টাকাসহ ব্যাগ হারিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে অসহায় অবস্থায় পড়েছিলেন কম বয়সী এক দম্পতি। তাদের অসহায়ত্ব দেখে নিজের বাসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে দু’জনকে রাজধানীর উত্তরখানের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি সেখানে ওই দম্পতির হাতেই খুন হয়েছেন তিনি।
কারণটা এমন- চাকরির কথা বলে নিয়ে গেলেও সাইফুর রহমানের উদ্দেশ্য ছিল অন্য। সুযোগ পেলেই স্বামীকে বাইরে পাঠিয়ে তরুণীর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতেন। গত রোববার রাতে সাইফুর রহমান তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা করলে তার স্বামী নাজিম প্রতিবাদ করেন। এতে দু'জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে বঁটি দিয়ে সাইফুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান দুজন।
২
ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন (২৩) নামে দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের এক ছাত্রকে অপহরণ করেছে একটি চক্র। চক্রটির দাবি করা মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা দিয়েও ছেলেকে ফেরত পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার।
অপহৃত মিলন হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাও চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর ছেলে।
জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে প্রথমে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা। পরদিন দুপুরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হলে চক্রটি ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরদিন আরও বেড়ে ১০ লাখ হয়। তিন দিন পর ১৫ লাখ। সবশেষ ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
অপহৃত মিলনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, অপহরণকারীরা যখন যত টাকা চেয়েছে তা দিতে রাজি ছিল ভুক্তভোগী পরিবারটি। তবে বিভিন্ন সময় টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ঘটনাটি দীর্ঘ করেছে অপহরণকারীরা। সবশেষ ৯ মার্চ রাতে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকাগামী ৯টা ৫৪ মিনিটের ট্রেনে উঠতে বলা হয়। এরপর জেলার পীরগঞ্জের সেনুয়া নামক স্থানে চলন্ত ট্রেন থেকে ২৫ লাখ টাকার ব্যাগটি বাইরে ফেলে দিতে বলে চক্রটি।
মিলনের জন্য দুই জোড়া পোশাকসহ ২৫ লাখ টাকা ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ১০ মিনিট পর টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে অপহরণকারী চক্র। এরপর দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে অপহৃত মিলনকে পাওয়া যাবে বলে তথ্য দেয় চক্রটি। সেই রাতের ১১টা থেকে সকাল পর্যন্ত স্টেশনে অপেক্ষা করেও ছেলের দেখা পায়নি পরিবারটি।
সর্বশষ খবর ছেলেটাকে হত্যা করা হয়েছে।
৩
২০২০ সালের দিকে এলাকায় থাকার সময় হঠাৎ এক মেয়ে নক দিল ফেসবুকে। সামিয়া জাহান না কী জানি নাম। প্রথমে জরুরি বিষয়ে কথা বলত। লেখালেখি সূত্রে যেহেতু অনেকের সাথে কথা হতো, তার সাথে কথা বলা ব্যতিক্রম কিছু ছিল না। হঠাৎ একদিন ১৮+ আলাপ জুড়ল। আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না। একসময় বলল, নারায়ণগঞ্জে আসা হয়?
তখন বুঝতে পারলাম হানি ট্র্যাপে ফেলতে চাচ্ছে। আমি কিছু প্রশ্ন করলে হঠাৎ ব্লক করে দেয়।
এই যে হানি ট্র্যাপ- এটা খুবই কমন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। কম বয়সী থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও এই ফাঁদে পড়ে। দেখা করতে গিয়ে সর্বস্ব হারায়।
পুরুষেরা ছাড়াও নারীরাও এই ফাঁদে পড়ে। অহরহ এমন ঘটনাও আসে অনলাইনে পরিচয়ে প্রেম; দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার। কিছু নারী অনলাইন প্রেমিকের জন্য বিবাহিত স্বামীকে ছেড়ে দেয়। শেষে ওই প্রেমিক বিয়েই করে না, পরে মেয়ে অনশনে বসে।
প্রতারণার ফাঁদ সর্বত্রই পাতা। চাকরি থেকে শুরু করে প্রেম সব বিষয়ে। একটু সতর্ক না হলেই বিপদছ
ছবি
সূত্র: ‘আপত্তিকর আচরণের’ কারণে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে খুন করা হয়: পুলিশ
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ, ২৫ লাখেও মেলেনি মুক্তি
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:২২