অনিন্দিতা,
যে কোন অবস্থায় পাশে থাকব বলেই অনন্ত যাত্রায় সঙ্গী হতে চেয়েছি তোমার সাথে।আস্তে আস্তে সবকিছুই দখল করতে চাই,যেমন তোমার পৃথিবীটা।সবাই থাকুক ব্যাস্ত তাদের কাজে, তুমি শুধু থাকবে মোর পাশে।
কতটা যে একা তুমিহীনা মনে হয় ভিটামিনের সল্পতায় শরীর বয়ে চলা এক পথ শিশু,তুমিও কি এমন করে ভাবো?
জ্বলে পুরে কয়লা হতে পারলেই তো তোমাকে খুঁজে পাব আমি
হয়তো কোন শ্রাবনে তোমারই কাছে ফিরব,খুব স্বক্ত করে হাতটি ধরে ঐ কাজল আঁখির পানে চেয়ে বলব ভালবাসি একদিন।তোমাকে পাবার ব্যাকুলতা,তোমায় ছুঁয়ে থাকার ইচ্ছে আমার আজন্ম বাসা বাঁধেমনে,হতাশা আমায় পায় না অপেক্ষার মহাকাল পাড়ি দিতেও,আমি ক্লান্ত হই না
তোমার প্রতি ভালবাসা ধূসর হয় না এতটুকুও,তোমাতেই ডুবে থাকি আমি,প্রত্যেকটি সকাল,দুপুর,বিকেল যে পথ ভুলা বালকটি তোমাকে ভেবে যাত্রা শুরু করেছিল তার পথ তুমিহীনা কখনও শেষ হবেনা।
আসলে এইদেশে গবেষকের অন্ত নাই । সবচেয়ে গবেষক হওয়া ।এই গবেষণায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন নাই ।সবাই বলে এই করো সেই করো আরে ব্যাপার নাকি বা না পেলেই বা ক্ষতি কি?কেউ বলেনা যে হৃদয় দহন হয়েছে কারো তরে আসলে কি তারে ছাড়া পূর্ন হয়।ভাত ছাড়া রুটি খেয়ে চলা যায় কিন্তু আসলেই কি ভাতের অভাব কেউ পূর্ন করতে পারে?
কেউ কেউ আবার মাইণ্ড গেইম খেলে।আরে বাবা যাকে ছাড়া চলে না মাথর মধ্যে যে ছাড়া কিছু চলে না,তার সাথে এত ভনিতা কি?আমি বাবা সকাল বিকাল চির হার হাভাতে বেহায়ার মত বলে দি তোমায় ভালবাসি।তুমি ছাড়া অক্সিজেনের অভাবে ভূগি।
এই যেমন আটপৌরে শাড়ি পরে তোমায় দেখলে আমার মাথা ভনভন করে।এক বিকেল চোখ বড় করে তাকিয়ে তোমার সামনে দাড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।আমি কখনই বলব না ''আর একটু সেজে আসো ''কারন যা সুন্দর যা প্রকৃত তাই অনন্ত।তবে চোখে একটু কাজল দিও তোমাকে কাজল দিলে যা লাগেনা।আমি নিশ্চিত কোনএকদিন এই কাজল দেয়া তোমাকে দেখে আমি এ্যাক্সিডেন্ট করে মরব।
সাজাগোজা যার যার কাছে অবসেশন,তোমাকে এমনিতেই ভাল লাগে। কিন্তু যদি সাজে তুমি আনন্দ পাও আমারও ভাল লাগবে।তবে এই আবার একটি সাইনবোর্ড নিয়ে ঘুরতে হবে এই আর কি।"ইহা একান্তই আমার সম্পদ আমর হৃদয়ের কাছে দায়বদ্ধ"এই আর কি।
আয়নায় দাঁড়িয়ে সে তুমি কল্পনা করে একদিনই আমায় দেখ ভুলকরেও তবে সেই দিন নিশ্চিত মৃত্যু হবে আমার।আমি কল্পনায় যাকে দেখেছি , কোনদিন চোখে কাজল ছাড়া দেখি নি ,যাকে নুপুর পরিয়েছি ,তার পা আলতা ছাড়া দেখিনি ।একদিন সে কল্পনায় আমাকে এসে বলেছিল '' আমি শাড়ি পরেছি , একটু দেখতে আসবে ? '' আমাকে দেখে বলেছিল ''আমাকে কেমন লাগছে ? '' অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলেছিলাম , ''ইন্দ্রাণী !'' আমি কখনও ভাবিনি কল্পনার ইন্দ্রানীর সাথে বাস্তবের ইন্দ্রানীর এতটা মিল।
আমি যখন সত্যি তোমাকে দেখলাম,আমার চোখ কোন সাধারন কাউকে খোঁজে না শুধু দেখেছি মায়ায় ভরা চোখ।দেখেছি এক পৃথিবী ভালবাসা।তাইতো ধনুকভাঙ্গা পন করেছি তোমার সাথে সকল দুখে কাঁদব,সুখে হাসব,সকল রোগে তমার শোকে আমার হাত সর্বদাই তোমার মাথার উপর থাকবে। এ মায়াবী চোখে যে মোহনীয় কাঁজল তুমি দাও যে চোখের কাজল কখনও যদি ধুয়ে যায় তা পুরুষ হিসেবে আমার ব্যার্থতা হবে সেই দিন !"সেই দিন প্রকাশ্যে ফাঁসির কাষ্ঠে আমি ঝুলব কথা দিচ্ছি।
তোমার সাথে সমস্ত পাগলামীতে আমি পাগল হবো।এক জীবনে তবু তোমাকে কোথাও যতে দিব না।
এতটুকু বলে শেষ করি,
ভুমিকম্পে শরীর কাঁপলে এখন আর অনুভূতি হয়না,এরচেয়ে অনেক বেশি অনেকবার তোমাকে দেখে আমার হৃদয় কেঁপেছে।
ইতি অনিকেত
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৪