মুহাম্মদ ইউনুস সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী থেকে উপদেষ্টা হয়ে যাওয়া মাহফুজ আলম দেশের আলোচিত এক চরিত্র । তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন মুহাম্মদ ইউনুস । আমেরিকার ক্ষেত্র হিসেবে তিনি বেচে নিয়েছিলেন আমেরিকার ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের এক অনুস্টান । সেখানে প্রফেসার ইউনুস সাহেবের সৌজন্যে জানা গেল মাহফুজ আলম ছিলেন জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ড ।
কথিত মাস্টার মাইন্ড মুহফুজ, এতো বড় একটা আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ড ; বিষয়টি সবার হজম করতে সমস্যা হচ্ছিলো । এটা হজম করতে পারেনি কেউ । অংশিজনের মধ্য বিভক্তি দেখা দিয়েছিলো । কে মাস্টার মাইন্ড আর কে মাস্টার মাইন্ড নয় এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিলো । তবে শেষমেশ কোন সিদ্ধান্তে না পৌঁছেই আমরা এই আলোচনা থেকে সবে এসেছি ।
নিজের নামের পাশে 'মাস্টারমাইন্ড' শব্দের যোগ্যা মাহফুজ আলম রাতরাতি বিপুল ক্ষমতাধর হয়ে ওঠলেন । সবখানে তিনি । প্রধান উপদেষ্টার সহকারী হয়ে তিনি গনমাধ্যমে যে কাভারেজ পেয়েছিলেন তা ছিলো চোখে পরার মতো । বিভিন্ন কমিটি , বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার কমিটিতেও শিক্ষার্থী কোটায় স্থান পেয়েছিলেন । গনমাধ্যম তার নাম উল্লেখের সাহস করতে পারেনি ।
আমেরিকায় পরিচিতি পরব শেষে মুহাম্মদ ইউনুসের জন্য এরপর সূর্যের চাইতে বালু গরম হয়ে গিয়েছিলো । শেষমেশ চাপ সরাতেই কিনা মাহফুজ আলমকে উপদেষ্টা হিয়েবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে । উপদেষ্টা হয়েই মাহফুজ আলম প্রথম কাজ করেছেন, বঙ্গভবনের একটি হল থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে । যদিও বঙ্গভবনের ছবি সরানো তার কাজ ছিলো না এবং তখনো তিনি কন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পাননি । আর দায়িত্ব পেলে বঙ্গভবনের ছবি সরানো বা কিছু করার এখতিয়ের তার নাই । তিনি দেশে সাংবিধানিক জাতির পিতার ছবি সরিয়েছেন এবং সেটা ফেইসবুকে প্রকাশ্যও করেছেন । এখানে তিনি ক্ষমতার বিপুল অপবব্যবহার এবং সংবিধান অবমাননা করেছেন।
মাহফুজ আলম দেশের সংবিধান মানেন না । এটাকে তিনি ছুড়ে ফেলে দিতে চান । ৫ অগাস্টের পর নাকি এটা অকার্যকর হয়ে পড়েছে । অথচ তিনি উপদেষ্টার যে শপথ নিয়েছেন সেটা সংবিধান মেনে এবং সংবিধান রক্ষার বাক্য পাঠে । নিতির সঙ্গে তার এই দ্বৈততা একজন তরুণের কাছে অপ্রত্যাশিত ।
উপদেষ্টা মসাহফুজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হজবুত তাহরিরের তাত্ত্বিক নেতা । এই অভিযোগ উঠেছিলো তাকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর নাম জানার পর ।