……… বেইলি রোডে হেল্ভেশিয়ার ঠিক তলে হাটা খুবি বীরত্বের। সবাই পারেনা। কেননা ময়লার বিশাল এক ঢিবি থেকে এমন উৎকট গন্ধ বের হয় যা নাড়ি-ভুড়ি বের করার জন্য যথেষ্ট! কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি, ময়লার পাশে দিয়ে গেলেই বারবার নিঃশ্বাস নেয়া লাগে! যতোই দম চেপে রাখার চেষ্টা করিনা কেনো, বারবার নাকে কিভাবে যেনো ঢুকে যায় গন্ধটা ! প্রতিবারই পেটে একটা করে পাক মেরে উঠে।
একই ধরণের অন্যরকম একটা ঘটনা হলো রোজার সময় বারবার থুথু আসে মুখে! এই যেমন এখন, কতবার থুথু ফেলেন বাইরে? কিন্তু রোজার সময় বারবার মুখে থুথু জমে যায়, (এই ক্ষেত্রে থুথু বলা ঠিক হবেনা, অনেকে ঘেন্না পেতে পারেন, আমি টায়ালিন ব্যাবহার করবো) তার থেকেও বড় সমস্যা হলো, যারা মনে করেন টায়ালিন গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যাবে তাদের মুখে আরো বেশী টায়ালিন জমে! বিশ্বাস না হলে কালকে একটা নফল রোজা রেখে দেখুন!
আবার ধরেন আপনি রাস্তায়, কোনো স্বল্প বসনা মেয়ে সামনে দিয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি একবার তাকান, তখন ইচ্ছা না থাকলেও দেখবেন কিভাবে যেনো চোখ চলে যায়। আমি অবশ্য মহামানবদের নয়, বরং ছেড়া জিন্স পড়া পুলাপানদের কথা বলছি।
এই সব ঘেন্নাত্মক কথা-বার্তা বলার কোনো মানে আছে? আছে ! আমি আসলে বুঝাতে চাচ্ছিলাম যে, যা কিছু আপত্তিকর তার দিকেই বারবার আমাদের নজর যায়। এই ফাউল প্যাচাল পারার অনুপ্রেরণা আমি পাইসি কবি ফররুখ আহমেদ এর থেকে। উনার সব কবিতাই রূপক! রুপকের মধ্যেই তিনি মুসলমানদেরকে ঐক্য গঠন করতে বলেছেন, অথচ নজরুল গলার রগ ফুলিয়ে ইংরেজদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চেঁচিয়েছেন! আমার নজরুলের মতো সাহস নাই, তাই ফররুখ আহমেদ এর মতো চোখ নামিয়ে কথা বলি।
এগুলা বলার উদ্দ্যেশ্য ছোট্ট করে বলছি, বুঝে নেন।
“ ২৭ তারিখ রাত থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সামুর অবস্থা লক্ষ্য করেছিলেন কেউ ? গালাগালি’র টিকা (ভ্যাক্সিন) আবিষ্কার করাটা আগামী নোবেল প্রাইজের জন্য বাধ্যতামুলক হয়ে দাড়িয়েছে। আমি জানি পায়খানার গন্ধ খারাপ, আমি জানি থুথু বারবার আসে , আমি জানি হাফ উলঙ্গ মেয়ের দিকে তাকিয়ে রুচি নষ্ট করার মানে হয়না। তারপরেও সেই ফাঁদে আমরা বারবার পা দেই। এই ২দিন আমরাও তাই করেছি। খাশি না জাশি, তাদেরকে দেখিয়েছি আমরা - তোরা যতই পায়খানা গায়ে মেখে আয়, আমরা ঠিকই শুকবো।“