অতৃপ্ত আত্মা
ফিরে ফিরে আসি এই সরণির বায়,
উথাল হাওয়া পেয়ে চিত্ত শিহরায় ।
মনে হয় কেউ যেন ডাকছে আমায়,
তারে ক্ষণ খুঁজে পেতে মনটা টাটায়!
নীরবেই বসে থেকে জঁপি তার নাম,
পৃথিবী দেয়না কেন মুগ্ধতার দাম?
হাজারো কল্পনা এসে মনে ভর করে,
পোড়া দুটি চক্ষু নোনা জলে যায় ভরে!
এই পথে হেঁটে হেঁটে গিয়েছিলে তুমি,
তাই তো পথের ধূলো বারংবার চুমি ।
তোমার গায়ের গন্ধ খুঁজি সমীরণে,
অতৃপ্ত আত্মাটা ভারি তোমায় স্মরণে!
আমার মনের কথা যদি গো জানতে,
এক ফুঁটা অনুরাগ নিশ্চয় দানতে!
১ পৌষ ১৪২২ বঙ্গাব্দ
ভালুকা, ময়মনসিংহ ।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
অতৃপ্তি
হতে যদি পারতাম আমি
তোমার বাড়ির ছাদ,
আমার বুকে হাঁটতে তুমি-
জুটতো না অপবাদ ।
আমার মাঝে গড়িয়ে পড়ে
গাইতে যখন গান,
যমুনার উথাল জোয়ার
ডাকতো সহসা বান ।
হতে যদি পারতাম আমি
আরশী তোমার ঘরে,
তোমার মুখটা দেখতাম
পোড়া দুটি চোখ ভরে ।
যখনই গো দাঁড়াতে তুমি
আমার খুব সামনে,
জগতের সব সুখ এসে
নামতো বুঝি ভুবনে ।
চেয়ে থাকি দূরের আকাশে
সেথা মেঘের স্ফুরণ,
আমার মনের কোনো আশা
হয়নি আজো পূরণ ।
২৭ পৌষ ১৪২২ বঙ্গাব্দ
ভালুকা, ময়মনসিংহ ।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
ভুলে যেও না
তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে
নিত্য আসি যাই,
আকুল হয়ে চেয়ে থাকি
যদি দেখা পাই ।
হাঁটছো তুমি বারান্দাতে
কফির কাপ হাতে,
দীঘল কালো চুল যে তোমার
দোল খায় হাওয়াতে ।
তোমার পানে চেয়ে থেকে
কাটে আমার ক্ষণ,
উদাস হাওয়া কাছে টানে
অধৈর্য হয় মন ।
তোমার নীরব ছোটাছুটি
ঢেউ খেলে মনে,
কতো শত স্বপ্নগাথা
রচি নির্জনে!
হতাম যদি গো কবিরাজ,
করতাম যে তাবিজ;
তোমার জন্য লাগাতাম যে
কতো না উদ্ভিজ!
গাছে গাছে লিখে রাখতাম
তুমিই আমার প্রাণ,
তোমার মাঝেই সুপ্ত আমার
সকল উপাক্ষান ।
ভুলে যেও না প্রাণের সখি
দিও আমায় আশ্রয়,
তোমার দ্বারে মরণ হলেও
ওটাই ত্রিদশালয় ।
৩০ ফাল্গুন ১৪২২ বঙ্গাব্দ
ভালুকা, ময়মনসিংহ ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৫৩