জুবুথুবু বিশাল বটগাছটা আগুনে ঝলসে শুকনো কাঠ হয়ে গেছে
বেঁচে নেই একটি পাতাও।
গাছটার নিচেয় এলে পাখির কিচির-মিচিরে ভরে যেত মন
শীতল ছায়া ছিল মায়ের মতোন।
এক সময়ের গিজগিজ ঘরের গ্রামগুলো আজ বিরান ভূমি।
গাছের ছায়া বলতে নেই কিছু কোনোখানে।
মেঠোপথের বাঁ’পাশের বিশাল পুকুরটা
শুকিয়ে হাঁ করে আছে রাক্ষসের মতো।
যে পুকুরে পানি শুকাতে দেখিনি কেউ কোনোদিন।
দু’পা এগোলেই হরিদাসের আমবাগান ছিল
এখন শুধু নদীতে বাঁশ পোঁতার মতো দাঁড়িয়ে আছে পুড়ে যাওয়া কা-।
গ্রামগুলো গ্রাম নেই।
ছাই আর তামাটে হয়ে গেছে মাটি।
এতোক্ষণ হাঁটার পরও দেখা মেলেনি কোনো পরিচিত মুখ
যেন অপরিচিত চিরপরিচিত আমার গ্রামে।
মা কি বেঁচে আছে?
বাবা?
বোন?
পাশের বাড়ির দুলালী বুড়ি?
যিনি আমার মাথায় হাত রেখে
অনেক বড় হওয়ার আর্শীবাদ করতো?
মাত্র নয় মাসে কতো পরিবর্তন হয়ে গেছে
গ্রাম, দেশ আর বিশ্বের মানচিত্র।
পরিবর্তনে হারিয়েছি অনেক...
পেয়েছি দেশকে
আমার বাংলা মাকে
মুক্ত, স্বাধীন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:১৫