হ্যা ছবিতে যাকে দেখেছন সে সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিট ক্যামেরন। পুরো নাম ডেভিড উইলিয়াম ডোনাল্ড ক্যামেরন। জন্ম: ৯ অক্টোবর, ১৯৬৬ লন্ডনে। লন্ডনে জন্মগ্রহণ করলেও ক্যামেরন বড় হন বার্কশায়ারে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। কার্লটন টিভি’র গবেষক হিসেবে কাজ করেন তিনি। নরম্যান ল্যামন্ট ও মাইকেল হাওয়ার্ডের ন্যায় রক্ষণশীল রাজনীতিবিদদের পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেন।
৬ মে, ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ক্যামেরন কনজারভেটিভ দলকে নেতৃত্ব দেন। ঐ নির্বাচনে যে-কোন দলের চেয়ে সর্বোচ্চসংখ্যক ভোট ও ৩০৬ আসন লাভ করে। কিন্তু সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভে সক্ষমতা দেখাতে পারেনি তাঁর দল ও ঝুলন্ত সংসদ ব্যবস্থা গড়ে উঠে। ফলশ্রুতিতে পাঁচ দিনের আলোচনান্তে লিবারেল ডেমোক্র্যাটস| লিবারেল ডেমোক্র্যাটসদেরকে সাথে নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে বাধ্য হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যে জোট সরকার ব্যবস্থা গঠিত হয়। ১১ মে, ২০১০ তারিখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন পদত্যাগ করেন ও তাঁর সুপারিশমাফিক রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ডেভিড ক্যামেরনকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের প্রথম ভাষণে লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের সাথে জোট সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের ইচ্ছা পোষণ করেন। ঐদিনই শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ৪৩-বছর বয়সী ডেভিড ক্যামেরন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আরোহণ করেন। ১৯৮ বছর পূর্বে ১৮১২ সালে নিযুক্ত আর্ল অব লিভারপুলের পর ব্রিটেনের ইতিহাসে মধ্যে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীরূপে দায়িত্ব পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ত্যাগের পর নিজের মালপত্র নামাচ্ছেন সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন। এক ছবি দিয়েই বুঝে নিন উন্নত দেশের রাজনীতিবিদের চরিত্র। আমাদের দেশেও কবে এমন রাজনীতিবিদ হবে?