প্রচলিত রূপকথা অনুযায়ী কোন এক অমাবস্যার রাতে জ্বীন-পরীরা এই এলাকা উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় এলাকাটি পছন্দ করে । তারপর তারা মাটিতে নেমে এসে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করে, কিন্তু গম্বুজ তৈরির আগেই ভোর হয়ে যাওয়াতে কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যায়। ফলে গম্বুজ ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকে অসাধারণ কারুকার্যময় মসজিদটি । জ্বীন-পরীরা এটি তৈরি করেছে, এইজন্য স্থানীয়দের কাছে এটি জ্বীনের মসজিদ নামে পরিচিত ।
ইতইহাসঃ জমিদার মেহের বকস চৌধুরী উনবিংশ শতাব্দী শেষ ভাগে বালিয়াতে এক মসজিদ তৈরীর পরিকল্পনা করেন । এই জন্য দিল্লির আগ্রা মতান্তরে মুর্শিদাবাদ থেকে স্থপতি আনা হয় । মুঘল স্থাপত্যের রীতি অনুযায়ী ডিজাইনকৃত এই মসজিদ তৈরির করাটা ছিল অনেক জটিল ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার । হঠাৎ প্রধান স্থপতির মৃত্যুর ফলে মসজিদ নির্মাণের কাজ থেমে যায় । মেহের বকস স্থানীয় কারিগরের সহায়তায় পুনরায় মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু স্থানীয় কারিগরগণ মসজিদের গম্বুজ নির্মাণে ব্যর্থ হন । ১৯১০ সালে মেহের বকস চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন।
মেহের বকসের ছোট ভাই কয়েক বছর পর মসজিদটি নির্মাণের জন্য আবারও উদ্যোগ নেন। কিন্তু, নির্মাণ কাজ সমাপ্ত না করে তিনিও মৃত্যু বরণ করেন। ফলে মসজিদটি ১০০ বছর গম্বুজ ছাড়াই দাঁড়িয়ে থাকে।
অবশেষে মেহের বকস চৌধুরীর প্রোপৌত্রি তসরিফা খাতুনের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রত্নতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের কারিগরী সহায়তায় ২০১০ সালে বালিয়া মসজিদটির সংস্কার কাজ শুরু হয় । এই মসজিদ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধায়ন করেন শিল্পী কামরুজ্জামান স্বাধীন এবং জাকিরুল হক চৌধুরী। একই সাথে আর্কিটেক্ট সৈয়দ আবু সুফিয়ান কুশল এর নকশায় নতুন ভাবে গম্বুজ নির্মাণ করা হয় । (সুত্রঃ উইকি)
(২) বোদা উপজেলা যাওয়ার পথে ভূল্লী থেকে তিন কিলোমিটার এমন সরু রাস্তা ধরে যেতে হবে জ্বীনের মসজিদে। সরু পথের অবারিত গ্রামীন সবুজ সত্যিই আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল আমাদের।
(৩) এক সময় দেখা মিলল আমাদের কাংখিত গন্তব্যের।
(৪/৫) আমাদের শুভেচ্ছা জানাবে বলে রাস্তার ধারে ফুটে ছিল এমন বুনো ফুলগুলো।
(৬) মসজিদের প্রবেশ গেইটা বেশ প্রসস্ত আর সেখান থেকে মসজিদের বারাব্দা পর্যন্ত লাল লালিচা পাতা ছিল (হয়তো আমরা আসবো বলে

(৭) সব মিলিয়ে বলতে হয় জ্বীনদের নির্মাণশৈলি বেশ চমৎকার।
(৮/৯) দক্ষিণ পাশের অজুখানায়ও একটা ভালো আর্ট আছে।
(১০) প্রধান ফটক পেরিয়ে তোলা ছবি।
(১১) ভেতরটা নিতান্তই ছোট মেহরাবখানাও ছোট তবে বেশ ছিমছাম।
(১২/১৩) তিন কাতারের মসজিদে আমার মনে হয় সর্বোচ্চ ৬০ জন মানুষ নামাজ পড়তে পারবে। উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে তোলা দুটি ছবি।
(১৪) মসজিদের বাহিরে দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে তোলা ছবি।
(১৫) একটা নাম ফলকও পাওয়া গেল মসজিদের সামনে।
(১৬) দোয়েলটি এসে ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়াছিল, কিন্তু আমার দুঃখ কি জানেন! জীবনেও দোয়েলের রঙিন ছবি তুলতে পারিনি, শুধুই সাদা কালো।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৩