somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃষ্টি পড়ছে: Bristi is reading :P (বৃষ্টি দিনের কৌতুক) :D B-)

১১ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
১ টা কিঞ্চিত ১৬+ হইতে পারে। /:)


আজ সারাদিন ঘুমিয়ে কাটালাম। ইফতারের আগে একঘেয়েমি কাটানোর জন্য কিছু পুরনো কৌতুক ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে ভাবলাম সামুতে শেয়ার করি।


১।
নদীর দিকে যাওয়ার পথে বকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কচ্ছপের। জানতে চাইল বক, কোথায় যাচ্ছ?
কচ্ছপ বলল, নদীতে। কী গরমটাই না পড়েছে দেখেছ? ভাবছি নদীর পানিতে শরীরটা জুড়িয়ে আসি।
বক বলল, এখন তো গ্রীষ্মকাল। এক ফোঁটা পানি নেই নদীতে। এখন গিয়ে কী করবে?
কচ্ছপ হাসতে হাসতে জবাব দিল, আমি যেতে যেতেই বৃষ্টির দিন চলে আসবে। :D


২।
গ্রামের ছোট্ট এক ক্লাব ঘরে বসে তাস পেটাচ্ছে কয়েকজন। একজন উঠে বলল:
—এক মিনিট! ছোট কাজ সেরে আসি।
—সে ফিরে এলে দেখা গেল, তার সারা পোশাকে পানির ছিটা। সবাই জিজ্ঞেস করল:
—বাইরে বৃষ্টি?
সে বলল:
—না, প্রচণ্ড বাতাস! :#)


৩।
এক বৃষ্টির দিনে মালিক তার কাজের লোককে বলছে-
মালিক : রহিম, বাগানে পানি দিতে যা।
কাজের লোক : হুজুর আজকে তো বৃষ্টি হচ্ছে।
মালিক : বৃষ্টি হলে ছাতা নিয়ে যা! X(


৪।
একদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো। ঝিরিঝির বৃষ্টিতে প্রেমিক-প্রেমিকা ঘুড়তে বেরিয়েছে।
ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া নিয়ে ঘুড়ছে লাভ বার্ডস। ট্যাক্সি নিজ গতিতে চলছে। কিন্তু হঠৎ ট্যাক্সি আস্তে চলতে লাগলো !
প্রেমিক ট্যাক্সি ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলো
প্রমিক : হঠৎ আস্তে চালানোর কারন কী?
ড্রাইভার : আপুমণি যে বললেন আস্তে...আস্তে...আস্তে... :-/


৫।
বর্ষা কাল, অহরহই বৃষ্টি হয়। তখন অনেক রাত, বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। অনেকক্ষন বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তা ঘাটে প্রচুর পানি জমে আছে। এর ভিতর আমাদের পলাশ ভাই চিৎকার করে কেদে কেদে বলছে, কে আছো ভাই? একটু ধাক্কা দাও।
তনু তার স্বামীকে স্বপনকে ডেকে তুলে বললো- "আমার মনে হয় তোমার যাওয়া উচিত।"
স্বপন- কিন্তু বাইরে অনেক বৃষ্টি। রাস্তায় অনেক কাদা। :-<
তনু- তোমার গত বছরের কাহিনী মনে নাই?
স্বপন- আছে মনে আছে। কিন্তু এই ব্যাটার গলা শুনে ত মনে হচ্ছে পুরা মাতাল। #:-S
তনু- তোমার গলা শুনে সেদিন কি অন্যরা মাতাল ভাবে নি? :||
গত বছর তনুর বাচ্চা হবে। রাতের বেলা হাসপাতালে নিয়ে যাবে। সেদিনও এমন বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাঘাট ভেসে যাচ্ছিল। তাদের গাড়িটা আটকা পড়ে গিয়েছিল কাদায়। অনেকক্ষন ঠেলে ঢুলেও স্বপন গাড়িটা গর্ত থেকে বের করতে পারছিল না। এদিকে বউয়ের বাচ্চা প্রসবের সময় হয়ে যাচ্ছে। বার বার স্বপন ধাক্কা মারছিল। কিন্তু গাড়িটা বের করে আনতে পারছিল না। একসময় হতাশায় সে চিৎকার করে কাদা শুরু করেছিল । ধাক্কা দাও। কেউ একজন এসে ধাক্কা দাও। আশেপাশের বাসা থেকে দুইজন সহৃদয় মানুষ বের হয়ে এসেছিল। নিজেরা ভিজে, কাদায় মাখামাখি হয়ে গাড়িটা বের করে দিয়েছিল ধাক্কা মেরে। আর সেদিন রাতেই তাদের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছিল।
আজকে, বছরখানেক পর, আরেক বৃষ্টির দিনে এক লোক চিৎকার করে বলছে, ধাক্কা দাও। আমাকে ধাক্কা দাও।
স্বপন বের হয়ে আসল। রাস্তার পাশের লাইটগুলাও নিভে আছে কেন জানি। বেশ অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শুধু চিৎকার শোনা যাচ্ছে, ধাক্কা দাও।
স্বপন বলল, ভাই আপনি কই?
- এদিকে আসেন।
স্বপন সামনে এগিয়ে যায়।
- বাগানের ভিতর আসেন।
স্বপন বাগানে ঢুকে পড়ে। ভাই, আপনাকে দেখছি না তো।
- ভাই, টবগুলার পাশে আসেন।
স্বপন টবের পাশে এসে দাঁড়ায়।
- ভাই, আপনার মত মানুষ হয় না। আসেন, একটু ধাক্কা দেন তো। অনেকক্ষন দোলনায় বসে আছি। এত ডাকছি। কেউ ধাক্কা দিতে আসে না। B-))



* সবগুলো কৌতুকই ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×