
আমার হাতের ফাকেঁ রৌদ্রের ছায়া পড়েছিল
আর দুচোখে ছিল তপ্ত আগুন
দীর্ঘ একবছর আমি ঘুমোইনি
দীর্ঘ এককাল আমি শ্রাবনে ভিজিনি
দীর্ঘ বারটি পূর্ণিমা আমি কোন স্বপ্ন দেখিনি
তাই সেই ঘুম, স্বপ্ন ও বৃষ্টির জন্য আমি
এক দুপুরে হাতের মুঠিতে কিছু রৌদ্র নিয়ে
ছুটে চললাম কিছু বৃষ্টি কিনব বলে..............
আমার পথের দুপাশে ছিল বিস্তীর্ন মরুভূমি
অথবা হয়তো আমার কোন নির্দিষ্ট পথই ছিলনা
কখনো আনুবিসের পায়ের ঝংকারে চমকে ওঠে
স্ফিংসের নীল নিশ্বাসে কেপেঁ ওঠতাম আবহমান রক্তের মতো
আবার গভীর রাতে পিরামিডের প্রাচীন পাথরে ঘুম নেমে এলে
নীলের শূন্য বুকে বজরার পাল তুলে
পাড়ি জমাতাম এক অচেনা শব্দের দেশে ।
এবং ---তারপর --- ফারাওদের সমুদ্র ও স্ফিংসের সীমানা শেষ হলে
চিরহরিৎ অঞ্চলের কিছু ঘুমরঙা মেঘের পিছু পিছু
হঠাৎ পৌঁছুলাম এক কৃষ্ণচূড়া ও কদম কন্যার দেশে
সেদেশে ছুটে চলা আকাশের ঘুম ভেঙে গেলে
বরফের শহর হতে ভেসে এলো মেঘেদের দল---
আর বহুকাল প্রতীক্ষিত এই আমি
হাতের মুঠোয় ধরা সবটুকু রোদ এনে ছড়িয়ে দিলাম
তখন দূরের শহরের যাযাবর বরফের দল
সেই স্ফিংসের নীলচে রক্তে জ্বলে ওঠা আগুনের মতো
পুড়ে পুড়ে মেঘ হয়ে সেই অদ্ভুত তরুনকে শুনালো
সমুদ্রের গল্প..............
দীর্ঘ একবছর যার চোখ কোন রাত্রি দ্যাখেনি
দীর্ঘ এককাল যার হৃদয় শ্রাবনে ভেজেনি ---- তার ---
মাঠের মতো বুকে সেই অদ্ভুত গল্প শুনে
ভেজা মহুয়ার পথ মাড়িয়ে খসে পড়া উল্কার মতো
দুচোখে বর্ষা নিয়ে ছুটে এলো শ্রাবনের মেয়ে ........
যার চুলের ডগায় লেগে বৃষ্টির গন্ধ
পায়ে বিজলি নূপুর আর
বুকে বুনো কেয়ার নৈনিতাল ঘ্রান
অত:পর শরতের দীর্ঘ দিনে মেঘের ছায়া পড়ে
পূর্ণিমা আসে ---- চৈত্র ও বর্ষা যায় ---
ছড়ানো রৌদ্রের লালচে কনা ভাসে সমস্ত উঠোনময় ..........
তখনো বুঝিবা সেইদেশে মেঘ জমে
প্রতি পূর্ণিমায় চাদঁ ওঠে , শ্রাবন এলে চোখ ভিজে যায়
তখনো বুঝি তার সকালের মতো ত্বক এসে
এই আমি ------
আমার রৌদ্র ছোঁয়া হাত ধরে দ্যাখে ----
সে হাতে বিশুষ্ক শিরা আর অগনিত ভাঁজ
বৃষ্টিতে ভেজার বয়স ----
শেষ হলো আজ''।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৪৮