জামালপুর জেলার কোনো একটা প্রত্যন্ত গ্রাম; গ্রামের কোনো একটা গৃহস্থ-বাড়ি। তখন নিষুতি রাত। বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ নেই। পাশের গ্রামে দাওয়াতে গেছেন। আসতে দেরি হচ্ছে। শাশুড়ি আর পুত্রবধূ- দু’জন দু’ঘরে ঘুমোচ্ছেন।
“বউ মা, একটু টয়লেট এ যাব; এক বদনা পানি নিয়ে এসো তো।” শাশুড়ি পুত্রবধূকে ডাকলেন।
পুত্রবধূ দরজা খুলে বাইরে এলেন। শাশুড়িকে দেখতে পেলেন না; ভাবলেন, শাশুড়ি হয়তো টয়লেটে ঢুকে পড়েছেন।
টয়লেটটা ছিল বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে। একটা ঘন জঙ্গলের কাছে। পুত্রবধূ বদনা হাতে নিয়ে টয়লেটের দিকে এগোলেন।
বদনাটা টয়লেটের সামনে রেখে যে-ই বাড়ির দিকে আসছেন, হঠাৎ পাশের মরিচখেতে একটা সাদা গরু দেখতে পেলেন। “এত রাতে কার গরু ছাড়া?” বলতে বলতে যেই খেতে নামলেন, কোনো গরু দেখতে পেলেন না। “কোথায় গেল?” বিস্মিত হলেন তিনি।
উঠোনের কাছাকাছি আসতেই পুত্রবধূ দেখলেন শাশুড়ি দরজা খুলছেন। হঠাৎ বলে ওঠলেন, “বউ মা, টয়লেট এ যাব। এক বদনা পানি আনো।”
“আপনি না একটু আগে টয়লেটে গেলেন?” পুত্রবধূ বললেন।
শাশুড়ি বললেন, “আমি তো মাত্রই ঘুম থেকে ওঠলাম। টয়লেটে গেলাম কখন?”
শাশুড়ি উষ্মা প্রকাশ করলেন।
“আপনি আমার দরজায় কড়া নাড়েননি? বলেননি বদনা নিয়ে যাওয়ার জন্য?” পুত্রবধূর কণ্ঠে বিস্ময়।
শাশুড়ি বললেন, “না তো।”
“তাহলে কে বলল? আমি তো টয়লেটের সামনে বদনা রেখে এলাম?”
“কোথায় বদনা রেখে এলে? ওই তো বদনা।” শাশুড়ি উঠোনের এক কোণায় বদনার দিকে আঙুল নির্দেশ করলেন।
“সত্যিই তো বদনা এখানে। তাহলে আমি কী রেখে এলাম?” পুত্রবধূ স্বগতোক্তি করলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৫