এই টেলিপোর্ট টি রেইস্টিং এ তৈরির কারন এই স্হানে কয়েকটি হাইস্পিড ফাইবার কেবল এর টার্মিনেশন রয়েছে, এবং এখান থেকে স্যাটেলাইট ট্র্যাক করার কি নাকি একটা সুবিধা রয়েছে যা পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি যায়গায় সম্ভব (ব্যাপার টা আমার মাথায় ঢুকেনি ঠিক ভাবে)। ফাইবার ল্যান্ডিং টা এখন এই টেলিপোর্ট এর ভিতরে কিন্তু সেটুকুর মালিকানা এখনো জার্মান টেলিকম এর। ৩য় বিশ্বযুদ্ধ এবং নিউক্লিয়ার বোমার কথা চিন্তা করে মাটির অনেক নীচে আছে একটি বিশাল ফ্যাসিলিটি, সেখানে এখনো রাখা আছে শোয়ার জন্য খাট, খাওয়ার পানি ও অন্যান্য রশদ।
নিউক্লিয়ার বাংকার:
এই ই-এম-সি টেলিপোর্ট নিজেদের স্যাটেলাইট আপলিন্ক ছাড়াও অন্যান্য দেশের/প্রতিষ্ঠানের স্যাটেলাইট আপলিন্ক এর কাজ করে থাকে। জিওস্টেশনারি (স্হির) কৃত্তিমঊপগ্রহ পুরানো হয়ে গেলে এবং তার জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে আর নিজেদের অক্ষে স্হির থাকতে পারে না, তখন প্রয়োজন হয় অনেক বিশাল ট্রেকিং এন্টেনার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেরকম এন্টেনা তৈরি করা অনেক ব্যায়বহুল ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাড়ায় স্যাটেলাইট এর মালিক পক্ষের জন্য, তখন তারা এইরকম টেলিপোর্ট এর এন্টেনা ভাড়া করে কাজ চালায়।
নীচে টেলিপোর্ট এর কিছু ছবি:
৩২ মিটার ডায়ামিটার রিফ্লেক্টর এর এন্টেনা (মাটি থেকে ১৫তলা বিল্ডিং এর চেয়েও বড়),[ ছবির বাম পাসে রাস্তার উপর একটা গাড়ি আছে, দেখতে পান?]:
একটি এন্টেনার ভিতরের কন্ট্রোল রুম:
এন্টেনা রিফ্লেক্টরের সেন্টার পয়েন্টের পিছনে, এখানে LNA, LNB, buc ও waveguide রয়েছে:
এন্টেনা রিফ্লেক্টরের সেন্টার পয়েন্টের পিছনে:
ডাটাসেন্টার এর এক অংশ:
ডাটাসেন্টার এর এক অংশ:
টেলিপোর্ট এর এন্টেনা:
এন্টেনার ভিতরে, ট্রেকিং গিয়ার যার মাধ্যমে এন্টেনা ঘুরে ঘুরে উপগ্রহ ট্রেক করে:
এন্টেনার ব্লক ডায়াগ্রাম। যারা বুঝে তাদের জন্য, আমি বুঝি না:
এন্টেনার উপর থেকে তোলা রেইস্টিং এর ছবি:
জেনারেটর রুম (যদি কখনো মেইন গ্রিড ফেইল করে!!)। মাঝে মাঝে পাওয়ার কম্পানির অনুরোধে এইখান থেকে নাকি মেইন গ্রিড এ ইলেক্ট্রিসিটি পুশ করা হয়, তখন মিটার উল্টা ঘুরে এবং টেলিপোর্ট কম্পানি এক্সট্রা টাকা পায়:
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:২৫