গোলাম আযম সত্যিই যুদ্ধাপরাধী কী-না এই প্রসঙ্গ নিয়ে এই পোস্টটি দিয়েছিলাম। সেখানে আমি কিছু যুক্তি তুলে ধরেছিলাম। সবাইকে আহবান জানিয়েছিলাম গালি না দিয়ে যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে আমার দেয়া যু্ক্তিগুলোর মোকাবেলা করতে। শুধুমাত্র একজনই ( ব্লগার শয়ন কুমার) কিছু যুক্তি উপস্থাপন করেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ। তার প্রশ্ন/যুক্তির জবাব সেখানে দিয়েছি। সকলের জ্ঞাতার্থে সেই আলোচনা গুলোকে একটি ভিন্ন পোস্ট আকারে দেয়া হলো।
শুধু আলোচ্য ব্লগার নয়, ইন্টারনেটে কিছু কথোপকথনের পর অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করে তাহলে কারা মুক্তিযুদ্ধের সময় এত অপকর্ম করলো? অনেকেই রাগ করে বলে এসব কী ভুতে করেছে?
আসলে ভুতে করেছিলো কিনা সেটা বের করার দায়িত্ব তো তাদেরই যারা সবযায়গায় ভুত খুজে বেড়ায়। এমনকি কাদের সিদ্দিকিও তদের অনেকের চোখে এখন ভুত (যুদ্ধপরাধী) হয়ে গেছে, শুধু আওয়ামি বিরোধিতার কারনে।
আর কারা করেছিল এ প্রশ্নের উত্তর খোজার জন্য মুক্তি যুদ্ধের পর পরই গঠিত হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। ১৯৭২ সালে থানা পর্যায়ে গঠিত Fact Finding Committee তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করে প্রায় দেড় লক্ষ দালালদের একটা লিস্ট করেছিল আর ১৯৫ জন পাকিস্তানি সৈন্যকে যুদ্ধপরধী হিসাবে সনাক্ত করেছিল।
১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আদেশ নম্বর ৮-এর মাধ্যমে দালাল আইন প্রণীত হয়। এরপরই ওই আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, থানা পর্যায়ে গঠিত Fact Finding Committee –র তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে ৩৭ হাজার ৪শ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস দেয়া হয়। এর মধ্য থেকে ১১ হাজার রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে, বিচার করে ৭৫২ জন কে সাজা দেওয়া হয়।
একজন ব্লগার তার ব্লগে উল্লেখ করেছে, ৭৫২ জন, মানে ২০ জন ফাঁসির আসামী সহ সবাইকে জিয়ার আমলেই জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমার প্রশ্ন হলো – এই সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ জন convicted আসামী অথবা ২০ জন ফাসির আসামিদের মধ্যে কি গোলাম আযম, নিজামি, সাঈদীরা ছিলো? যদি থেকে থাকে, তাহলে কি আর বিচারের দরকার আছে? ওরা তো already convicted, ওদেরকে ধরে এখন just ফাসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া দরকার।
আর যদি এই ৭৫২ জনের মধ্যে ওরা না থেকে থাকে তাহলে প্রথমেই কেন আমরা এই ৭৫২ জনকে ধরছিনা? তাদের বিরুদ্ধে তো অভিযোগ প্রমানিত। ঠিক যুদ্ধের পর পরই তাজা সাক্ষ্য প্রমানের মাধ্যমে প্রমানিত। তারপর প্রশ্ন আসবে সেই ১১০০০ লোকের যাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছিল। এবং তারপর প্রশ্ন আসবে সেই ৩৭০০০ লোকের যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সদ্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই।
কিছুদিন আগে একটা বই হাতে পেলাম নাম, "মুক্তিযুদ্ধ ’৭১ : দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী"। আমি সেখানে গোলাম আযম, নিজামি –সাঈদীদের নাম খুজছি। আপনারা যদি খুজে পান আমাকে জানাবেন। আর যদি না খুজে পান তাহলে দয়া করে বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করার (কাদের সিদ্দিকীকে রাজাকার বলার মতো) মতো অন্ধত্ব ত্যাগ করবেন।
/////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
ব্লগার শয়ন কুমার গোলাম আযমের নাগরিকত্ব মামলা সম্পর্কে তার যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি যা বলতে চেয়েছেন তা মোটামুটি এরকম: মামলা যেহেতু ছিল নাগরিকত্ব বিষয়ে সেহেতু যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে বিচারক যা বলেছে তা কোট করার মানে হচ্ছে: "আজেবাজে পোস্ট ও মিথ্যা পোস্ট দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা"।
সবাই একটু লক্ষ্য করুন। বিচারক যখন রায় দেয় তখন রায়ে কিছু অবজার্ভেশন বা রিমার্ক থাকে (যাকে আপনি অবিটার/অবিটার ডিকটাম বলেছেন)। যদিও এগুলো রায়ের মূল অংশ নয়, কিন্তু বিচারক এসব বলেন অযথা গল্প ফেদে সময় নষ্ট করার জন্য নয় অথবা এগুলো কোন অর্থহীন প্রলাপও নয়। বরং বিচারক যে রায় দিচ্ছেন সে রায়ের ভিত্তি হিসেবে তিনি এসমস্ত অবজার্ভেশন বা রিমার্ক দাড় করান। অর্থাৎ রায়ের ভিত্তিই হচ্ছে এসব অবজার্ভেশন। তাই বিশ্বব্যাপী এটা ট্রাডিশন যে রায়ের অবজার্ভেশনগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বা এভিডেন্স হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ ধরে নেয়া হয় রায় যদি ঠিক হয় তাহলে অবজার্ভেশনগুলোও ঠিক। অবজার্ভেশন যদি ঠিক না হয় তাহলে রায়টাও ধ্বসে পড়ে।
তাই নাগরিকত্ব মামলার সময় বিচারক কনসিডার করেছেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত ৬২টি অভিযোগ ঠিক কী-না। অভিযোগ ঠিক হলে তিনি নাগরিত্ব পাওয়ার দাবীদার না। যেহেতু বিচারক দেখেছেন যে অভিযোগ গুলো সম্পূর্ন ভিত্তিহীন সেকারণেই শুধুমাত্র তিনি নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এটাই হচ্ছে ইকুয়েশন। তাই নাগরিকত্ব মামলার প্রেক্ষিতে যুদ্ধাপরাধের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করা খুবই যুক্তিসংগত; আজেবাজে বা মিথ্যা কথা নয়।
আর এ কথা যদি ঠিকই হয় (এক মামলার বিষয়বস্তু বাদে থেকে অন্য বিষয় প্রমাণ করা যাবে না) তাহলে বলুন মুন সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে করা মামলা কীভাবে সামরিক শাসন অবৈধ হওয়া এবং সামরিক শাসন অবৈধ হওয়া থেকে কীভাবে সংবিধান বাতিল হবার দিকে গড়ালো? মামলা বিষয়বস্তু যে "মুন সিনেমা হল" সেটার মালিকানা কিন্তু বেচারা মামলাকারী এখনো পায়নি কিন্তু এদিকে সংবিধান বাতিল হয়ে এলাহি কারবার হয়ে গেল। আবার সম্প্রতি পরীক্ষা পূণরায় দেয়া বা খাতা রিচেকের জন্য করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদের ডীন অপসারিত হয়ে গেল। অথচ ডিনের অপসারণের জন্য মামলাটি করা হয়নি।
/////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
আরেকটি কমেন্টে শয়ন কুমার সাহেব বলেন: "১৯৯৪ সালে নাগরিকত্ব মামলায় বিচারপতি আনোয়ারুল হক গোলামের সিটিজেনশীপ দেয়ার পক্ষে রায় দেন"। একথা বলার পর তিনি বিচারপতি আনোয়ারুল হক চৌধুরীকে এমন এক ব্যক্তির জামাই হিসেবে প্রমাণ করেন যে কীনা গোলাম আযমের পরিচিত। এর মাধ্যমে তিনি তার দেয়া রায়ের ক্রেডিবিলিটিকে খাটো প্রমানিত করতে চেয়েছেন। অথচ এটা করতে যেয়ে, ঐ বিচারকের রায়ের পরও যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে সেটা তিনি উল্লেখ করেননি।
প্রকৃত ঘটনা হলো: গোলাম আযমের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত মামলাটি প্রথমত: বিচারপতি ইসমাইল উদ্দিন সরকার ও বিচারপতি বদরুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানী হয়।
শুনানী শেষে সিনিয়ার জজ বিচারপতি ইসমাইল উদ্দিন সরকার নাগরিকত্বের আবেদন খারিজ করে দেন বিলম্বিত আবেদনের কারণ দেখিয়ে । যুদ্ধাপরাধী হবার কারণ দেখিয়ে নয় বা আনীত ৬২টি অভিযোগ সত্য বিবেচনা করে নয়। কেননা এই বিচারপতিই (ইসমাইল উদ্দিন সরকার) যদিও তিনি নাগরিকত্বের আবেদন খারিজ করে দিচ্ছেন তারপরও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পর্কে তার পর্যবেক্ষণ ছিল নিরপেক্ষ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর রায়ে তিনি বলেছেন, "Except some news items and one photograph showing that the petitioner met General Tikka Khan or General Yahya Khan. There is nothing to directly implicate the petitioner in any of the atrocities alleged to have been perpetuated by the Pakistani Army or their associates_ The Rajakars, Al-Badrs or the Al-Shams. Except that the petitioner was hobnobbing with the Military Junta during the war of liberation we don't find anything that the petitioner was in any way directly involved in perpetuating the alleged atrocities during the war of independence.
অর্থাৎ, আবেদনকারী (অধ্যাপক গোলাম আযম) জেনারেল টিক্কা খান অথবা, জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই মর্মে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত কিছু খবর ও একটি ছবি ছাড়া তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কিংবা তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর কিংবা আল-শামস এর নির্মম নির্যাতনের সাথে কোনও ভাবে সরাসরি জড়িত ছিলেন এ ধরনের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মুক্তিযুদ্ধকালে আবেদনকারী (অধ্যাপক গোলাম আযম) সামরিক শাসকদের সাথে কথা বলেছেন এই তথ্য ছড়া স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সরাসরি কথিত নির্মমতা ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এ ধরনের কিছু আমরা পাইনি।
বিচারপতি ইসমাঈল উদ্দীন সরকারের রায়ের এই অকপট ও নিরপেক্ষ অংশটির সাথে তার সহযোগী বিচারপতি বদরুল ইসলাম চৌধুরী শুধু নন, বিভক্ত রায়ের ফলে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কর্তৃক তৃতীয় বিচারপতি, বিচারপতি আনোয়ারুল হক চৌধুরীর আদালতে প্রেরণ করার পর সাক্ষ্য-প্রমণ, যুক্তি, তর্ক, আইন ও এ সংক্রান্ত দেশ-বিদেশের আদালতসমূহের দৃষ্টান্ত পর্যালোচনা পূর্বক তিনিও বিচারপতি সরকারের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছিলেন, যদিও তিনি তাঁর (ইসমাঈল উদ্দীন সরকারের) নেতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে বিচারপতি বদরুল ইসলাম চৌধুরীর রায়ের সাথে একমত হয়ে তাঁর নাগরিকত্ব পুনরুদ্ধারের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।
তাহলে দাড়ালো: এই তিন বিচারপতির মধ্যে কেউই তাকে আপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট বিবেচনা করছেননা, একজন অন্য কারণ দেখিয়ে নাগরিকত্ব আবেদন খারিজ করছেন, দুইজন নাগরিকত্ব আবেদন গ্রহনযোগ্য মনে করছেন। এই অবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে অধ্যাপক গোলাম আযম তার নাগরিকত্ব ফিরে পান। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে সুপ্রিমকোর্টে আপিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি' এম. এইচ. রহমান, বিচারপতি এটিএম আফজাল, বিচারপতি মোস্তফা কামাল, বিচারপতি লতিফুর রহমানের (মনে রাখবেন এরা হচ্ছেন বাংলাদেশের বড় বড় বিচারপতি) সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের সাথে ঐকমত্য পোষণ করে তার নাগরিকত্ব পুনর্বহাল করেন।
এই যখন প্রকৃত অবস্থা তখন সুপ্রিম কোর্টের (যে কোর্টে বিচারপতি আনোয়ারুল হক চৌধুরী ছিলেননা) বিষয়টি বেমালুম চেপে যাওয়া কতটা বস্তুনিষ্ঠতার পরিচায়ক?
সুতরাং বিচারপতি আনোয়ারুল হক চৌধুরীকে নিয়ে যে টানটানি সেটা এত কষ্ট করে না করলেও চলত। কেননা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সবোচ্চ আদালতের রায়েই এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে (এবং সেখানে চৌধুরী ছিলেননা)।
এখানে আরেকটি প্রসঙ্গ না উল্লেখ করলেই নয়। কোন লোক কার জামাই এটা অনেক ক্ষেত্রেই বিচার করা অর্থহীন। মানুষ এমন একজন লোকের মেয়েকে বিয়ে করেছে যাকে আপনি পছন্দ করেননা বা সন্দেহ করেন, এই অজুহাতে আপনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সন্দেহ করতে শুরু করবেন এটা খুবই অযৌক্তিক। তাহলেতো মানুষ পছন্দমতো মেয়ে বিয়েই করতে পারবেনা। কারণ বিয়ের আগে তার চৌদ্দ পুরুষ গাতি গুষ্টি সবার সার্টিফিকেট নিয়ে তারপর বিয়ে করতে হবে, এবং কোথাও দুঃসম্পর্কে, লতায়-পাতায় যদি কোন ফল্ট ধরা পড়ে তাহলে সে আর আগাতে পারবেনা। আমারা কী দেখিনা যে দুই ভাই ভিন্ন আদর্শের হয়? আবার বাপ এক আদর্শের এবং ছেলে অন্য আদর্শের? পিতা আবুল হাশিম ইসলাম সম্পর্কে বই লিখেছেন, কিন্তু ছেলে বদরুদ্দিন উমর বামপন্থী। আবার আওয়ামি লীগের এক এমপির বোন-জামাই ছিল শায়খ আব্দুর রহমান। এজন্য তো তাকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। আবার শেখ হাসিনার বেয়াই নাকি রাজাকার এজন্য শেখ হাসিনাকে আপনারা নিশ্চয় রাজাকারদের প্রতি "প্রসন্ন চিত্ত" মনে করেননা।
মোদ্দা কথা পারিবারিক সম্পর্ক বিশেষ করে বৈবাহিক সূত্রে তৈরী হওয়া পারিবারিক সম্পর্ককে কোন শক্ত যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা যায়না। তাই বিচারকের শ্বশুর কে এটা না দেখে দেখতে হবে ঐ ব্যক্তির নিজের কর্মকান্ডের মধ্যে এমন কিছু পাওয়া যায় কী-না যাতে তার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তার শ্বশুর গোলাম আযমের পরিচিত (এমনকি জামাত করে এমনো নয়)। মানুষের সাথে মানুষের পরিচয়তো থাকতেই পারে। এর দ্বারা কী কোন কিছু প্রমাণ হয়? সংশ্লিষ্ট বিচারপতি রায়ে কী খোড়া যুক্তি উপস্থাপন করেছেন? আর তিনি যদি খোড়া যুক্তির উপর ভিত্তি করে পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে রায় দিতেন তাহলে সুপ্রিম কোর্টের বাঘা বাঘা বিচারপতিরা পর্যালোচনা করে তা বহাল রাখলেন কীভাবে। এদের সবার শ্বশুর কী ঐ একই ব্যক্তি নাকি? নাকি বর্তমান আইন মন্ত্রীর মতো গায়ের জোরে বলবেন, বিচার আমার পক্ষে গেলে ঠিক আর না গেলে ভুল!!!
এ প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের কথা। তিনি সরাসরি একই বিষয়ে রাজনৈতিক ক্যাম্পেইনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তিনি কীভাবে একই বিষয়ে বিচারের জন্য নিয়োগ পেলেন? তিনি কীভাবে নিরপেক্ষ থাকবেন? কারণ অলরেডি তিনি একটা পক্ষ নিয়েই নিয়েছেন। তার নিরপেক্ষতা সাধারণ যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে কিম্বা আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডে চিন্তা করুননা কেন, তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অথচ এই বিচারকের আন্ডারে বিচার নিয়ে আপনারা খুশিতে লাফাচ্ছেন আর অন্য আরেকজন বিচারপতির শ্বশুর (বাপ হলে তাও কথা ছিল, কারণ ছেলে অনেক সময়ই বাপের আদর্শ নিয়ে বড় হয়) নিয়ে টানা হেচড়া শুরু করেছেন। আপনাদের লজ্জা হয় না?