আবেগের কারণেই যেমন মানুষ আপ্লুত হয় ঠিক তেমনই আবেগের অনিয়্ন্ত্রনের কারণেই আবার ফেটে পড়ে ক্রোধে, চিৎকারে, চেচামেচিতে বা লঙ্কাকান্ড ঘটিয়ে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তথা নিজের ইন্টারনাল ক্ষতিও করে থাকেন। তাই তো বলি, এই ইমম্যাচিউরড মেন্টালিটি বা আবেগ নিয়ন্ত্রন করতে শিখুন ও হাসিখুশী জীবন যাপন করুন। নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান। ইমম্যাচিউরড মেন্টালিটি বলতে গিয়ে আবার মনে পড়ে গেলো আরেকটি কথা ছোট্ট বাবুরা তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রনে প্রায় অক্ষম থাকে। একটুতেই যেমন একটা প্রজাপতি বা বেড়ালছানা দেখলেই হাসি খুশি মুখে ধরতে দৌড়ায় ঠিক তেমনি একটু ধমকেই ভ্যা করে কেঁদেও ফেলে। অনেকে আবার রুহিনবাবুর মত বাবার ধমকে দুঃখে এবং অভিমানের আবেগে ঠোঁট ফুলায়!
যাইহোক দেখি আবেগ কি বা আবেগের বহিঃপ্রকাশ মাধ্যম কি কি ?
ভালোবাসা,
ভালো লাগা
আনন্দ/ বেদনা
হিংসা/দ্বেষ
রাগ /ক্রোধ
ঝগড়াঝাটি
মারামারি/ খুনাখুনি
উন্মাদনা/ ইগো
যাইহোক, এই আবেগকে নিয়ন্ত্রন না করতে পেরে যখন কেউ কেউ রাস্তার মাঝে গাড়ি থামিয়ে জানালা নামিয়ে নিয়ম ভাঙ্গা কাউকে হাউ মাউ করে গালি দিয়ে ফেলে বা রেস্টুরেন্টে প্রেমিকের সাথে ঝগড়া শুরু করে আশপাশ জানিয়ে ও শেষমেষ ভ্যা করে কেঁদেই ফেলে তাতে নিজে তো বোকার মত আচরণ করেই, এমনকি প্রেমিকসহ অন্যান্যদেরকেও বিব্রত করে এবং নিজেরও বিশেষ ক্ষতি করে থাকে যা তার নিজের অজান্তেই নিজের মাঝে ঘটে যায়, সে নিজেই জানেনা।
তাই আবেগ নিয়ন্ত্রন অবশ্য জরুরী। আবেগ নিয়ন্ত্রণের রয়েছে কিছু পরীক্ষিত কৌশল মানে যখনই কেউ ক্রোধে উন্মাদ হবেন বা রাগে দুঃখে চুল ছিড়তে চাইবেন( নিজের এবং অপরের) বা চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়ি মাথায় করবেন বা কোনো দিশা না পেয়ে পুরাই ধেই ধেই পাগলা নৃত্য তখনই মনে রাখুন-
১. নো কুইক রিয়্যাকশন আই মিন দ্র্বুত প্রতিক্রিয়া না দেওয়া - সোজা ভাষায় রিএক্টিভ না হওয়া! হা হা আমি জানি যারা আমাকে এই ব্লগে থেকে চিনলেও ব্লগের বাইরে একটু বেশি চিনেন তারা আমার এই বানী দেখে হাসছেন বা হাসবেন। কারণ কোনো কোনো বিষয়ে আমি পাবলিকলি প্রতিক্রিয়া না দেখালেও ভেতরে ভেতরে যে অনিয়ন্ত্রিত আবেগটা ধারণ করি তা আমার প্রিয় মানুষদের কাছে প্রকাশ করে ফেলি বা ফেলতাম তবে ইদানিং আমি সে আবেগ কন্ট্রোলের প্রায় ৮৭% সফলতা অর্জন করেছি। আর বাকী ১৩% করে ফেললেই ...... ব্যাস.......
সফলতা অনিবার্য্য!
যাইহোক, কোনো পরিস্থিতিকে আবেগ দিয়ে বিবেচনা না করে যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করতে শিখতে হবে ও তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে পদক্ষেপ ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে, উগ্র বৈশিষ্ঠের স্বভাব বা গালাগালি, ক্রোধ প্রকাশ, অশালীন ভাষার ব্যবহার যুক্তিকে দূর্বল করে ফেলে। আজ আর সেই দিন নেই যে মানুষকে গালাগালি বা মারামারির ভয় দেখাবেন আর সে আত্নসন্মানের কথা ভেবে হলেও ল্যাজ গুটিয়ে পালাবে আর আরেকটা কথাও বলি, এতে নিজের জন্য কোনোই লাভ নেই বরং আপনি এমন বৈশিষ্ঠের হলে পাগল ছাগল বা না পাত্তার পাত্রই প্রতীয়মান হবেন সে আপনার প্রিয়জনের কাছেও! হুম পাগলা গারদেও ঠায় হতে বেশিদিন সময় লাগবে না বলে দিচ্ছি। কাজেই সাধু সাবধান!
২. সঠিক সমাধান - আমার কাছে ব্যাপারটা সময় নিয়ে হলেও সঠিক ডিসিশন নেওয়াটাকেই বুঝায়। যে বিষয়গুলোতে আমরা ইমোশননাল হয়ে পড়ি সেসব থেকে মন ডাইভার্ট করতে হবে, না পারলে মন থেকে মুছেই ফেলতে হবে যে সব স্মৃতি বা ঘটনা আমাদেরকে ইমোশনাল করে তোলে। নয়তো অন্য কিছুর প্রতি মনোযোগী হওয়া বা ডাইভার্ট করে ফেলাটাও একটি সমাধান হতে পারে। ওপেন ডিসকাসনের সুযোগ থাকলে যার সাথে মনোমালিন্য হয়েছে তা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। সমাধান হলে হলো, নইলে বিদায় বা আলবিদা।
৩. সচেতনতা - সচেতনা বৃদ্ধি বা আবেগ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে ওয়াকীবহাল থাকাটাও একটি জরূরী ব্যাপার। কোন কোন পরিস্থিতিতে আবেগ কন্ট্রোলে থাকছে না সেগুলো খেয়াল রাখতে হবে। রাগ, দুঃখ, ভালোবাসা, ভালোলাগা, ক্ষোভ, ক্রোধ, হতাশা, অস্থিরতা এসব নেগেটিভ ব্যাপারগুলোর কারণ চিহ্নিত করতে হবে।
৪. চিন্তার পরিবর্তন - যেসব বিষয় নিয়ে ভাবলে আবেগ নিয়ন্ত্রনে থাকেনা বা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়তে হয়, সেসব বিষয় মনে পড়লে সাথে সাথে চিন্তা পরিবর্তন করতে হবে। সে সময় ভালো কোনো স্মৃতির কথা মনে করা যেতে পারে কিংবা মহাজাতকীয় বুদ্ধি, একটি ফুলের বাগানে আপনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আকাশ থেকে একজন পরী নেমে এলো অথবা একদিন রাস্তায় কোটি কোটি টাকার বান্ডিল কুঁড়িয়ে পেলেন.... ইত্যাদি ইত্যাদি এবং ইত্যাদিও । এইভাবেই চিন্তাধারা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে আবেগাপ্লুত না হয়ে আত্মনিয়ন্ত্রন বা আবেগ নিয়ন্ত্রন সম্ভব!
৫. ইতিবাচক হওয়া - ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা বা ডিসিশন কিংবা পজিটিভ থিংকিং আবেগ নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পজিটিভ একটিভিতে জীবনের এচিভমেন্টগুলো ভাবতে হবে। তাহলেও নেক্সট পদক্ষেপেও ভুল হবার সম্ভাবনা কম।
এসব ছাড়াও তাৎক্ষনিক আবেগ নিয়ন্ত্রনেরও কিছু অব্যার্থ কৌশল আছে-
১।শ্বাস নিয়ন্ত্রণ - শান্ত হয়ে মোটামুটি নিরিবিলি কোনো জায়গা খুঁজে বসতে হবে। কিছুক্ষণ স্বাভাবিক শ্বাস নেবার পর খুব ধীরে নাক দিয়ে ফুসফুস ভরে শ্বাস নিয়ে শ্বাসটা ভেতরে ধরে রাখতে হবে ও ১,২,৩ ৪ পর্যন্ত গুনতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস বের করে দিতে হবে।
২। ইতিবাচক ভঙ্গি রপ্ত করা- চলাফেরা এবং কাজেকর্মে ধীর, আত্মবিশ্বাসী এবং ইতিবাচক ধ্যান-ধারণা ও অঙ্গভঙ্গি ধরে রাখতে হবে। বসা বা দাঁড়ানো বা হাঁটা চলার সময় ভগ্ন হৃদয় বা ত্রিভঙ্গ মুরারী না হয়ে, সোজা এবং দৃঢ় স্মার্ট ভাবটাই প্রাকটিস করতে হবে। সোজা কথা তাৎক্ষনিক আবেগ নিয়ন্ত্রনে ভাবতে হবে, কন্ট্রোল ইওর আবেগ বাট ডোন্ট লেট ইট কন্ট্রোল ইউ!!!!!!!!
৩। হালকা ব্যায়াম- এ ব্যাপারে খুবই কার্য্যকরী ব্যায়াম। ব্যায়ামের বদলের হাঁটার অভ্যাসও করা যেতে পারে। হাঁটার ফলে এন্ড্রোফিন নামক রাসায়নিক পদার্থের সিক্রিয়েশনে মুড পজিটিভ হয়ে যায়। তবে আবেগ নিয়ন্ত্রনে তক্ষনি হাঁটা শুরু করাটা মনে হয় সঠিক হবে না।
৪. লেখালিখি- এটা একটা দারুন কৌশল! লেখালিখি করে মনের আবেগগুলো বের করে দেওয়া যায়। ১ সপ্তাহ বা ১ মাস পরে সেসব পড়ে নিজেকে চিনে নিতে হবে কি কি বিষয়গুলি আবেগকে প্রভাবিত করে। এইবার সে সবের নিয়ন্ত্রন সহজ! এভয়েড অর কন্ট্রোল অর কন্ট্রোল অলটার ডিলিট।
৫। নিজের কথাগুলো বলুন- শেয়ারিং একটি ভালো উপায়। মনের কথাগুলো দুঃখবোধ বা কষ্ট অন্যের সাথে শেয়ার করা! ফোন দিয়ে বা মুখোমুখি বলা যেতে পারে। তবে সাবধান বন্ধু ভেবে হিংসুটে কোনো শত্রুকে মনের ভাব বলে ফেললে ভবিষ্যতে খবর আছে। ( নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে)
৬। জীবনযাপনের ভালো বিষয়গুলো সযত্নে লালন করুন- সুন্দরের প্রশংসা, সুন্দরের চর্চা, প্রতিদিনের ছোটখাটো আনন্দের বিষয়গুলো উপভোগ করা এই অযাচিত আবেগীয় অনিয়ন্ত্রনকে কন্ট্রোল করে। এটা অবশ্য সার্বক্ষনিক আবেগ নিয়ন্ত্রনের কৌশল প্রাকটিস হিসাবেই কাজ করে।
৭। দূরদর্শীতা- হুম এ কারনেই কথায় আছে, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। আবেগ আপ্লুত হয়ে রাগে দুঃখে ক্রোধে অন্ধ হবার আগে ভাবতে হবে এ আবেগ আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে! আবেগের ফাঁদে পড়ে জীবন সংকটই ঘটবে নাতো! দূরদর্শী চিন্তাচেতনাই আবেগ নিয়ন্ত্রণে রেখে ভবিষ্যতের পথে হাঁটতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-
পর্যাপ্ত ঘুম - আবেগ যখন অনিয়ন্ত্রিত হয় তখন ঘুম কমে যায় বা অনিদ্রা হয় যেমন কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ, ব্রেক আপ এসব রাতের ঘুম হারাম করে দেয়। সেটা বেশ কয়েক দিন মাস বছরও পেরুতে পারে। এই অনিদ্রা বা ঘুম হারাম হওয়া এ ব্যাপারটাতে যে ভাবেই হোক সতর্ক থাকতে হবে। একটা পর্যাপ্ত আরাম দায়ক ঘুমের পর রাগ দুঃখ, ক্রোধ, ক্ষোভ অনেক আবেগই নিয়ন্ত্রনে চলে আসে।
গুড প্লানিং- ভালো প্লানিং না থাকলে যে কোনো কাজেই সফলতা পাওয়া একটু কঠিন আর এই অসফলতা বা অব্যার্থতাও মানষিক অবসাদ বা আবেগ নিয়ন্ত্রন হারাতে কাজ করে। তাই গুড প্লানার হয়ে কাজ শুরু করাটাই উত্তম। এই কারণেই কথায় আছে, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
নিজের জন্য কিছু সময় ও আত্ম কথন- নিজের সাথে নিজের কথা বা নিজেই প্রশ্ন করা বা উত্তর খুঁজে বের করা এসবও আবেগ নিয়ন্ত্রনে সহায়ক। নিজের জন্য কিছু আনন্দময় কাজ খুঁজে বের করা বা একান্ত সময় কাটানোও আবেগ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। তাই তো টক টু দাইসেল্ফ এ্যান্ড ইনক্রিজ ইওর ঔন ক্রিয়েটিভিটি/ ক্রিয়েটিভ থিকিং অর থটফুল আইডিয়াস। সোজা ভাষায় নিজের চরকায় তেল দেওয়টাই উত্তম।
যাইহোক অনেক বক বক করেছি এবার আসি মজার এবং খুবই এফেক্টিভ একটি বিষয়ে। দিস ইজ কলড নাইটি/টেন প্রিন্সিপাল-
১০% পার্সেন্ট অফ লাইফ ইজ মেড আপ হ্যোায়ট হাপেনস টু ইউ বাট ৯০% অব লাইফ ইজ ডিসাইডেড বাই হাউ ইউ রিয়্যাক্ট.... - মানেটা কি? আমাদের লাইফে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ঘটনাতে ১০% এর ওপর আমাদের কোনো হাত থাকেনা, থাকেনা কোনো কন্ট্রোল কিন্তু বাকী ৯০% কিন্তু ডিফারেন্ট। এটা আমরা কন্ট্রোল করতেই পারি। কিন্তু কিভাবে! আমাদের রিয়াকশনের মাঝ দিয়ে মানে আমরা কিভাবে রিয়্যাক্ট করবো ঘটনাটির প্রতি।
একটা গল্প বলি, একদিন সুন্দর এক সকালে, মা বাবা আর ছোট্ট একটি মেয়ে সবাই মিলে আনন্দে সকালের ব্রেকফাস্ট করছিলো। হঠাৎ বেবিটা এক কাপ বাবার গায়ে ফেলে দিলো। বাবার অফিসের পোষাক নষ্ট হয়ে গেলো। এখানে কফি পড়ে যাবার ঘটনাটিতে কারো কন্ট্রোল করবার কোনো উপায় ছিলো না কিন্তু এর পরেরগুলো কন্ট্রোল করা যেত কিভাবে তিনি রি্যাক্ট করবেন তার উপরে। বাবা রেগে গেলেন। অনেক চিল্লাচিল্লি বকাঝকা! বাচ্চাটা কান্না করতে শুরু করলো। শুধু তাই না বাচ্চাকে বকা ঝকা করেও বাবার হলো না সে মায়ের উপর চড়াও হলো চিৎকার চেচামেচিতে। আমার জামাকাপড় বদল, ঝগড়াঝাটি রাগারাগি। বাচ্চার ব্রেকফাস্ট দেরী। স্কুলবাস মিস।
তাড়াতাড়ি বাবাকে কারে করে স্কুল নিতে হলো। তাড়াহুড়ায় যে কোনো মুহূর্তে তখন এক্সিডেন্ট হয় হয় ! বাচ্চা স্কুলে মুখ গোমড়া করে ঢুকলো বাবাকে কোনোই হাই অর বাই না বলেই। অফিসে পৌছে বাবা দেখলেন ব্রিফকেসটাই ভুলে গেছেন। সমস্ত কাজ ভন্ডুল। সারাদিনটাই নষ্ট হয়ে গেলো এইভাবেই......বাড়ি ফেরার পরও সবই থমথমে কারণ সকালের ব্যবহার। কেন সারাদিন খারাপ গেলো?
১। কফিটাই কারণ?
২। নাকি বেবিটাই কারণ?
৩। নাকি মাটাই কারণ?
৪। নাকি বাবাটাই তার কারণ?
উত্তর তো সকলের জানা- ৪নং টাই। অনলি এই একজনই। কফি পড়ার উপরে কন্ট্রোলিং ছিলো না কারও। কিন্তু ঐ ৫ সেকেন্ডের রিয়াকশন বদলে দিলো সব..... এটা যদি হত এমন- কফি পড়ে গেলো আর বাবাটা বলতো ওহ বেবি নেক্সট টাইম বি কেয়ারফুল। তারপর কাপড় বদলে সব ঠিকঠাক নিয়ে এসে দেখতেন বাচ্চা নাস্তা খেয়ে বাসে চলে গেছে। তাহলে তাড়াহুড়া বা দেরীও হত না অফিসে।
বাচ্চাও মনটা খারাপ করতো না , স্কুল বাসও মিস হত না। বাবার ব্রিফকেসও ভুল হতো না। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় এই ডিফারেন্সটা। ঘটনার স্টার্টিংটা সেইম হলেও শেষ হত অন্যভাবে। কারণ ঐ ১০% এ আমাদের কন্ট্রোল নেই কিন্তু বাকী ৯০% এ আছে। কাজেই সদা ও সর্বদা মনে রাখতে হবেই এই ৯০/১০ ইমোশন কন্ট্রোল গুঢ় উপায়টি।
এবার ভিডিওটি-
The 90 10 Principle by Stephen R Covey An Inspirational Video
এছাড়াও-
হ্যোয়েন ইমোশন ইজ আউট অব কন্ট্টল
What is emotional intelligence?
Why Do We Lose Control of Our Emotions?
Emotion Management
এবার ছোট্ট একটা টেস্ট নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করে দেখা যাক-
Are You Emotionally Intelligent?
কিভাবে ইম্প্রুভ করবো নিজের ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স!
How To Improve Emotional Intellignce
যা শুনে আমার মাথা ঠান্ডা হয় সেই অব্যার্থ সুর!
A natural mood stabilizer that will help you reclaim your emotional stability and develop a healthier state of mind.
মেডিটেশন-
Guided meditation - Mastering your Thoughts and Emotions
এছাড়াও ----
যে ভিডিওটি দেখলে সকল রাগ দুঃখ বা হতাশার আবেগ কন্ট্রোলে চলে আসবে?
হরিণছানার গান যা শুনে পৃথিবীর সব দুঃখ মুছে যায়
রাগ কন্ট্রোল অর এংগার ম্যানেজমেন্ট
কিছু কিছু টার্ম বা কৌশলের নাম নেওয়া হয়েছে- Self-Consciousness in Public How to Control Your Emotions- L. W. de Laurence থেকে.....
লিখতে লিখতে আমার আবার আঁকাআঁকি মনে পড়ে গেলো আর তাই - শিখিয়ে দিলাম ইমোশন ইমোটিকন কেমনে আঁকতে হয় সেটা---
How To Draw Emotions Easily
এমন সব হাস্যকর ঘটনাবলী দেখেও ইমোশন তথা ম্যুড ভালো করে ফেলা যেতে পারে
এমন সব পাগলামী দেখেও হো হো করে হাসতে পারেন
যাইহোক, ইমোশোন, ইমোশনের ভালো খারাপ দিক, ইমোশন কন্ট্রোল, ৯০/১০ থিওরী সবকিছু নিয়েই বক বক করা হলো । এমনকি খুব সহজ পদ্ধতিতেও কি কি মজার ভিডিও, বা মনুষ্যসৃষ্ট পাগলামী ছাগলামী দেখে শুনে ও হেসে মন ভালো করা যায় তথা ইমোশন কন্ট্রোল করা যায় তাও দেখা গেলো। এবার আসি ইমোশন সেফ জোন প্রসঙ্গে।
ইমোশানাল সেফ জোন- শেষ হইয়াও হইলো না শেষ---
সেফটি বলতে আমরা শুধু মাত্র ফিজিক্যাল সেফটিই বুঝে থাকি আর তাই কেমনে এক্সসিডেন্ট না হবে, সিট বেল্ট বাঁধা হবে, লাইফ জ্যাকেট পরা এসব নিয়েই সচেতন থাকি। কিন্তু আমাদের ভেতরের ক্ষতি, ভেতরের নিরাপত্তা বা অনিরাপত্তাবোধ এটা নিয়ে ক,জনে ভাবি? হঠাৎ বা ধীরে ধীরেও যখন তখন এই নিরাপত্তার অভাব বোধ হতে পারে। লজ্জা, ভয়, ত্রাশ বা সংশয়, কষ্ট গ্রাস করে নিতে পারে। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন। এই ক্ষুদ্র বা বৃহৎ জীবনে আপনি কি ইমোশোনাল সেফটির প্রয়োজন বোঁধ করেছেন? নাহলে এখন থেকে একটি ডায়েরী মেইনটেইন করুন। কোন কোন দিন কোন কোন ঘটনায় আপনি ইমোশোনাল সেফ ফিল করেননি? সেসব নিয়ে ভাবুন, এই ইমোশনাল সেফটিটাও দারুন প্রয়োজন! জীবনে চলার পথে এই সব ঘটনা থেকেই নিজের সেফটি গড়ে তুলুন আর তাই প্রয়োজন ইমোশন কন্ট্রোলিং।
ইমোশানাল সেফ জোন
আই এ্যাম প্রাকটিসিং ইট। আপনিও করুন.....
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই পোস্টের রুহিনবাবুর ছবিটি আমার হামা বেবিভাইয়ার একমা্ত্র পু্ত্র রুহিনবাবুর ছবি। অনেকেই আমাকে জিগাসা করায় পরিচয় এখানে দিয়ে দিলাম! আর তাছাড়াও এই পোস্টের আইডিয়াটাও হাসান মাহবুব ওরফে আমার হামা বেবিভাইয়ার থেকেই পাওয়া। সে না বললে এই ব্যাপারটা নিয়ে হয়তো ভাবা হত না। এরপরে কুঁড়ের বাদশার সাথেও আলাপচারিতায় মনে হয়েছে আমার এটা নিয়েই লেখা উচিৎ এইবার । সবশেষে আমার ইমোশনাল সেইফ জোনে গড়বড় দেখা দেওয়াই পোস্ট খানা লিখিবার মনোস্থ করিলাম.......
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫০