বসন্তের দ্বিতীয় দিন আজ। বইমেলার পনেরোতম দিন। প্রথম দিকে লোক সমাগম কম হলেও ধীরে ধীরে জমে উঠছে বইমেলা। গতকাল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আর বসন্তের প্রথম দিন হওয়ায় ভিড় ছিল অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি। বাসন্তী রঙসহ নানান রঙের শাড়ি পরে মেলায় এসেছিলেন নারীরা। পুরুষেরা এসেছিলেন পাঞ্জাবি পরে। শিশু-কিশোররাও এসেছিল বাহারি পোশাক পরে।
লোকজন দল বেঁধে বইমেলায় আসছেন। স্টলে স্টলে ঘুরে বইপত্র দেখছেন। যদিও বই বেচাকেনার তুলনায় ঘোরাঘুরি আর মোবাইলে ছবি তোলা বেশি হচ্ছে।
এবারের বইমেলায় ‘কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়’ শিরোনামে আমার একটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। কমিশন বাদে মূল্য ২২৫ টাকা। বইটি ৮২০-২১ নং স্টল বাংলার প্রকাশন-এ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও রকমারি থেকেও নেওয়া যাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ বললে কুরিয়ারে করে পাঠানো যাবে।
বই খারাপ যাচ্ছে না, বিভিন্ন জায়গায় কুরিয়ার করছি। তবে প্রত্যাশার তুলনায় কমই বলা যায়। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এ দেশের অনেক মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারেনি যে অপাঠ্য বইও কিনে পড়তে হয়। আমার পরিচিত অনেকে, বিশেষত সহকর্মী এবং সহপাঠীরা ‘সৌজন্য কপি’ চাচ্ছেন!
ডিবিসি নিউজে আমার নাম এবং ছবি সংবলিত একটা কার্ড প্রচারিত হওয়ায় শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন অনেকে। যারা আমার লেখালেখি নিয়ে মশকরা করেছে বিভিন্ন সময়, তারাও দেখলাম আমাকে নিয়ে গর্ববোধ করছে। ভাবলাম ছাপানো ৩০০ কপি বোধহয় দু’দিনেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু দেখলাম ওদের একজনও কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাল না। মনে হলো, এসব লেখালেখি না করে নাটক-সিনেমায় কাজ করলে এমন শুভেচ্ছা বেশি বেশি পাওয়া যেত!
যাহোক, লেখালিখি তো আমার একটা প্যাশন। এ থেকেই এর চর্চা। লাভ-ক্ষতির হিসাব করি না। যারা বই পড়ে না, আমি চাই না আমাকে খুশি করার জন্য তারা বই কিনুক।
গতকাল দুপুরে ঘণ্টা দেড়েক ছিলাম বইমেলায়। ২টা থেকে অফিস ছিল, তাই চলে আসতে হয়েছিল। এই অল্প সময়ের মধ্যেও অনেকের সাথে দেখা হয়। আজ ডিউটি সকালে, তাই বিকেল থেকে মেলায় থাকতে পারব। চেনাজানা কেউ মেলায় গেলে মেইল দিয়েন, অথবা যারা ফেসবুকে যুক্ত আছেন মেসেজ দিয়েন, নম্বর থাকলে কল দিয়েন।