কেশবতী,
আমি তোমাকে দেখলেই আমার আবেগটুকু আমি সংযত করতে পারি না, সংবরণ করতে পারি না,সে আবেগই ভালবাসা হয়ে তোমার চোখের মায়াবী অনলে আমাকে পোড়ায়। করে হৃদয় তৃষ্ণার্ত। আশান্বিতও করে। ঐ ভালবাসাটুকুই আমার কাছে অনেক। মরূর বুকে তৃষ্ণার্ত পথিকের পানি প্রাপ্তির মত অসীম আনন্দময়। অকল্পনীয় উচ্ছলতার শ্রাবন বর্ষা। মাঝে মাঝে আমি আমার এ আমিকেই চিন্তে পারি না। চিন্তে পারি না আমার এ পরিবর্তনকেও। তোমার মায়া আমাকে তাড়িয়ে ফেরে। সহজাত প্রবৃত্তি হতে আমার আর বের হয়ে আসা হয়না। আবার কখনোও মনে হয় এ ঝোক নয় এ এক অন্য রকম অনুভূতি। অন্য রকম এক মিষ্টি শিহরণের মত অনিন্দ্য সুন্দর। যেন আমি ইচ্ছে করলেই সে সুন্দরের তেপান্তরে করতে পারি আদুল-পায়চারি। সমস্ত দিগন্তরেখা ঘুরে আসতে পারি এক চক্করেই। তেপান্তরেরও থাকে ফনিমনষার বিষ। থাকে ক্যাকটাসের কাঁটা। থাকে সব ভয়ংকর সাপ-বিচ্ছুর চলাচল। এসবরে ভয়েও আমাকে বিচলিত করেনা।
তাই সবসময় তোমার ভাবনায় মগ্ন থাকি। কিছুটা ভয়েও। জানি না হারাবার ভয় করে প্রতিনিয়ত দাহ্।তোমার ঐ মায়াবী চাহুনীর আগুনে হব ছাই। যে অলীক সব ভয়-ভীতি, কল্পনা-আবেগ-অনুভূতি নিয়ে গড়ে উঠেছে আমার হৃদয়ের কন্দরে তাকে এক কথায় শুধু বলতে পারি, ‘আমি তোমার প্রেমে পড়েছি’।যাই হোক তোমার অনিন্দ্য সুন্দর মুখচ্ছবি আমার হৃদয়ে পুজোর অর্ঘ্য নিয়ে বসে আছে সে আমি হলফ করেই বলতে পারি।
এ সময় সবার যা হয় আমারও সে রকমই হয়েছে। আমি অযথাই ভাবি সব ছাইপাশ।'তুমিতে' আমি বুদ হয়ে থাকি সাড়াক্ষণ। অযথাই হেসে উঠে যখন তখন।নিজেকে মাঝে মাঝে তামিল ছবির নায়ক ভাবতে ইচ্ছে করে।তাহলে এক ফুৎকারে মিলিয়ে যেত সব শয়তান।
জীবনের সব কিছুতেই খুঁজে ফিরি তোমারই মুখ।মাঝেমাঝে তোমার দূরে থাকা,নিশ্চুপতার দহনের বিষে নীল হয়ে যাই আমি?মুখোমুখি দাড়িয়ে চিৎকার করে ভালবাসি বলতে না পারার কাঁটারআঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় আমার মন।সামনা সামনি বলে দিলেই তো হয় কতবার যে ভাবি!মানুষ টা আমি তেমন ভীরু নই।প্রতিবাদের মিঠিলে কাধে কাধ মিলিয়ে হাটি।তবু তোমাকে দেখলে কেন যেন আমার গলা শুকিয়ে যায়।জাহিদ হাসান অভিনীত আরমান ভাইয়ের মত খালি এতটুকু বলতে পারি"তোমারে দেখলে আমার লাচ্ছির তিয়াস পায়" কেন জানি সরাসরি বলা হয়ে ওঠে না আমার।খুব হচ্ছে সবার সামনে এই আমি হাটুমুড়ে তোমার সামনে বসে বলে দি ভালবাসি।তারপর না হয় আমার মৃত্যু হোক।
এতটুকু মনে আসে
তোমাকে ভালবেসে প্রথম বেঞ্চের ছাত্রের মত একমনে মুখস্ত বলে দি ভালবাসি,যে হৃদয়ের ভিতরে জাবেদা খতিয়ান গুলে খেয়ে প্রত্যেক লাইনে আঁকে তোমারই চোখ,হৃদয় সদা তোমার দিকে পাখি হয়ে উড়ে যায়,মেঘ হয়ে ভেসে যায়,জন লক Peter Drucker বা ফিলিপ কটলারের রসকস হীন পলিসিতেও খুঁজে নেয় প্রেমপত্র।সাহিত্যিক বা মহান কবি এমন কেউ আমি নই তবুও এই আমি কিনা তোমাকে নিয়ে লিখে যাই একশ একটা প্রেম পত্র।এই আমি কিনা তোমাকে নিয়ে বাসের পিছনে বসে ওই গুনগুন করে গান গাই,যদিও তা আমার পছন্দ ছিল না কখনই।
তোমাকে লেখা প্রেমপত্র গুলো তেমন ভাল নাও হতে পারে।
তবু তোমার ঠোঁটের কোণে তার সমীকরণকের হাসি অথবা মিষ্টি আগুন পোড়ানো মায়াবী চাহুনী ভেবে অথবা শেষ বিকেলের শাড়ী পড়া সোনার প্রতিমাটিকে নিয়ে লিখে যাই অসংখ্য ইতিহাস যা হেরোডটাস ও করেনি কখনও।
মায়াবতী চোখের ভাষা চেনো না তুমি এই চোখ যে তোমাকেই দেখে ফিরে,ভালবেসে ফিরে কতশত ভুল ব্যাকরণে;প্রভাতফেরী,মোঙ্গল শোভাযাত্রা বা চারুকলার দেয়াল কিমবা পোড়া জংধরা হৃদয়ের দেয়ালে খোদাই করে রক্ত বানানে সদাই লেখি তোমার নাম,জন্মজন্মান্তর ধরে এ বুকে খোদাই হচ্ছে শুধু তোমারই নাম।
ইতি
যোদ্ধা
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৯