ফেসবুক থেকে কপি-পেস্ট:
বহু বছর ইসলামের নামে ফতোয়া আদালতে নারী নির্যাতন ও হত্যা পার হয়ে এখন এর পক্ষে বিপক্ষে রাষ্ট্রীয় আদালতে মামলা চলছে ও বাইরে এ নিয়ে মতামতের বন্যা বইছে। ফতোয়ার একটা আর্থসামাজিক মাত্রা আছে, কখনো কোন ধনীর দুলালীকে এর শিকার হতে হয় নি। গ্রামগঞ্জে ফতোয়াবাজী সাধারণতঃ দু’রকমের হয়া। প্রথমটা হল কোন বিশেষ পরিস্থতিতে সেই পরিস্থিতির শারিয়া আইন প্রয়োগ করা যেমন তাrক্ষণিক তালাকের পর স্ত্রীকে জোর করে হিলা বিয়ে দেয়া, ধর্ষিতার শাস্তি ইত্যাদি। ধর্ষণের শারিয়া আইন মোতাবেক ধর্ষিতার শাস্তি হয়েছে নাইজিরিয়ায়, সোমালিয়ায়, পাকিস্তানে তিন হাজার ধর্ষিতা জেল খেটেছে দশ-পনেরো বছর আর বাংলাদেশের নুরহাজান, ফিরোজা, হেনাদের খবর তো সবাই জানেন। ফতোয়াবাজীর অন্য ধরণটা হল নিজের ব্যক্তিগত মতকে ইসলামী বলে অন্যের ওপরে চাপিয়ে দেয়া যা শারিয়া আইনে নেই যেমন শাড়ী, টিপ, নারীর ভোট, শহীদ মিনার, বর্ষবরণ, ভ্যালেন্টাইন ডে’ ইত্যাদির বিরুদ্ধে ফতোয়া। বলাই বাহুল্য, ওই দুই ধরণের ফতোয়াতেই নারী নির্যাতন হয়।
ফতোয়া-সমর্থকরা বলছেন আদালতের অধিকার নেই ফতোয়া নিষিদ্ধ করার, সেটা করলে দেশে নাকি রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। তাঁরা এ-ও বলেছেন ফতোয়া শুধু কোন প্রশ্নের জবাবে মতামত মাত্র, সেটা প্রয়োগের অধিকার বিচার ব্যবস্থা ছাড়া আর কারো নেই এবং ফতোয়ার নামে দেশে যা হচ্ছে তা তাঁরা সমর্থন করেন না।
সমর্থন করেন না ভালো কথা, কিন্তু তাঁরা প্রতিবাদও তো করেন নি কোনদিন। ফতোয়া দিয়ে এত এত নারীর জীবন ধ্বংস হল, ইসলামের বদনাম হল। কিন্তু কই, কোনদিন এই বর্বরতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো তো দুরের কথা বিন্দুমাত্র মৌখিক প্রতিবাদও জাতি তাঁদের মুখে শোনে নি ! অথচ ইসলামের কাণ্ডারী হিসেবে ওটা তাঁদেরই দায়িত্ব ছিল। তাঁরা কি বোঝেন না প্রতিবাদ প্রতিরোধের ক্ষমতা থাকার পরেও অন্যায় সয়ে যাওয়াটা কতখানী ইসলাম-বিরোধী? একটা বাচ্চা পুকুরে ডুবে যাচ্ছে দেখেও সক্ষম যে লোকটা তাকে বাঁচাল না সে তো প্রকারান্তরে খুনী-ই হল। আজ আদালতের রায়ে ফতোয়া বন্ধ হবার সম্ভাবনায় তাঁরা ক্ষিপ্ত হচ্ছেন কিন্তু জাতি দেখেছে তাঁদের বিরোধীতার অভাবেই ইসলামের নামে নারী-নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এই কারণেই বিশেষ করে আমাদের নারী-সমাজে তাঁদের ভাবমূর্তির ভয়ানক অবক্ষয় ঘটেছে তা তাঁরা নিশ্চয় জানেন।
ফতোয়া-সমর্থকদের যুক্তিগুলোর কোনটাই ধোপে টেকে না। ‘‘ফতোয়া ইসলামের অঙ্গ’’ এ তত্ত্বকে বৈধ করতে হলে ইসলাম কাকে বলে তার একটা সর্বসম্মত ও পরিষ্কার সংজ্ঞা দরকার যা ঠিক করতে আমাদের মওলানারা ঐতিহাসিকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। পাকিস্তানের ‘‘মুনীর কমিশন রিপোর্ট’’ তার প্রমাণ যেখানে মওলানা মওদুদির বক্তব্যও অন্তর্ভুক্ত আছে। ‘‘আদালতের এখতিয়ার নেই ফতোয়া নিয়ে কথা বলার’’ এ যুক্তিও মোটেই বৈধ নয় কারণ ফতোয়ায় অত্যাচার হয়; নাগরিকের সম্মান ও সম্পদ রক্ষা করা অবশ্যই রাষ্ট্রের ও বিচারব্যবস্থার দায়িত্ব। ২০০১ সালে হাইকোর্টে তrকালীন বিচারপতি জনাব গোলাম রাব্বানী ও নাজমুন নাহার (?) যে রায়টা দিয়েছিলেন তার স্পিরিট বা মর্মবাণী ইসলামের পাপ-পুণ্য বা আধ্যাত্মিক ব্যাপারের বিরুদ্ধে ছিলনা। ওটা ছিল ক্রাইম-পানিশমেন্ট-এর ব্যাপারে যাতে অসহায় মানুষ ও নারীর ওপরে অত্যাচার হয়। কারণ বাস্তব অভিজ্ঞতায় আমরা দেখি ফতোয়া প্রায় সবক্ষেত্রেই শুধু ধ্বংসই করেছে। বাংলাদেশে ফতোয়া দিয়ে কে কি গড়েছেন তার উদাহরণ কেউ আমাদের বলুন। তাছাড়া একই বিষয়ে ফতোয়া-সমর্থকদের নিজেদের মধ্যেই ভিন্ন এমনকি উল্টো ফতোয়া আছে এবং সবাই নিজেরটাকেই ইসলামি বলে দাবী করেন। তাহলে আসল ইসলামি কোনটা সেটা কে ঠিক করবে? যেমন ধরুন, ০৩ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবের উপসম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে বাবা-মা চাইলে অন্য সব চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর ছেলে বা মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দিতে হবে। লেখক যা বলেন নি তা হল সেটা বিয়ের পঞ্চাশ বা ষাট বছর পরও হতে পারে। এরপর লেখক বলেছেনঃ- ‘‘পিতামাতার অধিকারের গুরুত্ব বুঝানোই এ ফতোয়ার উদ্দেশ্য’’। দেশের কিছু মওলানা নিশ্চয়ই এ ফতোয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন। এভাবেই ফতোয়া হয়ে উঠেছে সংঘাতের ও সমাজ-বিভাজনের অস্ত্র।
নারী-অত্যাচার ছাড়াও ফতোয়ার আঘাতে চিরকাল ভিন্নমতের মুসলমানদের এমনকি মওলানাদেরও মুরতাদ বলা হয়েছে; ফতোয়া থেকে উদ্ভুত হিংস্রতা ও ফিrনা’র ঘটনায় মুসলিম-ইতিহাস ভর্তি। ইমাম বুখারি-আবু হানিফা-শাফি’ই বলুন বা আবিসিনা বা ইবনে রুশদ্ বা ইবনে খালদুন-এর মত বিজ্ঞানীরাই বলুন যাঁদের নিয়ে আমরা গর্ব করি তাঁরা প্রায় সবাই ফতোয়ার শিকারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন। বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী’র মত দরবেশকে ইমাম ইবনে হৌজ-এর নেতৃত্বে এক হাজার মওলানার ফতোয়াবাজীর শিকারে ‘‘কাফের’’ শুনতে হয়েছে ( তাঁর বক্তৃতার সংকলন ফতহুল গয়ব)। এই সত্যগুলো আদালতে ফতোয়া-বিরোধীদের কাজে লাগানো দরকার। আমাদের ফতোয়া-সমর্থকেরা পারবেন আমাদের ইমাম হৌজ-দের ঠেকাতে ? পারবেন না।
কাগজে কলমে বা কথায় যা-ই হোক, বাস্তবে ফতোয়া হল ইসলামকে ব্যাখ্যা করার অধিকার যা ফতোয়াবাজকে ইসলামের অঘোষিত পাহারাদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। মানুষ ভ্রান্তিময়, এই মারাত্মক শক্তি তাকে দেয়া যায় না। আদালতে ফতোয়া-পক্ষ জিতে গেলে ফতোয়াবাজী উrসাহিত হবে, গ্রামগঞ্জে ফতোয়াবাজী বেড়ে যাবে, জাতির চোখের সামনে একের পর এক নারীর জীবন ধ্বংস হবে। যতই অর্ধশিক্ষিত হোক নিজের গ্রামে ইসলামী বিষয়ে ইমাম পরাক্রান্ত; তাঁর মতামতই সেখানে অঘোষিত আইন। সেটাকে নুরজাহান-ফিরোজা-স্বপ্নাহার-দুলারী-হেনারা তো দুরের কথা ফতোয়া-পক্ষ নিজেরাও ঠেকাতে পারবেন না। ‘‘গ্রামগঞ্জের অর্ধশিক্ষিত ইমাম’’ তত্ত্বটাও ধোপে টেকে না কারণ শহরেও অনেক ফতোয়াবাজীর হিংস্রতা আমরা দেখেছি। ‘‘উপযুক্ত ব্যক্তি বা বিশেষজ্ঞই ফতোয়া দিতে পারেন’’, এটা মোটেই কোন বৈধ তত্ত্ব নয় কারণ ধর্মীয় ডিগ্রী থাকলেই ধর্মনির্যাস পাওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। প্রথমতঃ ডিগ্রী-বিহীন মওলানা ইতিহাসে ভুরি ভুরি আছেন যেমন মওলানা মওদুদি, মওলানা মুহম্মদ আলী, মওলানা শওকত আলী ইত্যাদি। দিত্বিয়তঃ অনেক ‘‘উপযুক্ত বিশেষজ্ঞ’’ মানুষের জীবন ধ্বংস ও ইসলামের নামে কেলেংকারী করেছেন। দেওবন্দ-এর মত বৈধ সংগঠনের দু’জন বৈধ মুফতি ঘুষ খেয়ে ঘুষদাতার পক্ষে ফতোয়া দিয়ে ধরা পড়লে তাদের বরখাস্ত করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মুফতি বহু সংসার ছারখার করেছে বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে কারণ লোলুপ শ্বশুর তার পুত্রবধুর শরীর স্পর্শ করেছে। ভারতে এক লোক স্বপ্নে তিনবার তালাক বলার ফলে অল ইণ্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড সেই বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে। ধর্মীয় উচ্চ সার্টিফিকেটিধারী হিংস্র ফতোয়াবাজেরা জাতির বহু মেধাকে হয়রাণ, হেনস্থা এমনকি হত্যাও করেছে। বর্তমান বিশ্বেও এটা মহামারী আকার ধারণ করেছে। কাজেই আদালতের রায়ে যদি তাঁরা জিতেও যান তবু এগুলো বন্ধ করতে পারবেন আমাদের ফতোয়া-সমর্থকেরা? পারবেন না। তাঁরা জাতিকে একটা জটিল মহাসমস্যার ঘুর্ণাবর্তে ফেলে দেবেন যা তাঁরা নিজেরাও সামলাতে পারবেন না।
আরেকটা তত্ত্ব বহুদিন থেকেই সুযোগের অপক্ষায় আছে, তা থেকেও জাতিকে সাবধান থাকা দরকার। তা হল সরকারীভাবে ‘‘জাতীয় ফতোয়া কমিটি’’ ধরণের সংগঠন বানানো। বলা হবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে শুধুমাত্র এর হাতেই ফতোয়া দেবার ক্ষমতা থাকবে, তাই এই সংগঠন গ্রাম-গঞ্জের ফতোয়াবাজীকে বন্ধ করবে। কথাটা মিষ্টি কিন্তু আসলে ওটা জাতির জন্য একটা সর্বনাশা পদক্ষেপ। কারণ অনেক। প্রথমতঃ সরকারী ফতোয়া সংগঠন বানানো হয় ইসলামি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান চাইলে তাঁকে ইসলামি বিষয়ে মতামত দেবার জন্য। বাংলাদেশ ইসলামি রাষ্ট্র নয়, কাজেই সরকারী ফতোয়া-সংগঠনের কোন সুযোগ এখানে নেই। দিত্বিয়তঃ, ইসলামের বহু ব্যাখ্যা আছে, এক ব্যাখ্যায় বিশ্বাসীরা অন্য ব্যাখ্যাকে অনৈসলামিক কিংবা ভুল ব্যাখ্যা বলে থাকেন। তেমন সংগঠন হলে তার নেতৃত্বে থাকবেন কোন একটা বিশেষ ব্যাখ্যায় বিশ্বাসী কেউ। তাতে অন্য ব্যাখ্যাগুলোয় বিশ্বাসীদের বিশ্বাসে, সম্মানে ও নিরাপত্তায় আঘাত আসবে। ইতিহাসে এটাই ঘটেছে বারবার, এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। তৃতিয়তঃ ওই সংগঠন হয়ে উঠবে ইসলামের নামে অসংখ্য সংগঠনের শক্তিকেন্দ্র যা রাষ্ট্রযন্ত্রের সমান্তরাল হবার চেষ্টা করবে। চতুর্থতঃ সেটা বহির্বিশ্বের সমমনা ইসলামি সংগঠগুলোর সাথে শক্তিশালী যোগাযোগ গড়ে তুলবে যার প্রভাব থেকে জাতি বেরুতে পারবে না। পঞ্চমতঃ ওটা বানাতে পারলে সে জনগণের ধর্মবিশ্বাসের অপব্যবহার করে ধীরে ধীরে হয়ে উঠবে সুপার-সংসদ, সংসদের সিদ্ধান্েন্ত নাক গলাতে শুরু করবে। গল্পকথা নয়, অন্যান্য দেশে এটাই ঘটছে, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আইন পাশ করলে তাকে ওই সুপার-সংসদ বাধা দেয়। সবশেষে, এ ধরণের সংগঠন একবার বানানো হলে আর উচ্ছেদ করা যায় না।
ফতোয়ার বিপক্ষদল বলছেন কোরাণ-হাদিসে কোথাও নেই কেউ আইন হাতে তুলে নিয়ে ফতোয়া দিয়ে কাউকে শাস্তি দিতে পারে, তাই ফতোয়া দেয়াকে অপরাধ বলে রায় দেয়া করা দরকার যাতে ফতোয়াবাজদের আইনমাফিক শাস্তি হতে পারে। তাঁরা এও বলেন দেশের সংবিধান ও বিচার ব্যবস্থাই সর্বোচ্চ, ফতোয়ার কোন সুযোগ বা জায়গা সেখানে থাকতে পারে না। ভালো। কিন্তু ইতিহসের শিক্ষা এই যে ভালো মন্দ যাই হোক প্রতিটি প্রাচীন প্রথার একটা ঐতিহ্যগত শক্তি থাকে। মন্দ হলেও তাকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় আইন দিয়ে বন্ধ করা যায় না, গণসচেতনতার প্রতিরোধ দরকার হয়। বিশ্বের বিশাল জায়গা জুড়ে ‘‘ফতোয়া’’ শব্দটার একটা শতাব্দীপ্রাচীন শক্তিশালী ঐতিহ্য আছে যা শুধু তত্ত্বই নয় বরং প্রয়োগও হয়েছে। তাই ফতোয়া-প্রতিরোধে আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক শক্তির সাথে ইসলামি আঙ্গিকটাও যোগ করা দরকার। যতদিন ইসলামকে ব্যাখ্যা করার অধিকার ফতোয়া সমর্থকদের হাতে থাকবে ততদিন আমরা স্থায়ী বিজয় অর্জন করতে পারব না। কারণ মানুষ দরকারে পড়লে যাকে যে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মনে করে তার মতামত নেবেই। ওটা আইন দিয়ে বন্ধ করা যাবে না। তাহলে কি এই হবে, যতক্ষণ মানবাধিকার লংঘিত না হচ্ছে ততক্ষণ ফতোয়া চলুক? কিংবা পাপ-পুণ্য আধ্যাত্মিক ব্যাপারে ফতোয়া চলুক কিন্তু যে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইন আছে সেখানে চলবে না? ভারসাম্য রাখার চেষ্টায় যদি আদালত এ রায় দেয়ও তবু বাস্তবে সাধারণ মানুষের পক্ষে এই লক্ষ্মণরেখা বুঝতে পারা ও মেনে চলা অসম্ভব। বরং ফতোয়া কিভাবে অধ্যাত্মিক থেকে অত্যাচারী হয়ে উঠল তার প্রমাণ দিলে আদালতে সুবিধে হবে।
ইমাম গাজ্জালী বলেছেন- ‘‘তারা কেবল এখন ফতোয়ার বিধানাবলীতেই আকৃষ্ট হয়ে আখেরাত বিষয়ক শাস্ত্র থেকে দুরে সরে যাচ্ছে - - - - যেহেতু আখেরাত বিষয়ক ইলম আনেকটা সুক্ষ্ম হওয়ায় তা’ কার্যকর করা আয়াসসাধ্য। পক্ষান্তরে, তার মাধ্যমে সম্মানিত পদলাভ, শান-শওকত ও গৌরব অর্জন এবং অর্থ সম্পদ করায়ত্ত করা সুকঠিন। তাই শয়তান এবং নফ্স উভয়ই উক্ত বাহ্যিক ফিকাহ্কে তাদের অন্তরে ঠাঁই করে দেয়ার একটা সুবর্ণ সুযোগ লাভ করেছে। শয়তান এ সুযোগের সদ্ব্যবহার দ্বারা ফিকাহ্কে ফতোয়া শাস্ত্রের জন্য সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে’’ - ইমাম গাযযালী - এহ্ইয়াউ উলুমুদ্দীন ১ম খ¨ ৫০/৫১ পৃষ্ঠা।
বাংলাদেশের সমস্যা অনেক। কিন্তু এই একটা সমস্যা যাতে একবার ভুল হলে তার মূল্য দিতে গিয়ে আমাদের অভিশাপ দেবে অগণিত প্রজন্ম। তাই অন্ততঃ এ ব্যাপারে আমাদের ভুল করার উপায় নেই। লেখক মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেস-এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও ডিরেক্টর অফ শারিয়া ল, এবং দ্বীন রিসার্চ সেন্টার হল্যাণ্ড -এর সহযোগী গবেষক hasan.mahmud@hotmail.com