ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী সরকারী কলেজের মহীলা হস্টেলে এ গতকাল সকালে। পরীক্ষা চলছে বলে জুনিয়র এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে মোবাইল ফোনে লাউড স্পীকারে গান না শুনতে অনুরোধ এক ছাত্রীকে কলেজ ছাত্রলীগের বহিরাগত কয়েকজন মহীলা ক্যাডার বেদম প্রহার করে। আর তারই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রাসিক দত্ত ও নির্বাহী কমিটির সদস্য মমিনুল ইসলাম দিনার রাত ১০ টার সময় হাতে লাঠি নিয়ে হোস্টলের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা ছাত্রীদের উদ্দেশে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেন। খবর পেয়ে শিক্ষক ও বোয়ালিয়া থানা পুলিশ এসে ছাত্রলীগ নেতাদ্বয়কে সসম্মানে ছাত্রী হোস্টেল থেকে বের করে দেয়।কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যতীত!
যে ছাত্রলীগ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, যে ছাত্রলীগ বংবন্ধু'র আদর্শে গড়া, সে ছাত্রলীগের এখন কি হাল! যাদের কাছে দরজা ভেংগে রাত দশটার সময় ছাত্রী হোস্টেলে প্রবেশ কোন ব্যাপারই নয়, শুধু ছাত্রী হোস্টেলে প্রবেশই নয়- সাথে হোস্টেলেপ্রবেশ করে ছাত্রীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করাও কোন বিষয়ই নয়, যেখানে মানিকরা প্রকাশ্য ক্যাম্পাসে ধর্ষনের সেঞ্চুরী করে, যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে চাপাতীর আঘাতে মানুষ হত্যা করে।
যে আদর্শকে লক্ষ রেখে ছাত্রলীগের জন্ম, সে আদর্শ থেকে লক্ষ লক্ষ যোজন দূরে আজ ছাত্রলীগ। আজ আর ছাত্রলীগ নেতা হতে হলে মেধার প্রয়োজন নেই। ডেডিকেশন এর প্রয়োজন নেই। এখন শুধু প্রয়োজন কতটা বেয়াদব, কতটা পেশি শক্তির মালিক আর কত বেশী ন্যাংটামো করার দক্ষতা আছে তা প্রদর্শন করা!
হায়রে ছাত্রলীগ (যদিও এখন কুত্তালীগ বলাটা মনে হয় যৌতিক হবে)! তাইত বড্ড জানতে ইচ্ছে করে- কতটা বেয়া্দপ হলে ছাত্রলীগ নেতা হওয়া যায়!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৪০