somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার
আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

প্রেমপত্র-৪০

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেশবতী,
আমি তোমাকে দেখলেই আমার আবেগটুকু আমি সংযত করতে পারি না, সংবরণ করতে পারি না,সে আবেগই ভালবাসা হয়ে তোমার চোখের মায়াবী অনলে আমাকে পোড়ায়। করে হৃদয় তৃষ্ণার্ত। আশান্বিতও করে। ঐ ভালবাসাটুকুই আমার কাছে অনেক। মরূর বুকে তৃষ্ণার্ত পথিকের পানি প্রাপ্তির মত অসীম আনন্দময়। অকল্পনীয় উচ্ছলতার শ্রাবন বর্ষা। মাঝে মাঝে আমি আমার এ আমিকেই চিন্তে পারি না। চিন্তে পারি না আমার এ পরিবর্তনকেও। তোমার মায়া আমাকে তাড়িয়ে ফেরে। সহজাত প্রবৃত্তি হতে আমার আর বের হয়ে আসা হয়না। আবার কখনোও মনে হয় এ ঝোক নয় এ এক অন্য রকম অনুভূতি। অন্য রকম এক মিষ্টি শিহরণের মত অনিন্দ্য সুন্দর। যেন আমি ইচ্ছে করলেই সে সুন্দরের তেপান্তরে করতে পারি আদুল-পায়চারি। সমস্ত দিগন্তরেখা ঘুরে আসতে পারি এক চক্করেই। তেপান্তরেরও থাকে ফনিমনষার বিষ। থাকে ক্যাকটাসের কাঁটা। থাকে সব ভয়ংকর সাপ-বিচ্ছুর চলাচল। এসবরে ভয়েও আমাকে বিচলিত করেনা।
তাই সবসময় তোমার ভাবনায় মগ্ন থাকি। কিছুটা ভয়েও। জানি না হারাবার ভয় করে প্রতিনিয়ত দাহ্।তোমার ঐ মায়াবী চাহুনীর আগুনে হব ছাই। যে অলীক সব ভয়-ভীতি, কল্পনা-আবেগ-অনুভূতি নিয়ে গড়ে উঠেছে আমার হৃদয়ের কন্দরে তাকে এক কথায় শুধু বলতে পারি, ‘আমি তোমার প্রেমে পড়েছি’।যাই হোক তোমার অনিন্দ্য সুন্দর মুখচ্ছবি আমার হৃদয়ে পুজোর অর্ঘ্য নিয়ে বসে আছে সে আমি হলফ করেই বলতে পারি।
এ সময় সবার যা হয় আমারও সে রকমই হয়েছে। আমি অযথাই ভাবি সব ছাইপাশ।'তুমিতে' আমি বুদ হয়ে থাকি সাড়াক্ষণ। অযথাই হেসে উঠে যখন তখন।নিজেকে মাঝে মাঝে তামিল ছবির নায়ক ভাবতে ইচ্ছে করে।তাহলে এক ফুৎকারে মিলিয়ে যেত সব শয়তান।

জীবনের সব কিছুতেই খুঁজে ফিরি তোমারই মুখ।মাঝেমাঝে তোমার দূরে থাকা,নিশ্চুপতার দহনের বিষে নীল হয়ে যাই আমি?মুখোমুখি দাড়িয়ে চিৎকার করে ভালবাসি বলতে না পারার কাঁটারআঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় আমার মন।সামনা সামনি বলে দিলেই তো হয় কতবার যে ভাবি!মানুষ টা আমি তেমন ভীরু নই।প্রতিবাদের মিঠিলে কাধে কাধ মিলিয়ে হাটি।তবু তোমাকে দেখলে কেন যেন আমার গলা শুকিয়ে যায়।জাহিদ হাসান অভিনীত আরমান ভাইয়ের মত খালি এতটুকু বলতে পারি"তোমারে দেখলে আমার লাচ্ছির তিয়াস পায়" কেন জানি সরাসরি বলা হয়ে ওঠে না আমার।খুব হচ্ছে সবার সামনে এই আমি হাটুমুড়ে তোমার সামনে বসে বলে দি ভালবাসি।তারপর না হয় আমার মৃত্যু হোক।

এতটুকু মনে আসে
তোমাকে ভালবেসে প্রথম বেঞ্চের ছাত্রের মত একমনে মুখস্ত বলে দি ভালবাসি,যে হৃদয়ের ভিতরে জাবেদা খতিয়ান গুলে খেয়ে প্রত্যেক লাইনে আঁকে তোমারই চোখ,হৃদয় সদা তোমার দিকে পাখি হয়ে উড়ে যায়,মেঘ হয়ে ভেসে যায়,জন লক Peter Drucker বা ফিলিপ কটলারের রসকস হীন পলিসিতেও খুঁজে নেয় প্রেমপত্র।সাহিত্যিক বা মহান কবি এমন কেউ আমি নই তবুও এই আমি কিনা তোমাকে নিয়ে লিখে যাই একশ একটা প্রেম পত্র।এই আমি কিনা তোমাকে নিয়ে বাসের পিছনে বসে ওই গুনগুন করে গান গাই,যদিও তা আমার পছন্দ ছিল না কখনই।
তোমাকে লেখা প্রেমপত্র গুলো তেমন ভাল নাও হতে পারে।

তবু তোমার ঠোঁটের কোণে তার সমীকরণকের হাসি অথবা মিষ্টি আগুন পোড়ানো মায়াবী চাহুনী ভেবে অথবা শেষ বিকেলের শাড়ী পড়া সোনার প্রতিমাটিকে নিয়ে লিখে যাই অসংখ্য ইতিহাস যা হেরোডটাস ও করেনি কখনও।
মায়াবতী চোখের ভাষা চেনো না তুমি এই চোখ যে তোমাকেই দেখে ফিরে,ভালবেসে ফিরে কতশত ভুল ব্যাকরণে;প্রভাতফেরী,মোঙ্গল শোভাযাত্রা বা চারুকলার দেয়াল কিমবা পোড়া জংধরা হৃদয়ের দেয়ালে খোদাই করে রক্ত বানানে সদাই লেখি তোমার নাম,জন্মজন্মান্তর ধরে এ বুকে খোদাই হচ্ছে শুধু তোমারই নাম।

ইতি
যোদ্ধা
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×