নয়ন্তী,
ঐ আকাশ জানে কতটা নিচু হয়ে
চুপচাপ এসে নিশ্বাস ছাড়ে আমার ঘাড়ে,
ঐ নদীর জল জানে কতটা উত্তাল হয়ে
ভাঙছে আমার বেচেঁ থাকার ভিটে টারে।
ঐ থেমে যাওয়া সময় জানে
জীবন কেন চলছেনা না মাঝপথে,
ঐ মনভূমি জানে কতটা উৎপাতে
জীবন অবশেষে পথ খুজেঁ মরুপথে।
ঐ সবুজ জানে কতটা ক্ষত জমে বুকে
কালবৈশাখী যখন আঘাত হানে,
ঐ হৃদয় জানে কতটা পুরা গন্ধ নিয়ে
পথ চেয়ে ছিলো তোমার নামে।
নয়ন্তী,
কেন তবে তুমি একেবারে ছিন্ন হবে
আমার ঐ বেচেঁ থাকা না হয় বৃথাই রবে,
তবুও তুমি থেকো, না থেকেও সবটা জুড়ে
বন্ধুর পথে বন্ধু হয়ে অগোচরে।
তবুও দিনশেষে দিনলিপি গুণে..
কি বুঝে তুমি থাকো একলা মনে,
একদিন পথ শেষে আড়াল হয়ে
খুজেঁ নিয়ো আমায়, বেচেঁ ছিলাম কি দহনে।
দীর্ঘ বছর পরে...
"আজ আমি মন্দ নেই, তুমিও মন্দ নেই
মনে নেই কোন সংশয়,
এখন গভীর জলে, ভুল আবেগে
আমাদের আর নেই কোন হারাবার ভয়। "