ভৃত্য: প্রভু, লাল দাড়ির এক লোক, মাথায় টুপি আলা লোক স্বর্গে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক। হাতে বই।
প্রভু: অবশ্যই। আলেম লোক বলে মনে হয়। তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হউক। তবে তুমি কি কোন পাখির ডাকা ডাকি শুনতেছো ?
ভৃত্য: হু প্রভু, লোকটা ময়না পাখি টিয়া পাখি ডাক হাকতেছে।
প্রভু: পাখি প্রেমি বলে মনে হয়। কোথায় সে এখন?
ভৃত্য: বললেন মেজর জিয়ার সাথে দেখা করে আসতেছেন।
(জিয়া এবং সাঈদি)
সাঈদি: মাওলানা জিয়া, কেমন আছেন স্যার।
জিয়া: আমাকে মাওলানা ডাকো কেন বুঝলাম না।
সাইদি: আমার মত আবাল রে মানুষ মাওলানা ডাকলো কেন তাই বুঝলাম না, আপনের টা কেমনে বুঝি?
জিয়া: আছো কেমন? কি করবা এখানে ভাবতেছো।
সাঈদি: ভালো আছি, ধোলাইখালের নাট বল্টু পার্টস এর ব্যবসা টা এখানে আনবো । মেশিনারিজের ব্যবসা।
জিয়া: হু, মেশিন.....
সাঈদি: কাঠাল কাঠ দিয়া একটা টেবিলও বানাবো... তারপর মেশিন চালাবো
জিয়া: ড্রিলিং ?
সাঈদি: অনেক সেরকমই। আপনের বস কেমন চলে।
জিয়া: কোদালে ধারাই....
সাঈদি: কোদাল কেন ?
জিয়া: খাল কাটি। স্বর্গে খাল কম।
সাঈদি: বস, খাল বিল নদী তো কম কাটলেন না। পোলা দুইটা দেইখা কিছু শিখেন। খাম্বা বেইচা কি করলো।
জিয়া: আমার দুইটা ছেলে ?
সাঈদি: হ, তারেক, কোকো...
জিয়া: হু দ্য ফাক ইজ কোকো ? ও কবে হইলো... এটা কি বললা মাওলানা....
সাঈদি: ইয়ে.... আমি একটু যাই....টেনশন কইরেন না স্যার। টেনশন করলে পা টা একটু ফাক করে রিলাক্সড অবস্থায় বসবেন....
জিয়া: এই.. কি বলো...
সাঈদি: এইটা যোগ ব্যায়াম....রং ইন্টারপ্রিটেশন করেন হুদাই...
(প্রভু এবং ভৃত্য)
ফেরেশতা: প্রভু, খবর খারাপ।
প্রভু: কি হইছে ?
ফেরেশতা: সাঈদি ১০-১২ টা হুর এর ফোন নম্বর জোগার কইরা রাতে ফোন দেয়। আর বলে মেশিন চলবে।
প্রভু: না না, রাতে কারখান বন্ধ। ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী।
ভৃত্য: এইটা প্রভু অন্য মেশিন। নাউজুবিল্লাহ। তার ওপর সবাই চেতা। একজন বাদে।
প্রভু: খুশী কে ?
ভৃত্য:লইট্যা মাছ বিক্রেতা
প্রভু: ডাকো সাঈদি কে....
(প্রভু এবং সাঈদি)
প্রভু: তুমি কে, আমি তো সাঈদি কে ডাকতে বলছিলাম...
সাঈদি: আমিই আল্লামা সাঈদি
প্রভু: তোমার মেহেদী দেয়া দাড়ি কই ?!! ক্লিন শেভড কেন ?
সাঈদি: বাল কাটি ফালায় দিছি। পার্টের ব্যাপার আছে না একটা প্রভু ?
প্রভু: কনভার্স, জিনস.... তবে তোমার একটা জিনিষ আমার ভালো লাগছে, তোমার হাতে একটা বই। তুমি আসলেই জ্ঞান তাপস। কি বই ?
সাঈদি: রসময় গুপ্ত পার্ট ২....
প্রভু: অসতাগফিরুল্লাহ ম্যান....
পৃথিবীর মানুষ কে তুমি দেখাতে তুমি আলেম আর তুমি পড়তা রসময় গুপ্ত?
সাঈদি: পার্ট-২ টা জমাইয়ছে ভালো প্রভু... দাড়ান পড়ে শুনাই...
প্রভু: খামোশ.....দূর হ...
(ভৃত্যের আগমন)
ভৃত্য: ভয়বহ ঘটনা। স্বর্গের চত্বরে কিছু তরুনের উপস্থিতি ঘটেছে হুজুর। স্লোগান দেয় তারা।
প্রভু: কি স্লোগান ?
ভৃত্য: স-তে সাঈদি, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
প্রভু: শিট, পরিস্থিতি কেমন?
ভৃত্য: ভালো না হুজুর, রাতে টক শো চলতেছে সমানে। গত রাতে ইয়াহিয়া খান রে নরক থেকে টক শো ডাকা হইছে। এক মুক্তিযুদ্ধা তারে লেংটা করে দিছে। আজ টক শো তে নাকি জিয়া আসবে।
প্রভু: টপিক কি?
ভৃত্য: জিয়া জামাত রে রাজনীতি কেন বৈধতা দিছিলো আর গোলামের নাগরিকত্ব ফিরায় দিছিলো।
প্রভু: স্বর্গীয় চত্বরের লোক তো বাড়তেছে... তুই রাজাকার তুই রাজাকার আওয়াজ বাড়তেছে।
ভৃত্য: এক পোলা স্লোগান ধরছে- স তে সাউয়া... তুই রাজাকার.... তুই...
প্রভু: খারাপ কথা না...নাম কি ওই পোলার...
ভৃত্য: সিডাটিভ হিপনোটিক্স...
প্রভু: ও তো এখনো পৃথিবী তে, এখানে আইলো কেমনে!!!
ভৃত্য: পোলায় কয়, রাজাকার গো পিছ ছাড়বো না, তা ইহকালেই হোক আর পরকালেই...নাসার রকেট ছিনতাই করে আসছে মে বি।
প্রভু: তবে আর কি, সাঈদি কে নরকে পাঠানো হোক।
(হন্তদন্ত হয়ে ভৃত্যের আগমন)
ভৃত্য: অবস্থা খারাপ হুজুর।
প্রভু: কি হইছে ?
ভৃত্য: নরকে তো ম্যাসাকার অবস্থা।
প্রভু: কিসের ম্যাসাকার?
ভৃত্য: সাঈদি ইবলিশ শয়তানের পুটু মাইরা দিছে। আর বলতেছে - মেশিন চলবে
প্রভু: সর্বনাশ!!
ভৃত্য: শয়তান রা দৌড়ে ওপর আছে। যারে পাইতেছে তারেই পুটু মারতেছে। ইবলিশ দৌড়ের উপরে।
প্রভু: তুমি একটু সাবধানে থাইকো, বলা যায় না কখন কার... ইয়ে... আমি ডাক্তার ডাকি।
ভৃত্য: সাঈদির মানসিক চিকিৎসা করাবেন ?
প্রভু: কস কি মমিন, ওর করুম মানসিক চিকিৎসা ? ওর মেশিন অফ করতে হবে। সাবধান থাকো , জাতি আজ বিপদে।
[ পুরোটাই কাল্পনিক। কেউ পরকালের সাথে মেলাতে চাইলে নিজ দায়িত্বে মেলাবেন। সাঈদি বাদে কাউকে হেয় করার উদ্দেশ্যে রচিত নয়। এবং অবশ্যই একটি সিডাটিভ হিপোনটিক্স প্রডাকশন]
ব্লগে গতকাল সাঈদীকে নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম , কার পুটু গিয়েছিল জানি না, দেখি আজকে কার পুটু যায়