সকাল থেকেই মাথায় ভূত চাপছে পোস্ট দিব।কিন্তু কি নিয়ে??মাথায় তো কিছুই আসছে না।অবশেষে এই সিকুয়েল পোস্টের কথা মাথায় আসলো।যেই চিন্তা সেই কাজ।প্রথমেই বলে নিই যে স্থান কাল আর ঐতিহাসিক গুরুত্বের দিক থেকে পৃথিবীর কিছু জায়গা অন্য আট দশটা জায়গা থেকে একেবারেই আলাদা হয়ে উঠে ।কিছু জায়গা থেকে যায় সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে , আর কিছু জায়গা অস্তিত্ব সম্পর্কেই মানুষ সন্দিহান থেকে যায় আজীবন অথবা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।এই রকম কিছু রহস্যময় জায়গা নিয়েই এই পোস্ট—
RAF Menwith Hill :
সারা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এক বিস্ময়ের নাম এই মেনওয়িদ হিল।এটি আমেরিকার ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত।এটি একটি মিলিটারি বেইজ যেটি ইখেলন গ্লোবাল স্পাই নেটওয়ার্কিং এর সাথে সংযুক্ত।আমেরিকা আর ইংল্যান্ড কে ইন্টিলিজেন্স সাপোর্ট দেওয়ার জন্যই এটি তৈরি করা হয়।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক মনিটরিং স্টেশান এখানেই রয়েছে।তবে পুরো জায়গার চারপাশে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা এতটাই জটিল সাধারণ মানুষের ওই পুরো এলাকায় ঢুকা এক্কেবারেই অসম্ভবের পর্যায়ে পড়ে। রোমান্সপ্রিয় কেউ যদি সে সপ্ন কখনো দেখেও থাকে তা স্রেফ আকাশকুসুম কল্পনাই হবে।
Room 39:
১৯৭০ সালে গঠিত এই অরগেনাইজেসানটি উত্তর কোরিয়ার একটি সিক্রেট অরগেনাইজেসান।ঠিক কি উদ্দেশ্য নিয়ে এটি গঠিত হয় তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।তবে এই অরগেনাইজেসানটিকে পৃথিবীর অনেক বড় বড় অপরাধের সাথে জড়িত বলে ধরা হয় এবং এই কাজগুলো সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানেই করা হয়।আপনারা কি সুপার ডলারের নাম শুনেছেন?? যাদের জন্য ব্যাপারটি নতুন তাদের জন্য বলছি এগুলো হচ্ছে আমেরিকান ডলারের নকল ভার্সন অথবা জাল ডলার যেটি পৃথিবীর সব গোয়েন্দা সংস্থা অথবা আমেরিকার মত দেশের নিরাপত্তা ব্যাবস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হল এগুলো ছিল মূল ডলারের মতই উন্নতমানের কটন- লিনেন বেন্ড দিয়ে তৈরি এবং আমেরিকার মুদ্রার অনেক সিকিউরিটি ফিচার এখানে রিক্রিয়েট করা হয়েছিল।এই পুরো ব্যাপারটার জন্য রুম ৩৯ এর দিকেই আঙ্গুল তোলা হয়েছিল সরাসরি।বিভিন্ন রকমের নিষিদ্ধ অস্ত্র কেনাবেচা এবং সুইস ব্যাংকের কিছু একাউন্টের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে ইন্সিওরেন্স ফ্রডের জন্য এই অরগেনাইজেসনটি দায়ী।যেখানে পৃথিবীর সব বড় বড় গোয়েন্দা সংস্থা গুলো সবসময়ই এদের কাছে নাকানি চুবানি খায় হর হামেশাই আমাদের মত সাধারণ মানুষের তাদের আস্তানায় ঢুকার কল্পনা নেহাতই হাস্যকর।
Mount Weather Emergency Operations Center
১৯৫০ সালে আমএরিকার ভার্জিনিয়াই এটি তৈরি হয়।মুলত তখনকার সমসাময়িক শীতলযুদ্ধের প্রেক্ষাপটেই এটি তৈরি করা হয়। এটি fema (federal emergency management agency) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।কেন এটিকে এতটা গোপন রাখা হয়েছে??আসলে এটি মুলত যেকোন জাতীয় বিপর্যয়ের সময় আমেরিকার (অতি) উচ্চপর্যায়ের নাগরিক আর মিলিটারি অফিশিয়ালদের জন্য এটি সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।কে জানে আমেরিকানরা হয়তো সত্যি সত্যি কোন doomsday এর জন্য অপেক্ষা করছে!!!
White’s Gentlemen’s Club
এটি মুলত ডিজনিল্যান্ডের ক্লাব ৩৩ এর মত একটি ক্লাব।পৃথিবীর সবচেয়ে অভিজাত ক্লাব হিসেবে ধরা হয় এটিকে।লন্ডনে অবস্থিত ক্লাবটিতে শুধুমাত্র সমাজের অভিজাত শ্রেণীর মানুষের ই পদচিহ্ন পড়ে।অবশ্য ক্লাবটির শুরুর ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে।ফ্রাঞ্চিস বিয়াঙ্কো নামে এক লোক এটি তৈরি করে নতুন ধরনের চকলেট বিক্রির জন্য অথচ এটি এখন পৃথিবীর সেরা ক্লাব গুলোর একটি।এই ক্লাবের সদস্য হওয়া রীতিমত একটি সম্মানের বিষয়।টাকা আছে কিন্তু চাইলেই আপনি এর সদস্য হতে পারবেন না, হাজারটা কাঠ খর পুড়িয়ে আপনাকে এই ক্লাবের সদস্য হতে হবে।
পৃথিবীর সবচেয়ে গোপনীয় এবং রহস্যময় পাঁচটি স্থান,চাইলেও যে জায়গাগুলতে যেতে পারবেন না কখনই--সিরিজ ১