আর একবার যাযাবর হই
ঘুরি সবুজে ঢাকা মেঠোপথে
গোলক ধাঁধায় পড়ি নিয়ত।
ঝাউবনে
ঝাউয়ের সাথে
বৃক্ষালাপে হই ত্রস্ত
সবুজের সাথে চলি
বিহঙ্গের সুখালাপ,
শুনি অবিরত।
চল!
সাঙ্গুর কোলে বসি আর একবার
শুনি তার বয়ে আনা পাহাড়ি ছন্দগান
যেখানে
কাষ্ঠাভিমানে জর্জরিত
দমবন্ধ তার আশ।
ছুঁয়ে দেখার সাধ জাগে
ঐ নীলাকাশ।
চল!
আর একবার
উদারতা নিরিখ করি,
যেথা রুপ যেন তার
সাজানো সারিসারি
যেথা,
সর্ষেক্ষেতে দোল খায়, পুবের হাওয়া
ভ্রমরের কন্ঠে সদা ব্যাকুলচিত্তে গাওয়া
মাকড়সা, যেথা বাঁশবাগানে বুনে স্বপ্নজাল
বাহুবন্দী হবে সেথা অর্বাচিনের দল।
মৃত্তিকা-রানী যেথা বুনে
সুখদিনের স্বপ্ন গুনে ।
চল!
আর একবার বসি হ্রদ পাড়ে
ছায়াপাতা গুনি একএক করে।
গড়ি সেথা নব নগরী
(বান্দরবান শহর)
গেয়ে যাবো গান
শুধু পাহাড়ী।
চল!
আর একবার গড়ি মন-মন্দির
(স্বর্ণমন্দির)
এক সাথে মিলে করি উচ্চশির।
(ক্যাঙ্গর: উপজাতিদের উপাসনালয়)
একসাথে চলি সদা,
সদা করি আলাপন
সবুজ ঘেরা বনানী
হবে অতি আপন।
শ্রান্তিতে বসে পড়ি নীলনির্জনে
পরিশেষের কথাগুলো বলি সঙ্গোপনে।
নয়কো পরজীবি
নয়কো ছায়া হয়ে
আর একবার আয়
চলি কায়া হয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:০৪