একাকিত্বকে জোর করেই দুরে ঠেলে দেয়া শিখেছি। যখন মনে হয় এইতো ধেয়ে আসছে একাকিত্ব আমার দিকে, আমি তার ঠিক বিপরীতে আরেকটা আড়াল গড়ে তুলি নিজের মাঝে। অনেকটা একাকিত্বের সাথে নিরন্তর খেলে যাওয়ার মতো। যখন সকালের রোদকে আছড়ে পড়তে দেখি জানালার পর্দায়, মধ্যদুপুরে টেলিগ্রাফ লাইনে বসে থাকতে দেখি নিঃসঙ্গ পাখিকে, পড়ন্ত সূর্যের ফাকে যখন বিষন্ন সন্ধ্যা দেখি কিংবা কোন নিশ্চুপ মধ্যরাতে ঘর থেকে বের হয়ে আকাশটা দেখি তখন একাকিত্ব আমাকে জড়িয়ে ধরতে চায়। আমি তার ঠিক পরমূহুর্তেই পালিয়ে যাওয়ার বাহানা খুঁজি।
একাকিত্ব এখন আর খুব সহজে ধরতে পারে না আমায়। চারপাশের অনেক বাস্তবতা দেখে শিখে গেছি অনেক কিছু। অনুভূতিগুলো থমকে দেয়া শিখেছি, কষ্টগুলো কতোটা বর্ণীল জেনেছি। সব অনুভব করে আমি অনেকদুর হাটতে শিখেছি। এতোই সহজ কি একাকিত্বের পক্ষে, আমাকে একা করে দেওয়া!
তবুও অনেক মানুষের ভিতরে আমি একা হয়ে যাই।
(অনেকদিন পরে ব্লগে আসলাম। শেষ গত এপ্রিল মাসে লিখেছিলাম। ব্লগে কিছু একটা লিখতে বসে এলোমেলো কথাগুলো লিখে ফেললাম।)