somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার
আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

প্রেমপত্র-৪১

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনিন্দিতা,
যে কোন অবস্থায় পাশে থাকব বলেই অনন্ত যাত্রায় সঙ্গী হতে চেয়েছি তোমার সাথে।আস্তে আস্তে সবকিছুই দখল করতে চাই,যেমন তোমার পৃথিবীটা।সবাই থাকুক ব্যাস্ত তাদের কাজে, তুমি শুধু থাকবে মোর পাশে।
কতটা যে একা তুমিহীনা মনে হয় ভিটামিনের সল্পতায় শরীর বয়ে চলা এক পথ শিশু,তুমিও কি এমন করে ভাবো?
জ্বলে পুরে কয়লা হতে পারলেই তো তোমাকে খুঁজে পাব আমি
হয়তো কোন শ্রাবনে তোমারই কাছে ফিরব,খুব স্বক্ত করে হাতটি ধরে ঐ কাজল আঁখির পানে চেয়ে বলব ভালবাসি একদিন।তোমাকে পাবার ব্যাকুলতা,তোমায় ছুঁয়ে থাকার ইচ্ছে আমার আজন্ম বাসা বাঁধেমনে,হতাশা আমায় পায় না অপেক্ষার মহাকাল পাড়ি দিতেও,আমি ক্লান্ত হই না
তোমার প্রতি ভালবাসা ধূসর হয় না এতটুকুও,তোমাতেই ডুবে থাকি আমি,প্রত্যেকটি সকাল,দুপুর,বিকেল যে পথ ভুলা বালকটি তোমাকে ভেবে যাত্রা শুরু করেছিল তার পথ তুমিহীনা কখনও শেষ হবেনা।
আসলে এইদেশে গবেষকের অন্ত নাই । সবচেয়ে গবেষক হওয়া ।এই গবেষণায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন নাই ।সবাই বলে এই করো সেই করো আরে ব্যাপার নাকি বা না পেলেই বা ক্ষতি কি?কেউ বলেনা যে হৃদয় দহন হয়েছে কারো তরে আসলে কি তারে ছাড়া পূর্ন হয়।ভাত ছাড়া রুটি খেয়ে চলা যায় কিন্তু আসলেই কি ভাতের অভাব কেউ পূর্ন করতে পারে?
কেউ কেউ আবার মাইণ্ড গেইম খেলে।আরে বাবা যাকে ছাড়া চলে না মাথর মধ্যে যে ছাড়া কিছু চলে না,তার সাথে এত ভনিতা কি?আমি বাবা সকাল বিকাল চির হার হাভাতে বেহায়ার মত বলে দি তোমায় ভালবাসি।তুমি ছাড়া অক্সিজেনের অভাবে ভূগি।
এই যেমন আটপৌরে শাড়ি পরে তোমায় দেখলে আমার মাথা ভনভন করে।এক বিকেল চোখ বড় করে তাকিয়ে তোমার সামনে দাড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।আমি কখনই বলব না ''আর একটু সেজে আসো ''কারন যা সুন্দর যা প্রকৃত তাই অনন্ত।তবে চোখে একটু কাজল দিও তোমাকে কাজল দিলে যা লাগেনা।আমি নিশ্চিত কোনএকদিন এই কাজল দেয়া তোমাকে দেখে আমি এ্যাক্সিডেন্ট করে মরব।
সাজাগোজা যার যার কাছে অবসেশন,তোমাকে এমনিতেই ভাল লাগে। কিন্তু যদি সাজে তুমি আনন্দ পাও আমারও ভাল লাগবে।তবে এই আবার একটি সাইনবোর্ড নিয়ে ঘুরতে হবে এই আর কি।"ইহা একান্তই আমার সম্পদ আমর হৃদয়ের কাছে দায়বদ্ধ"এই আর কি।
আয়নায় দাঁড়িয়ে সে তুমি কল্পনা করে একদিনই আমায় দেখ ভুলকরেও তবে সেই দিন নিশ্চিত মৃত্যু হবে আমার।আমি কল্পনায় যাকে দেখেছি , কোনদিন চোখে কাজল ছাড়া দেখি নি ,যাকে নুপুর পরিয়েছি ,তার পা আলতা ছাড়া দেখিনি ।একদিন সে কল্পনায় আমাকে এসে বলেছিল '' আমি শাড়ি পরেছি , একটু দেখতে আসবে ? '' আমাকে দেখে বলেছিল ''আমাকে কেমন লাগছে ? '' অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলেছিলাম , ''ইন্দ্রাণী !'' আমি কখনও ভাবিনি কল্পনার ইন্দ্রানীর সাথে বাস্তবের ইন্দ্রানীর এতটা মিল।
আমি যখন সত্যি তোমাকে দেখলাম,আমার চোখ কোন সাধারন কাউকে খোঁজে না শুধু দেখেছি মায়ায় ভরা চোখ।দেখেছি এক পৃথিবী ভালবাসা।তাইতো ধনুকভাঙ্গা পন করেছি তোমার সাথে সকল দুখে কাঁদব,সুখে হাসব,সকল রোগে তমার শোকে আমার হাত সর্বদাই তোমার মাথার উপর থাকবে। এ মায়াবী চোখে যে মোহনীয় কাঁজল তুমি দাও যে চোখের কাজল কখনও যদি ধুয়ে যায় তা পুরুষ হিসেবে আমার ব্যার্থতা হবে সেই দিন !"সেই দিন প্রকাশ্যে ফাঁসির কাষ্ঠে আমি ঝুলব কথা দিচ্ছি।
তোমার সাথে সমস্ত পাগলামীতে আমি পাগল হবো।এক জীবনে তবু তোমাকে কোথাও যতে দিব না।
এতটুকু বলে শেষ করি,
ভুমিকম্পে শরীর কাঁপলে এখন আর অনুভূতি হয়না,এরচেয়ে অনেক বেশি অনেকবার তোমাকে দেখে আমার হৃদয় কেঁপেছে।
ইতি অনিকেত
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×