ট করলে গ্যাসে পরিণত হয়।
*অন্যান্য অস্ত্রের তুলনায় ১০গুণ বেশী বিষাক্ত।
*সামান্য একফোটা গায়ে লাগলেই বা নিশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করলেই মৃত্যু অনিবার্য।
*নার্ভ সিষ্টেম বিকল করে দেয়, ফলে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।
*শেষ ফলাফল মৃত্যু।
ক্লোরিনঃ-
*চোখের ক্ষতি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
*আক্রান্ত হবার সাথে সাথে চিকিৎসা করলে এর থেকে বাঁচা যায়।
সারিনঃ-
*নার্ভ গ্যাস জাতীয়।
*চোখ অথবা ত্বকের মাধ্যমে দেহে ঢুকে।
*পেশী নিস্ক্রিয় করে,বিশেষ করে যে পেশীগুলো শ্বাস নেবার কাজে ব্যবহৃত হয়।
*আক্রান্ত হবার ২-৩ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু অনিবার্য।
সোমানঃ-
*টাবুন জাতীয় তবে এর চেয়েও ভয়ংকর।
*১৫ মিনিট সময় নেয় হত্যা করতে।
*চোখ বা ত্বকের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৫