ওরা দুইজনে ডিটারমাইন্ড থাকাতেই হয়তো ওদের বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হয়েছিল।
কিন্তু বিয়ের পর পর ও আনিস যতবার শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে খালি জুটেছে অনাদর আর শ্বাশুড়ির খোঁটা।টিনা এইটা নিয়ে অনেক ঝগড়াঝাটিও করেছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
শেষে বাধ্য হয়ে শ্বশুড়বাড়ি যাওয়া একরকম বন্ধই করে দিয়েছে আনিস।
অবশ্য শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের এহেন আচরণে আনিস কিংবা টিনা কারোই ভালোবাসায় কোন প্রভাব ফেলেনি।আনিসের ছোট চাকরিতেও দিব্যি চলছিল দুজনার ছোট্ট সংসার।
তারপর ...ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আরকি কিছুদিন পরই একটা ভয়াবহ কার অ্যাক্সিডেন্টে টিনা দারুনভাবে আহত হয়।র্দুঘটনাটিতে ভয়াবহভাবে পুড়ে যায় টিনার শরীর।সারা শরীরই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার, কিন্তু ডাক্তারের ভাষ্যমতে সবচে বাজে অবস্থা মুখের।ডাক্তার জানালেন, কসমেটিক সার্জারি করতে হবে।অন্য কোথাও থেকে চামড়া এনে বসাতে হবে মুখে।কিন্তু টিনার নিজের শরীরের চামড়া এ অবস্থায় সরানো সম্ভব নয়, সমস্যা হতে পারে।
টিনার এ অবস্থায় আনিস তার নিজের শরীর থেকে চামড়া নেয়ার প্রস্তাব দিল।ডাক্তার রাজি হলেন, এবং আনিসের নিতম্ব থেকে চামড়া তুলে টিনার মুখে বসালেন।অবশ্য এই দম্পতি ডাক্তারকে অনুরোধ জানালেন গোটা ব্যাপারটা গোপন রাখার জন্যে।
অপারেশন শেষে দেখা গেলো, টিনাকে আরো সুন্দরী দেখাচ্ছে।আত্মীয়স্বজন তো তাঁকে দেখে অবাক, এবং এতো চমৎকার অপারেশনের জন্যে ডাক্তারকে প্রচুর ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন টিনা-আনিস।
কিছুদিন পর নিরালায় টিনা ধন্যবাদ জানালেন আনিসকে।‘তুমি আমার জন্যে যা করলে, তা আমি জীবনে ভুলতে পারবো না গো, এর প্রতিদান আমি দিতে পারবো না।’ গদগদ হয়ে বলল টিনা।
আনিস তাকে একহাতে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘ও কিচ্ছু না, লক্ষীটি।আর তোমার প্রতিদান দিতেও হবে না।যতবার তোমার মা এসে তোমার গালে চুমো খাবে, আমার প্রতিদান পাওয়া হয়ে যাবে।’
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৬