পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে দেশজুড়ে। দিনবদলের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তিত হয়েছে আমাদের চারপাশ। তার ছোঁয়া লেগেছে রূপভাবনায়ও। আগের দিনকার রূপ সচেতনতা পর্যায়ক্রমে হয়ে উঠেছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। আবার রিসাইক্লিং ধারা অনুসরণ করে ফিরে এসেছে পুরোনো ফ্যাশনগুলোও। তবে তার সাথে যোগ হয়েছে নতুন ভাবনা।
চুলের স্টাইলের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে হেয়ার রিবন্ডিং। অনেকের কাছে কৃত্রিমভাবে চুল কোকড়ানো বা কার্লিভাবটাও প্রিয় বলে বিবেচিত হয়েছে। হেয়ার এক্সটেনশন করে চুলের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্য বাড়াতে দেখা গেছে অনেককে। একই সাথে চুলে মাল্টিকালারের রিবন ব্যবহারের জনপ্রিয়তাও ছিল আকাশচুম্বি।
চোঁখের সাজের ক্ষেত্রে ফিরে এসেছে সেই পুরোনো ট্রেন্ড। ’৬০ দশকের মতো করে আইলাইনার দিয়ে টেনে চোখকে লম্বা একটি ভাব দেয়ার প্রবণতা দেখা গেছে অনেকের মাঝে। এর সাথে চোখে ঘনকালো করে শ্যাডো দিয়ে ধোঁয়াশা ভাব তৈরি করেছে অনেকে। এছাড়া দুই চোখে ভিন্ন ভিন্ন রঙ ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে চোখ। উপরে নিচে সমান পুরুত্বে কাজল ব্যবহারও যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে।
নতুন করে সাজিয়ে তোলার ধারাবাহিকতায় খানিকটা ভাটা পড়েছে ঠোট সাজানোতে। অবশ্য সাদাসিদে ঠোঁটটাই অধিকাংশের কাছে ফ্যাশন বলে পরিচিত হয়েছে। গাঢ় রঙের পরিবর্তে ঠোঁটের সাজে ব্যবহৃত হয়েছে হালকা রঙ। পাশাপাশি ছিল গ্লস ব্যবহারের আধিক্য। গ্লসের উপর গ্লিটার ছড়িয়ে দিয়ে ঠোঁটের সাজকে নেয়া হয়েছে ভিন্ন উচ্চতায়।
ফ্যাশন সচেতন তরুণীদের কাছে সম্প্রতি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে মেহেদী ব্যবহার। লাল মেহেদীর স্থলে বেড়েছে কালো মেহেদী ব্যবহারের প্রবণতা। মেহেদী ব্যবহারের স্থানের ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। হাতের তালুর বদলে পিঠের অংশেই মেহেদী পরতে দেখা গেছে অধিকাংশকে। ট্যাটু ব্যবহারের প্রবণতাও বেড়েছে অনেকখানি।
সবকিছু ছাড়িয়ে একদম নতুনভাবে ট্রেন্ডে যুক্ত হয়েছে নখের সাজ। একাধিক কোট ব্যবহার করে নখের বাইরে খানিকটা অংশ সাদা করার যথেষ্ট মাত্রায় লক্ষ্য করা গেছে। নখে নানারঙের স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে ভিন্ন লুক। তাতে আধুনিকতার পাশাপাশি ছিল ভিন্নতার ছোঁয়া।