পোষ্টের গ্রাভিটি বাড়ানোর জন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত
প্রাথমিক ক্যাচাল: গত অক্টোবর মাসের ২৬ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত (২০০৯ সালের) GeoDev (Geoscience for Global Development) নামে একটি আর্ন্তজাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শিল্পকলা একাডেমিতে। যার আয়োজক বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (Geological Survey of Bangladesh সংক্ষেপে GSB); AGID (Association of Geoscientist For International Development); Bangladesh Geological Society; IGEO (International Geoscience Education Organization)
IUGS (International Unon of the Geological sciences).
এটি মূলত ভূবৈজ্ঞানিক গণের সম্মেলন ছিল এবং এই সম্মেলনে বিশ্বের ৩৫ টি দেশের প্রতিনিধি আসেন। সম্মেলন শেষে ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সুন্দরবন ট্যুরের আয়োজন করা হয়। হ্যা/ না অপশন থাকায় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা অনেকেই ট্যুরে যাননি। এই ট্যুরে প্রায় ৮০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন।
১.
দ্যা বেঙ্গল টুরস থেকে পাওয়া সুন্দরবনের মানচিত্র।
২.
দ্যা গাইড টুরস এর অবসর জাহাজ।
৩.
দ্যা বেঙ্গল টুরস এর ডিংগি জাহাজ।
৪.
দ্যা বেঙ্গল টুরস এর ডিংগি জাহাজের চালক।
জাহাজ থেকে নেমে স্পট দেখার জন্য অবসরের আছে স্পিডবোট এবং ডিংগির নৌকা।
৫.
নৌকায় আমজনতা।
৬.
নৌকায় এক নানীরে দেখা যায়। তিনি নানা সহ এসেছিলেন। নানীর বাড়ি জার্মানী আর নানার বাড়ি ইতালী। নানীর বয়স ৭৫ বছর তিনি ইয়োগা টিচার আর ভেরী স্মার্ট। নানার বয়স ৮৫ তিনি বেশীর ভাগ সময় জাহাজেই ছিলেন কারণ একটু অসুস্থ।
৭.
নাম তার ব্যাঙ্গা আর বাড়ি নাইজেরিয়ায়। ব্যাঙ্গার সাথে আমরা বেশ ব্যাঙ্গাব্যাঙ্গি করেছি। তার সাথে ভালই জমেছিল পোলাপাইনগো। প্রথমে ভেবেছিলাম তার বয়স আমগো লাহান। পড়ে শুনি হের বয়স ৪৭ বছর। আর তিন সন্তানের জনক। সে বেশ বাকপটু। শেষের দিন সে এমন এক বক্তিমা দিয়েছিল। চউক্ষে পানি আয়া পড়েছিল।
৮ থেকে ১১ নং পর্যন্ত করমজল
৮.
ছবিই বলে দিচ্ছে কোন জায়গা। প্রথম পদক্ষেপ এখান থেকেই শুরু।
৯.
ছবির বামপাশের জন আমার কলিগ, দ্বিতীয় জনরে তো চিনেনই, বাম থেকে তৃতীয় জন ভেরোনিকা, অমায়িক একজন মহিলা। সে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে, আসলে সে নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভুত। আর একবারে ডানের জন আমার বন্ধু।
১০.
এক মিনি সাইজের বান্দর তার বাচ্চাসহ পোজ দিছে। এই রকম এক বান্ধর আমাদের এক বসের ডান হাতের আঙ্গুলে কামড় দিয়ে রক্ত বের করে দিছে। কারণ বসে তার সাথে ছবি তুলতে চাইছিল, কিন্তু সে মানতে নারাজ আছিল।
১১.
রাশিয়ান এক আবুলরে দেখা যায়। আবুল এজন্য বলতেছি--আমাদের অনুষ্ঠান শেষের দিন শিল্পকলা একাডেমিতে কালচারাল শো চলছিল। সে তখন বাইরে বসেছিল--দুই ছিনতাইকারী এর কাছ থেকে ১০০০ ডলার, পাসপোর্ট, ভিসা সব কাইড়া লইছে। ক্যামেরাটা শুধু হোটেলে ছিল বিধায় রক্ষা পাইছে।
১২ থেকে ১৪ হাড়বাড়িয়া ইকোটুরিজম
১২.
এখানেও ছবি বলছে হাড়বাড়িয়া ইকোটুরিজম স্পট।
১৩.
হাড়বাড়িয়া ইকোটুরিজম স্পটে নাম না জানা গাছ
১৪.
হাড়বাড়িয়ায় লেকের মাঝখানে একটা মাচাং, বসতে ভালই লেগেছিল।
১৫ থেকে ২১ নং ছবি হিরণ পয়েন্ট এলাকার
ইচ্ছে ছিল রাতে হিরণ পয়েন্টে থাকব, কারণ ঐ এলাকায় রাতের বেলা প্রচুর হরিণ দেখা যায়, যাদের চোখ টর্সলাইটের মত জলজল করে। কিন্তু ভাটার কারণে আমাদের জাহাজ আটকা পড়েছিল। যার দরুণ সাগরের সন্নিকটে মোহনার কাছে রাত কাটাতে হয়েছে।
১৫.
অতি প্রত্যুষে হিরণ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে।
১৬.
১৭.
১৮.
১৯.
এই সময় মনটা ধুকপুক করছিল। কারণ ব্যাঘ্র মামা অতি সন্নিকটে এসেছিল, বানরের আর পাখির কিচির মিচির ডাক শোনা যাচ্ছিল। তার নমুনা নিম্নের ছবিতে।
২০.
কিছুক্ষণ আগে চলে যাওয়া বাঘের পায়ের ছাপ। আর এই সময় প্রচন্ড আসটে গন্ধ ছিল এই জায়গায়। এর থেকে বোদ্ধাগন বিশেষ করে গাইড এবং সিকিউরিটির লোকজন জানান এই কথা। প্রচুর হরিণই হচ্ছে এই এলাকাটায় বাঘের ঘনঘন যাতায়াতের কারণ। লোকজন কম থাকলে একটারে মনে হয় টাইনা লইয়া যাইত।
২১.
আবারও বাঘের পায়ের ছাপ।
২২ থেকে ৩৯ নং ছবি কটকা সমুদ্র সৈকতের
যাওয়ার পথের দৃশ্য:
২২.
কটকা সমুদ্র সৈকতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
২৩.
এগোচ্ছি মনে হয় সৈকত খুব কাছেই।
২৪.
না সৈকতটা খুব কাছেনা। প্রায় ২ কিমি বাঘের ভয়ে ভয়ে হাঁটতে হয়।
২৫.
এই ছবিটা একটু ভালভাবে লক্ষ্য করুন। সমস্যা হলে পরের ছবিতে যান।
২৬.
(শোনা কথা: বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের জাহাজ এখানে ভেঙ্গে পড়েছিল)
কিন্তু প্রস্তরফলকে লেখা:
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে: মতিউর রহমান স্মরণে
বনকর্মচারী, সর্বসাধারণ ও বন্য প্রাণীদের পানীয় জলের জন্য
পুকুর
কটকা, জামতলা
স্মরণখোলা রেঞ্জ
সুন্দরবন বিভাগ, খুলনা।
কিন্তু সেখানে কোন পুকুরও দেখা যায়নি। হয়ত ছিল, কালের প্রবাহে পলি ভরাট হয়ে গেছে।
২৭.
আবারও রাশিয়ান ভদ্রলোক। আসলে লোকটা খুব সহজ সরল।
কটকা সমুদ্র সৈকতে ছুটাছুটি:
২৮.
২৯.
৩০.
পুংটাগুলার আকাম।
৩১.
কি পোজ একেকজনের।
৩২.
অর্ধ দলের ছবি।
৩৩.
এক্কেরে পুরা দলের ছবি।
৩৪.
একজনে কইল রাজকাকড়া। যারে কয় জীবন্ত ফসিল। আমি দেখি স্টিং রে'র মত। যার ল্যাঞ্জার গুতায় অষ্ট্রেলিয়ান কুমির শিকারী স্টিভ আরউইন মারা গেছিল।
৩৫.
কটকা সমুদ্র সৈকতের ভগ্নদশা। সিডরের সময় ধ্বংস হয়েছিল প্রায়, এখন মোটামুটি পুনর্জীবিত হচ্ছে।
৩৬.
সমুদ্র সৈকত থেকে ফিরে আসার দৃশ্য:
৩৭.
৩৮.
৩৯.
সুন্দরবনের কিছু ওয়াচ টাওয়ারের ছবি: ৪০ থেকে ৪২
৪০.
হাড়বাড়িয়াতে এটি।
৪১.
হিরণ পয়েন্টে।
৪২.
কটকা সমুদ্র সৈকত যাওয়ার পথে।
জাহাজ চলাকালীন নদীর দুই তীরের দৃশ্য:
৪৩.
সাদা বক দেখা যায়।
৪৪.
বান্দর আর বক এক ঘাটে পানি খায়।
৪৫.
৪৬.
এর নাম নাকি গোলপাতা। কোন বিশেষ অজ্ঞ যে নামটা দিছে
পাখির চোখে সুন্দরবন যেমন
৪৭.
৪৮.
৪৯.
সান্ধ্যকালীন জাহাজের ডেকে।
৫০.
পুরাটাই টাইটানিকের ঐ দৃশ্যটার লাহান। শুধু কেট আর ডি ক্যাপ্রিও নাই।
৫১.
রাতের বেলা দেশী মুরগীর বার্বিকিউ
সকাল বেলার সূর্য্যি মামা:
৫২.
৫৩.
৫৪.
সান্ধ্যকালীন সূর্য্যি মামা:
৫৫.
৫৬.
৫৭.
৫৮.
৫৯.
৬০.
৬১.
ডিসক্লেইমার: অনেক ঘোরাঘুরির পর একদিন মাত্র বনের মধ্যে গাছগাছালির ফাঁকফোকড় দিয়ে হরিণের দল চোখে পড়েছে। কিন্তু ছবি তোলার সুযোগ পাওয়া যায়নি, তার আগেই তারা চম্পট দিয়েছে। আর এবার হরিণ তেমন একটা চোখে পড়েনি। তাই হরিণের ছবি দিতে পারলাম না বলে দু:খিত। ব্যাঘ্র মামার দেখা না পাওয়ায় তার পায়েরছাপ টুকুই উপস্থাপন করা হলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০২