সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে ও সচেতনতা গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস এন্ড প্রিভেনশন থেকে ১০টি পরামর্শ দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
১. প্রথমত এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এখন পর্যন্ত সোয়াইন ফ্লু সাধারণ ফ্লুর চেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। আর নতুন সোয়াইন ফ্লুতে যতজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং মারা গেছে সেটা সাধারণ ফ্লু’র মৃতের সংখ্যার চেয়ে বেশি নয়।
২. আক্রান্ত হয় বিশেষ বয়সী লোক। সোয়াইন ফ্লুতে যারা বেশি আক্রান্ত হয় তারা হচ্ছে ১২ বছরের কম বয়সী শিশু, গর্ভবতী নারী- যাদের এজমা, ডায়াবেটিসসহ হৃদরোগ রয়েছে। কিশোর-কিশোরী এবং প্রাপ্ত বয়স্করাও ফ্লুতে আক্রান্ত হতে পারে।
৩. ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। সাধারণ ফ্লুর মতোই এ সোয়াইন ফ্লু কফ ও হাঁচির মাধ্যমে ছড়ায়, এজন্য দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
৪. দ্রুত টিকা নিতে হবে। টিকা সরবরাহ কম থাকলে ৬ মাস থেকে ২৪ বছর বয়সীদের, গর্ভবতী নারী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা নিয়ে নিতে হবে। সোয়াইন ফ্লুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. অক্টোবরের মধ্যে সারাবিশ্বে লাখ লাখ মানুষ সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হবে। তাই প্রত্যেকেরই নিজের প্রস্তুতি নিজেকেই নিতে হবে। নিকটস্থ সেবা কেন্দ্রে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্য বিষয়ে জানতে হবে।
৬. ক্ষণিকের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে। নিরাপদ হওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। টিকার কার্যকর প্রভাব পড়তে তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
৭. টিকা নেওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে সোয়াইন ফ্লুর টিকা নেয়া নিরাপদ এবং কার্যকরী।
৮. আপনার আশপাশের মানুষদের সহায়তা করুন। যদি টিকা নেওয়ার আগেই আপনার এলাকায় সোয়াইন ফ্লুর প্রাদুর্ভাব ঘটে তবে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। জনাকীর্ণ এলাকায় অবস্থান পরিহারের চেষ্টা করতে হবে। এজন্য চোখ, নাক ও মুখে হাত কম স্পর্শ করতে হবে।
৯. যদি আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, আপনার যদি শারীরিক সমস্যা থাকে বা গর্ভবতী হন এবং এসময় সোয়াইন ফ্লুর লক্ষণ দেখা দেয় সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। ওষুধ হিসেবে তামিফ্লু বা রেলেজা ব্যবহার করা যেতে পারে। লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ওষুধের ব্যবহার সংক্রমণের মাত্রা কমাতে পারে।
১০. শুকর বা পোলট্রি থেকে সোয়াইন ফ্লু হওয়ার আশঙ্কা নেই। মাংস কাটা বা ধরায় সোয়াইন ফ্লু হয় না।
[সংগ্রহ] [www.bangladeshinfo.com]
** দরকারি ভেবেই আমি এই পোষ্টটা দিয়েছি। আর কোথা থেকে নিয়েছি সেটাও লিখে দিলাম। কেউ অন্য কিছু বললে আমার খারাপ লাগবে। **
আরও অনেক অনেক লেখা আছে সবাইকে সতর্ক করার মত, জানানোর জন্য এই সোয়াইন ফ্লু নিয়ে। তার অনেক গুলোর লিঙ্ক আছে শামিম ভাইয়ার পোষ্ট এ। আমার মনে হয় সবার জানা উচিৎ।
শামিম ভাইয়ার লেখাঃ সোয়াইন ফ্লু নিয়ে
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৪৪