৫ই আগস্টে নানা ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্ষমতা দখল করেছেন নোবেলবিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। ইউনূস শান্তিতে নোবেল জিতেছিলেন, কিন্তু তার শাসনামল বাংলদেশে অশান্তি এনে দিয়েছে। দেশে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নাই, বাক স্বাধীনতা নাই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নাই। নাই-নাই কিছুই নাই।
নাই-নাইর দেশে তবু মানুষ ফের জাগতে শুরু করেছে। এবারও ত্রাতার ভূমিকায় এসেছে আওয়ামী লীগ। অথচ বলপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে কিনা এটা নিয়ে খোদ দলটির নেতাকর্মিরাও সন্দেহের মধ্যে ছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে বদলে গেছে দৃশ্যপট। এখন সারাদেশে আওয়ামী লীগের পালে লেগেছে হাওয়া। সরকারি-বেসরকারি গুন্ডাবাহিনি, বিএনপি-জামায়াতসহ নানা নামের গুন্ডাবাহিনির হুমকি-ধমকি-হুলিয়া-নির্যাতন সত্ত্বেও এখন আওয়ামী লীগ রাজপথে দুর্বার। অথচ এই দলে এখন নেতা নাই, নেতৃত্ব নাই; কার্যালয় নাই, বৈঠক নাই, প্রকাশ্যে কথা বলার লোক নাই।
কেন আওয়ামী লীগে জোয়ার এসেছে--এই প্রশ্নের উত্তর কী? উত্তর হচ্ছে লিগ্যাসি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমনই এক দল যেখানে উত্তরাধিকার সূত্রে বা বংশ পরম্পরায় মানুষ আওয়ামী লীগের সমর্থন করে থাকে। আওয়ামী-পরিবারগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, অধিকাংশ তিন পুরুষ-চার পুরুষ থেকে আওয়ামী লীগ করছেন।
গত ১৫ বছরের এক টানা সরকারে থাকার কারণে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ববাহী এই দলটি অনেকটাই আদর্শ্চ্যুত হয়েছে। দলে অনেক সুবিধাবাদী শ্রেণির অনুপ্রবেশ ঘটেছিল। ক্ষমতাহারা হওয়ার পর তাদের অনেকেই নিজেদের রূপে ফিরেছে। জামায়াত-ছাত্রশিবির এতদিন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নামে সকল অপকর্ম করে গিয়েছিল, এবং এর দায় চুকাতে হয়েছিল আওয়ামী লীগকে। ছাত্রলীগের নাম নিয়ে ছাত্রশিবির পুরোটা সময় হ্যালমেট বাহিনী রূপে নানা অন্যায় করে ছাত্রলীগকে দুর্নামে ভুগিয়েছে।
ক্ষমতা হারিয়ে এখন আওয়ামী লীগ বুঝতে পারছে কে ছিল বন্ধু আর কে বন্ধুর নামে ছিল শত্রু। ফলে নেতা ও নেতৃত্ব না থাকা সত্ত্বেও অস্তিত্বের প্রয়োজনে এখন সকল বাধা বিপত্তি এড়িয়ে আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে। এটা এখন তাদের অস্তিত্বের লড়াই।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৯