কম্পিউটার ব্যবহার করেন অথচ ভাইরাসের কবলে পড়েননি এমন কাউকে বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটি শুধু কম্পিউটার ব্যবহারকারীকেই ক্ষতি করে না কম্পিউটার রিলেটেড যত কাজ আছে সব কাজেই ক্ষতি করে থাকে। এটি যেমন একটি কম্পিউটারকে ক্ষতি করে তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান বা একটি দেশেরও ক্ষতি করতে পারে। কারণ কম্পিউটারে একটি প্রতিষ্ঠান বা দেশের সকল তথ্য সংরক্ষণ থাকে। ভাইরাস শুধু বর্তমানে কম্পিউটারকেই নয়; মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ইত্যাদিতেও আক্রমণ করে। অর্থাৎ যে সকল যন্ত্র সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত সেই সকল যন্ত্র ভাইরাস আক্রান্ত হয়।
ভাইরাস কি : ভাইরাস শব্দটি এসেছে জীববিজ্ঞান থেকে। ভাইরাস মানবদেহকে আক্রান্ত করে মানুষের চলন ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। তেমনি কম্পিউটার ভাইরাস কম্পিউটারে আক্রমণ করে এর কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ভাইরাস শব্দের (virus) এর পূর্ণাঙ্গ রূপ হচ্ছে ভাইটাল ইনফরমেশন রিসোর্সেস আন্ডার সিজ (Vital Information Resources Under Seize)। অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কম্পিউটার ভাইরাস এক ধরনের সফটওয়্যার। অর্থাৎ এটা হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যা নিজে নিজে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হতে পারে, স্থানান্তরিত হতে পারে, সংক্রমণ করতে পারে, নিজস্ব সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে এবং অন্য সফটওয়্যারকে আক্রান্ত করতে পারে।
ভাইরাসের উৎপত্তি ও তৈরির কারণ : কম্পিউটার ভাইরাস সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন মাত্র ১৫ বছর বয়সের স্কুল পড়–য়া ছাত্র রিট স্ক্রেন্টা। তিনি নিছক খেলার ছলে এল্ক কোনার নামক একটি ভাইরাস তৈরি করেন যা ভাইরাসের আদিপিতা নামে পরিচিত। পরবর্তীতে প্রখ্যাত গবেষক ফ্রেড কোহেন এর নাম দেন ভাইরাস। শুরুতে নিছক খেলার ছলে ভাইরাস তৈরি হলেও পরবর্তীতে এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ অসাধু লোকেরা সব সময় চায় অন্যের ক্ষতি করতে। তাই ভাইরাসের মাধ্যকে কিভাবে অন্য কম্পিউটারের ডাটা নষ্ট করা যায় সে চেষ্টা অব্যাহত থাকে। সেই চেষ্টার ফলে বর্তমানে ভাইরাসের মাধ্যমে কম্পিউটারের তথ্য, সফটওয়্যারের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নষ্ট করা যায়। এই গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নষ্টের ফলে সেই সফটওয়্যার চালু করা সম্ভব হয় না। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, এক সফটওয়্যার কোম্পানি অন্য কোম্পানির সফটওয়্যার নষ্ট করার জন্য ভাইরাস তৈরি করে। আবার অনেক এন্টিভাইরাস কোম্পানিও তাদের পণ্য বিক্রির জন্য এবং নিজের পণ্যকে সেরা প্রমাণ করার জন্য ভাইরাস তৈরি করে থাকে।
ভাইরাস আক্রান্তের কারণ ও লক্ষণ : সাধারণত এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সিডি ডিস্ক, ডিভিডি ডিস্ক, হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ ইত্যাদি আদান প্রদান করলে ভাইরাস আক্রান্ত হয়। আবার কম্পিউটারে লোকাল নেটওয়ার্ক, বা ইন্টারনেটের সংযোগ থাকলেও ভাইরাস আক্রান্ত হয়। অনেক সময় পাইরেড সফটওয়্যার ব্যবহার করলে ভাইরাস দ্বারা কম্পিউটার আক্রান্ত হয়।
কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে তা বুঝা যায় কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষণ দ্বারা। যেমন কম্পিউটার দেরিতে লোড নিবে, হার্ডডিস্কে বেড সেক্টর দেখায়, EXE ফাইলের আকার পরিবর্তন হয়। ফ্রি মেমরি কম দেখায়, হঠাৎ করে Error Message দেখায়, হার্ডডিস্কের পার্টিশন নষ্ট করে ফেলে, বায়োসের ডেটা মুছে ফেলে, হার্ডডিস্কের ডেটা মুছে ফেলে। সাধারণত কোন কোন ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝা যায়, কিন্তু এমন কিছু ভাইরাস রয়েছে যারা দীর্ঘদিন কম্পিউটারে থাকার পর এক সময় পুরো কম্পিউটারকে আক্রমণ করে।
ভাইরাসের আক্রমণ হতে রক্ষার উপায় : ভাইরাসের আক্রমণ হতে রক্ষার জন্য বর্তমানে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা হয়। তবে শুধু এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে একটি পিসিকে সম্পূর্ণ ভাইরাসমুক্ত রাখা যায় না। কারণ প্রতিদিন নতুন নতুন ভাইরাস আবি®কৃত হচ্ছে। এন্টিভাইরাস ইনিস্টল করার পরদিনই যদি নতুন আবি®কৃত ভাইরাস পিসিতে প্রবেশ করে যা রিমুভ করার মতো ক্ষমতা ঐ এন্টিভাইরাসের না থাকে তবে পিসি আক্রান্ত হয়ে পড়বে। তাই পিসি ব্যবহারে এন্টিভাইরাস ব্যবহারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শুধু প্রতিকার করলে হবে না প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নিতে হবে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা : এই আলোচনা শুধুমাত্র উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য। বর্তমানে সবচাইতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে পেন ড্রাইভ বা ফ্লাশ ড্রাইভের মাধ্যমে। তাই পেন ড্রাইভ ব্যবহার করার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে পেন ড্রাইভ থেকে কম্পিউটারে কোন ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে। নিচে কিছু সতর্কতামূলক টিপস ও পেন ড্রাইভ চালানোর নিয়মাবলী আলোচনা করা হল।
কম্পিউটারে পেন ড্রাইভ বা সিডি প্রবেশ করানোর সঙ্গে সঙ্গে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। এখন সমস্যা হচ্ছে চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পেন ড্রাইভ বা সিডিতে থাকা ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করে। যেহেতু ভাইরাস স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু, স্থানান্তর ও সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে তাই এক্ষেত্রে কোন কমান্ডের প্রয়োজন পরে না। পেন ড্রাইভ বা সিডিতে থাকা অবস্থায় ভাইরাস কোন কাজ করে না। হার্ডডিস্কে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তা বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ শুরু করে। তাই পেন ড্রাইভ বা সিডি থেকে যেন ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রথমে স্বয়ংক্রিয় চালু বন্ধ করা। পেন ড্রাইভ বা সিডি চালু হয় Autorun নামক ফিচার দ্বারা। এই ফিচার দ্বারাই সিডি থেকে মুভি প্লেয়ার বা সেটাপ অটোমেটিক চালু হয়ে যায়। পেন ড্রাইভও এই ফিচারের মাধ্যমে ডবল ক্লিক করলে কি কাজ করবে তা নির্দেশ দেয়া যায়। অর্থাৎ পেন ড্রাইভ আইকনে ডবল ক্লিক করলে পেন ড্রাইভের ফাইল প্রদর্শন না করে অন্য কোন নির্দেশ পালন করবে। আর এই পদ্ধতিকে মাথায় রেখে ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে। পেন ড্রাইভ বা সিডি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয় Autorun.inf নামক ফাইল দ্বারা। এই ফাইলটি কোন ড্রাইভের মূল ডিরেক্টরিতে থাকলে এই ফাইলে যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সবচাইতে আগে সেই নির্দেশগুলো পালন করে। অর্থাৎ এই ফাইলে যে নির্দেশ দেয়া থাকে সেগুলো হচ্ছেÑ সর্বপ্রথম ড্রাইভে রক্ষিত .exe ফাইলগুলো open ও setup হবে। এছাড়াও আরো অন্যান্য নির্দেশ দেয়া থাকে। তাই কোন ড্রাইভে ডবল ক্লিক করে open করলে ঐ ড্রাইভে থাকা virus.exe ফাইলগুলো আগে চালু হবে। তাই এই Autorun.inf ফাইলটি যেন virus.exe ফাইল চালু করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই কারণে প্রথমে পেন ড্রাইভ অটোরান বন্ধ করতে হবে। এজন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এটি একমাত্র উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা করতে পারবে। অন্য অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা নয়।
* প্রথমে start Menu গিয়ে রানে ক্লিক করে run ডায়ালগ বক্স খুলতে হবে। এরপর সেখানে gpedit.msc লিখে ok তে ক্লিক করতে হবে। তাহলে Group Policy নামে একটা নতুন ডায়ালগ বক্সে কিছু তালিকা আসবে।
* এই বক্সের বাম দিকের তালিকার Computer Configuration নিচে অবস্থিত Administrative Templates এ ক্লিক করতে হবে। অতঃপর System সিলেক্ট করলে ডান দিকে কিছু তালিকা আসবে।
* এই তালিকার মধ্যে অবস্থিত Turn off Autoplay -এ ডবল ক্লিক করলে নতুন একটি উইন্ডো আসবে।
* এই উইন্ডোতে Enable নির্বাচিত করে নিচের Turn off Autoplay on তালিকায় All Drives নির্বাচিত করতে হবে।
* এরপর ok তে ক্লিক করে প্রোগ্রামটি বন্ধ করতে হবে।
যেহেতু এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর প্রোগ্রাম তাই অন্য কোথাও ক্লিক না করাই ভাল।
উপরের কাজ সম্পাদন হলে কম্পিউটারে সিডি বা পেনড্রাইভ যাই প্রবেশ করাই না কেন তা আর অটোরান হবে না। তবে পেন ড্রাইভে অবস্থিত Autorun.inf এবং virus.ex ফাইলগুলো রয়েই গেছে। তাই বিশেষ পদ্ধতিতে ফাইলগুলো মুছে ফেলতে হবে।
প্রথমে ফাইলগুলোকে চিনতে হবে। ফাইল চেনার প্রধান উপায় হচ্ছে এর এক্সটেনশান। অর্থাৎ কোন ফাইলটি কি তা বুঝা যায় মূল ফাইলের নামের পর ডটের পর যে অতিরিক্ত অংশ থাকে। যেমন .exe .jpg .mp3 .html ইত্যাদি। ফাইলের আইকন পরিবর্তন হলেও যতক্ষণ এক্সটেনশন পরিবর্তন করা হয় না ততক্ষণ সেই ফাইলের কার্যকারিতা অক্ষুণœ থাকে। যেমন আমরা মাঝে মধ্যে দেখতে পাই অনেক ফোল্ডারে মূল নামের পরে .exe রয়েছে। সাধারণত ফোল্ডার কোন কাজ করে না। কিন্তু এই এক্সটেনশন .exe থাকার ফলে এটি একটি ভাইরাস ফাইল। এটিতে ক্লিক করলে এর মাধ্যমে কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যে সকল এক্সটেনশন ফাইল বিভিন্ন কমান্ড চালানোর ক্ষমতা রাখে সেসব ফাইল হচ্ছে : .exe .com .bat .pif .inf .ini .vbs .js .jar। এরূপ এক্সটেনশন সম্বলিত ফাইলের চেহারা যেমনই হোক না কেন এগুলো থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এগুলো ক্ষতিকর ফাইল হতে পারে।
আবার অনেক সময় বিভিন্ন ফাইল হিডেন অবস্থায় থাকে। তাই সেই হিডেন ফাইল আগে প্রদর্শন করতে হবে। প্রদর্শনের জন্য প্রথমে My computer -এ ডান বাটনে ক্লিক করে Explorer এ ক্লিক করে windows explorer চালু করতে হবে। এবার Tools Menu তে গিয়ে Folder Option এ ক্লিক করতে হবে। Folder Option নামে নতুন ডায়ালগ বক্স আসবে। এ ডায়ালগ বক্সে View এ ক্লিক করতে হবে। এবার নিচে লেখা Show hidden files and folder নির্বাচন করতে হবে এবং Hide extentions for known file types ও Hide protected operating system files (Recommended) এর পাশের টিক উঠিয়ে দিতে হবে। এরপর ok তে ক্লিক করে বের হয়ে আসতে হবে। এ কাজের ফলে সকল হিডেন ফাইল প্রদর্শিত হবে এবং ফাইলের এক্সটেনশান দেখাবে।
Windows Explorer খোলা থাকা অবস্থায় পেন ড্রাইভ প্রবেশ করাতে হবে। এবার এক্সপ্লোরারের বামদিকের তালিকা থেকে পেনড্রাইভ সিলেক্ট করতে হবে। ভুল করেও ডানের আইকনে ডবল ক্লিক করা যাবে না। ক্লিক করলে কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করবে। বাম দিকে পেনড্রাইভে ক্লিক করার পর ডান দিকে পেনড্রাইভের ফাইলগুলো দেখাবে। এখানে যে সকল ফাইলগুলো ক্ষতিকর বা অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে সেগুলো মুছে ফেলতে হবে।
এ পদ্ধতি অনুসরণ করে পেন ড্রাইভের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অধিকাংশ ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
প্রতিকার : কম্পিউটারে যদি ভাইরাস প্রবেশ করেই থাকে তাহলে তা দূর করার জন্য এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির এন্টিভাইরাস রয়েছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভাইরাস তৈরি হচ্ছে ফলে এন্টিভাইরাসও আপগ্রেড হচেছ। তাই একেবারে লেটেস্ট এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা ভাল। যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের জন্য এন্টিভাইরাস অবশ্যই প্রয়োজন। তা না হলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভাইরাস পিসিতে প্রবেশ করবে। বর্তমানে বিনামূল্যে কিছু এন্টিভাইরাস পাওয়া যায় যেগুলো মোটামুটি ভালভাবেই কাজ করে। তবে এগুলো ব্যবহার করার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ ফ্রি এন্টিভাইরাসের মাধ্যমেও কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই ক্রয়কৃত এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা নিরাপদ ও উত্তম। কম্পিউটারে যদি অতিরিক্ত ভাইরাস প্রবেশ করে এবং অধিকাংশ সফটওয়্যার যদি নষ্ট করে ফেলে তবে পুরো কম্পিউটার ফরমেট দিয়ে নতুন করে সেটাপ করা ভাল।
পরিশেষে বলা যায়, ভাইরাস বর্তমানে এমন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে যে, এর মাধ্যমে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। ভাইরাসের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডাটা নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। আবার বিভিন্ন ব্যাংক-এর একাউন্টে গড়মিল করা হচ্ছে। ভাইরাস তৈরি এবং তা বাজারজাতকরণ একটি ক্রাইম। ভাইরাস যে তৈরি করে তাকে সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হিসেবে গণ্য করা যায় না। ভাইরাস তৈরির কারণে ক্ষেত্রবিশেষে জেল-জরিমানাসহ এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। পূর্বে মনে করা হতো শুধুমাত্র ইউন্ডোজ বা আইবিএম ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। এ ধারণাকে ভ্রান্ত করে এখন মেক কম্পিউটারও ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু কম্পিউটার নয় এখন মোবাইলও ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সব সময় এর হাত থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে হবে। শুধু প্রতিরক্ষা করলে হবে না কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে কম্পিউটারে সহজে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারবে না সেটি প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে অপূরণীয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।