মানুষ চিরপথিক। পথ চলাতেই আনন্দ অপরিসীম। দেশ দেশান্তরে ভ্রমণ করেই মানুষ সৌন্দর্য পিপাসু মনের খোরাক যোগায়। কবি নজরুলের ভাষায়-“ দূর্গম গিরি-কান্তার মরু-দুস্তর পারাপার, লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশিতে যাত্রীরা হুশিয়ার ”। পাহাড়-পর্বত, সাগর-নদী-বন-বনাঞ্চল পাড়ি দিয়ে দেশ দেশান্তরে ছুটে চলেছেন যুগেযুগে যাঁরা পর্যটক-
পর্যটন যুগেযুগে হয়ে আছে ইতিহাস
ইবনেবতুতা, হিউয়েনসাঙ, ভাস্কোডাগামা, মেঘাস্থিনিস,
পর্যটনের ইতিহাসে বিখ্যাত পর্যটক,
বিশ্বে আজ পর্যটন শিল্প রুপে খ্যাত,
অর্থনীতির উৎস হয়ে আছে
অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনার আকাঙ্খায় মানুষের মন সদাই উন্মুখ। মুক্ত বিহঙ্গের মত ডানা মেলে মন ছুটে যেতে চায় সীমানা ছাড়িয়ে। অজানা রহস্যই মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। তাই মানুষ এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ছুটে যায়, একদেশ থেকে অন্যদেশে। প্রকৃতির দান আমাদের বাংলাদেশ।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতপ্রকৃতির অপরুপ শোভায় সুশোভিত। সাগর মেঘলা-গিরি কুন্তলা, রুপোলী সৈকতের অনন্য বিশ্ব নন্দিত সমুদ্র সৈকত। পীর আউলিয়ার পূণ্যভূমি বীরচট্টলার লীলা নিকেতন কক্সবাজার সারা বিশ্বের¦ দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত । কক্সবাজার আমাদের গর্বের ধন, আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যত, অর্থনৈতিক মুক্তির দিশারী। কক্সবাজার হাতছাানি দিয়ে বিশ্ববাসীকে কাছে ডাকছে । ১৯৭১ সনের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কক্সবাজারের ঐতিহ্য বহু ঘটনা আজ কালের স্বাক্ষী ও স্মরণীয় হয়ে আছে।
কক্সবাজার জেলার নাম করণ:- ১৮৫৪ সালে কক্সবাজার মহকুমা। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চে কক্সবাজার জেলা। স্বাস্থ্যকর সমুদ্র সৈকত জেলা কক্সবাজার নৈসর্গিক দৃশ্য বড়ই মনোমুগ্ধকর।
লেখকের সংগৃহিত তথ্য মতে-
কক্সবাজারের আবহাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য বড়ই চমৎকার,
কক্সবাজারের আদিনাম ছিল “ পালংকী, পাংওয়া,
অংখেচ্ছা, বাকোলিয়া, বাকোলী, পালোয়ানচী ” নাম ছিল হেথাকার
ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানীর
হিরামকক্স নামে সেনা ক্যাপটেন আসেন কক্সবাজার,
হিরামকক্স বঙ্গোপসাগরের পাড়ে গড়েন বাজার
ক্যাপটেন হিরামকক্সর নামকরনে হয়েছে কক্সবাজার
সারা দেশের মানুষ যত লবণ খায়-
প্রায় সব লবণ কক্সবাজারে উৎপন্ন হয়।।
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানঃ হিমছড়ির প্রাকৃতিক ঝর্ণা। ইনানী ও টেকনাফ সমুদ্র সৈকত। রামুর বৌদ্ধ মন্দির। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। ভাসমান দ্বীপ সোনাদিয়া। বিরল পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালী। আদিনাথ মন্দির। টেকনাফের মাথিনের কুপ। কুতুবয়িার বাতিঘর। মহেষখালী জেটি। কক্সবাজারের রাডার ষ্টেশন। রামুর রাবার ও নারকেল বাগান। আনবিক শক্তি কমিশনের বালি আহরণ কেন্দ্র। সীমান্ত শহর টেকনাফের উত্তুঙ্গ পাহাড়। উত্তুঙ্গ পাহাড়ের চূড়া নদী পৃষ্ঠ হতে প্রায় দেড় হাজার ফুট উচুঁ। মাথা ছুঁইছুঁই মেঘমালা। নৈসর্গিক সৌন্দর্য ঘেরা, দিগন্তজোড়া বনময় সুউচ্চ পর্বত শৃঙ্গ। নীচেই বিশাল নাফ নদীর সর্পিল স্রোতধারা । সবুজ শ্যামল প্রান্তর, মাথার উপর নীলাকাশ। আঁকাবাঁকা পিচঢালা পথ। মাঝেমাঝে জনবসতি সাজানো গোছানো সব।
আরও দেখতে যা ভাল লাগেঃ
নাফ নদীর পূর্বপাড়ে উত্তুঙ্গপাহাড় বেষ্টিত মিয়ানমার রাজ্য। উত্তুঙ্গপর্বত চূড়ায় ঐতিহাসিক কয়রাপরীর টংকি। কেউবা বলে কায়াপরীর টংকি। টেকনাফে প্রেমের নিদর্শন ঐতিহাসিক মাথিনের কুপ। পাহাড়ের গা বেয়ে ছন্দাবতী ঝর্ণা। দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে বিশাল সমুদ্রসৈকত সাথেই দিগন্ত বিস্তৃত বঙ্গোপসাগর। ঢেউয়ের মালা উপচে পড়ছে, মনে হয় যেন ডুকরে কাঁদছে। অপরুপ রুপনগরী টেকনাফ। অদুরেই জলকন্যা সেন্টমার্টিন,শাহ্পরীর দ্বীপ, সাগর জলে ডুবুডুবু বদরমোকাম । নারকেল আর সুপারী বাগানের দৃশ্য পর্যটককে বিমোহিত করে। নাইটংয়ের চূড়া থেকে দেখা যায় নাফনদীর অপরুপ জলতরঙ্গ রাজি। বিচিত্র শোভায় সুশোভিত কক্সবাজার। তাইতো কক্সবাজারের রুপ সৌন্দর্যের টানে ছুটে আসেন সারা বিশ্বের ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা।
“ কবি গুরুর সোনার বাংলা- কবি নজরুলের বাংলাদেশ-
জীবনানন্দের রুপসী বাংলা- রুপের যেথা নাইকো শেষ ”
সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে কক্সবাজার ঃ বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে বাংলা একাডমী, শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমী সহ সকল প্রতিষ্ঠান গুলির শাখা গড়ে তুলতে হবে কক্সবাজারকে ঘিরে। বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান গুলির ডকুমেন্টরী ফ্লিম তৈরী করে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ভিডিও ক্লাবের মাধ্যমে প্রদর্শন করলে দেশী-বিদেশী পর্যটকরা আকৃষ্ট হলে প্রচুর আয় হবে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে উন্নতির সোপান হতে পারে ।
দ্বীপনগরী কক্সবাজার:
প্রকৃতির লীলা ভুমি। ৮টি দ্বীপমালায় ঘেরা কক্সবাজার জেলা। চারদিকে সাগর-নদীতে ঘেরা। কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মাতারবাড়ী, সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া, শাহ্পরীর দীপ,করিয়ারদিয়া, তোতাদিয়া। শাহ্পরীর দ্বীপ বর্তমানে মূল ভূ-খন্ডের সাথে একীভূত। বাংলাদেশকে বলা হয় প্রকৃতির কন্যা। ১২কিমিঃ দৈর্ঘের সেন্টমার্টিন দ্বীপ প্রকৃতির লীলানিকেতন। এ দ্বীপের মনোরম পরিবেশ দেশী-বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম গড়ে তুলতে পরিবেশ মন্ত্রনালয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় সেন্টমার্টিন মেরিনপার্কে ৫০শয্যাবিশিষ্ট পরিবেশ বান্ধব হোটেল নির্মাণ। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াতের জন্য সমুদ্রগামী ফেরিবোট সার্ভিস চালু, মেরিনপার্ক ¯থাপন, গ্লাস বোটের মাধ্যমে পর্যটকদের সমুদ্র তলদেশের জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী দেখানো, দ্বীপের পানি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য টাওয়ার স্থাপন, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা চালু, সামুদ্রিক প্রাণীদের জাদুঘর স্থাপন, গবেষকদের গবেষনার ব্যবস্থা করণ। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপের পরিবেশ রক্ষার দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করে প্রবাল দ্বীপকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুললে বিদেশীরা আকৃষ্ট হবে। অর্থনীতির সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।
কবি কাদের নেওয়াজের ভাষায়-
“ পদ্মা যমুনা মধুমতি আর-মেঘনার মালা কন্ঠে পরি-
দাঁড়ায়ে রয়েছে সুজলা দেশ- সেই দেশে বাস আমরা করি ”
পর্যটন শিল্পে আমরা পিছিয়ে ঃ কক্সবাজার প্রকৃতির অপরুপ দান । প্রকৃতির রুপ-রস-গন্ধে বিমোহিত হয়ে গজনীর সুলতান মাহমুদ ১৭বার ভারতবর্ষ আক্রমন করেছিলেন। কক্সবাজার বিশ্বের পর্যটকদেরকে কাছে নিয়ে প্রকৃতির শোভা উজার করে দেয় । বিশ্বে পর্যটন শিল্পে সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হল্যান্ড, ভারত, মিশর,মালেশিয়া, সিংগাপুরের অবস্থান শীর্ষে। ঐসব দেশের তুলনায় পর্যটন শিল্পে আমরা পিছিয়ে।
কক্সবাজারের নৈসর্গিক দৃশ্য:
আকিঁয়া বাঁকিয়া সর্পিলরুপে মাতামহুরী, বাঁকখালী, বেজু কোহালিয়া ও বার্মা সীমান্ত নাফ নদী, কক্সবাজারকে ঘিরে বহিতেছে নিরবধি। আমাদের ভূ-খন্ডের বিরাট অংশ জুড়ে নৈসর্গিক অবদান। সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও বিশ্ব নন্দিত খুলনার সুন্দরবন। বিশ্বদরবারে সপ্তমাশ্চর্যে স্থান করে নিতে চলছে ভোটাভুটি। সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও সুন্দরবন এ ভোটাভুটিতে অনেকদুর এগিয়ে। কক্সবাজার থেকে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য লক্ষনীয় । কুয়াকাটা থেকে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দুটিই দেখা যায়।
শিল্পে কক্সবাজার:
কক্সবাজারে প্রায় ৪০হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদিত হয়। দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রফতানীর সুযোগ রয়েছে। কক্সবাজারের চাল শিল্প থেকে শত কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।
কক্সবাজারের কৃতি সন্তান :
“কক্সবাজারের কৃতি সন্তান যাঁরাÑ একাত্তুরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ও স্ব স্ব ক্ষেত্রে খ্যাতিমান তাঁরা” – বুদ্ধিজীবি, কবি- সাহিত্যিক ও সাংবাদিকতা সহ নানা পেশায় পরিচিত যাঁরা – আবদুর রশিদ সিদ্দিকী, নসরুল্লাহ্ খাঁ, শেখ মনছুর আবদুল আলী, মুজিবুল্লাহ্, তমিজি, আমির মোহাম্মদ সিকদার, মোজহেরুল হক, নতুনচন্দ্র দে, মেহের আলী, শাইমুম শমসের, শহীদ সাবের, মাওলানা ছিদ্দিক আহমদ, মাওলানা মুজহের আহমেদ, অধ্যক্ষ স, আ, ম, শামসুল হুদা চৌধুরী, কবি নূরুল হুদা প্রমুখগন।
প্রকৃতির লীলাভূমি বাংলাদেশ। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়পর্বত, জলপ্রপাত এ দেশকে করেছে অপূর্ব রুপময়, নয়নাভিরাম। সাগর যেথায় পাহাড়ের পা ধুয়েধুয়ে বইছে নিরবধি। নদী তার কটিদেশ, গলায় মেঘনা ও চন্দ্রহারের মত শোভা পাচ্ছে। মাঠের শ্যামলিমা তাকে শাড়ীর মত ঘিরে রেখেছে এবং সবুজ বনরাজি তার শিরে মুকুট পরিয়ে দিয়ে রানীর সাজে সাজিয়েছে কক্সবাজারকে।
কবি বলেছেন-
“ এমন স্নিগ্ধ নদী কাহার ? কোথায় এমন ধুম্র পাহাড় ?
কোথায় এমন হরিৎ ক্ষেত্র-আকাশ তলে মেশে ?
এমন ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যায়- বাতাস কাহার দেশে ?”
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি করতে ক’টি সুপারিশঃ
১। কক্সবাজারকে “পর্যটন নগরী ” হিসেবে সরকারী ঘোষনা, জাতীয় মসজিদের আদলে ১টি মসজিদ নির্মাণ, রেল যোগাযোগ স্থাপন করা, ৪লেন বিশিষ্ট রাস্তাঘাট,বহুতল বিশিষ্ট সুপার মার্কেট নির্মাণ সহ আগামী ১০০বছরের মাষ্টার প্রনয়ন ।
২। বহিবিশ্বের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবন এ ১টি “ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর” নির্মাণ করা যেতে পারে ।
৩। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস,শিল্প,সাহিত্য-পাহাড়ী-বাঙ্গালীর সং¯কৃতি, ঐতিহ্যকে বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে।
৪। পর্যটকদের নিরাপত্তা সহ উদ্ধার জাহাজ, স্পীডবোট, লাইফ সাপোর্ট রাবার টিউব অধিক পরিমাণে ভাসমান রাখতে হবে।
৫। আমাদের জাতীয় খেলা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে ক্রিকেট,ফুটবল, দেশীয় খেলার স্টেডিয়াম কক্সবাজারে নির্মাণ করণ।
৬। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নদীপাড়, সাগরপাড় তীর সংরক্ষণ সহ সমুদ্র সৈকত ঘিরে শিশুপার্ক,বনায়ন করা যেতে পারে।
৭। সার্ফার জাফরের সার্ফিং জলক্রীড়া “ বাংলাদেশ সার্ফ ক্লাব” কে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুললে বিদেশীরা আকৃষ্ট হলে এ খাত থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে।
৮। “ইন্টারন্যাশনাল কোষ্টাল ক্লিনআপ” সৈকত পরিচ্ছন্নতা দিবস নিয়মিত পালন করা জরুরী।
কবি দিজেন্দ্র লাল লিখেছেন-
“ ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা-
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা ”
সব কিছু মিলে “ কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্র ” আমাদের জাতীয় আয়ের বৃহৎ অংশে প্রবেশ করবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জাতীয় প্রতিষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্র, নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে সরকারের সাথে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্ব রয়েছে। সরকারের পক্ষে একা কিছুই করা সম্ভব নয়। সরকার ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরী। “ কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন ” প্রতিষ্ঠাকল্পে সরকার সহ সম্মিলিত মেধার বিকাশ ঘটিয়ে প্রকৌশলগত প্রযুক্তির সমন্বিত বিনিয়োগ প্রয়োজন। কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যটন হিসেবে গড়তে পারলে, পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন হবে ও অর্থনীতির ভিত্ সুদৃঢ় হবে।
আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হলেঃআন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হলেঃ
বিশ্বময় যোগাযোগের ক্ষেত্রে কক্সবাজারে ১টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপন জরুরী। বিদেশী পর্যটকগন সরাসরি কক্সবাজারে অবতরন করতে পারলে বিদেশী পর্যটকের আগমন বাড়বে। অর্থনীতির নূতন ধারা সৃষ্টি হবে। “ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ” জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টি হবে।
আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোনঃ
বিশ্বের প্রায় ১২কোটি মানুষ পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত। বিশ্ব বানিজ্যের শতকরা ৫ভাগ, বিশ্বের মোট উৎপাদনের শতকরা ১ভাগ, বিশ্বের প্রায় ১০০মিলিয়ন ডলার আয় হয় এ খাত থেকে। কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের উন্নতি হলে-আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপন, নতুন কর্মসংস্থানের ফলে বেকারত্ব হ্রাস, জাতীয় আয় বহুগুনে বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, সরকারী রাজস্ব বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সম্পদের উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্প্রীতি দৃঢ়করণ। ভুমি ও সমুদ্র সৈকতের যথাযথ ব্যবহার ও সম্পদ সুরক্ষা হবে। জাতীয় উন্নয়নের সুতিকাগার হিসেবে “ কক্সবাজার পর্যটন শিল্প ” সারা বিশ্বে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারবে।
পরম করুনাময় আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টিতে যে কত রহস্য রেখেছেন সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার তার এক প্রমাণ। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমুন্নত করে বিশ্ব দরবারে পৌঁছাতে হবে। কক্সবাজার পরিকল্পিত পর্যটন শিল্পই বদলে দিতে পারে আমাদের জাতীয় অর্থনীতি। কক্সবাজারকে বিশ্ব প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে ১ম স্থান ও সুন্দরবনকে ২য় স্থানে পৌঁছাতে সকল প্রবাসী বাঙ্গালী ও দেশবাসীর প্রতি আহবান আসুন আমরা ডডড.হব৭িড়িহফবৎং.পড়স. এর মাধ্যমে ভোট দিয়ে কাঙখিত “ নব দিগন্ত” উন্মোচন করি। কক্সবাজার ও সুন্দরবন সপ্তাশ্চার্য রুপে আবির্ভূত হওয়ার কিছু ভোট বাকী । অদুর ভবিষ্যতে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ও সুন্দরবন বিশ্বের সেরা পর্যটন রুপে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে, এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা সেদিনের প্রতীক্ষায় থাকলাম।
তথ্য সূত্রঃ
১। উচ্চতর বাংলা ভাষারীতি,
২। বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার তথ্য / সম্পাদকীয় কলাম থেকে।
৩। সাংবাদিক আতাহার ইকবাল এঁর লেখা কক্সবাজার জেলার “তথ্য।
৪। মাষ্টার শাহ্ আলম এর লেখা উপন্যাস “ মাথিনের প্রেম ” ,
৫। জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকা থেকে প্রাপ্ত তথ্য ।
৬। বিভিন্ন টিভি মিডিয়া থেকে কক্সবাজারের প্রাপ্ত তথ্য ।
৭। জাতীয় পত্রিকা প্রথম আলোর ২৯/৮/০৯ ক্রোড়পত্র থেকে সার্ফিং এর প্রাপ্ত তথ্য ।
৮। অধ্যাপক, নিরজ্ঞন অধিকারীর “ পত্র ভাষণ প্রতিবেদন ্র” থেকে প্রাপ্ত তথ্য ।
ডাঃ মোঃ আব্দুর রউফ মিঞা
উচ্চমান সহকারী, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সদস্য, বাংলা একাডেমী।
ডি.এইচ.এম.এস (বিএইচবি),ঢাকা।
লেখকঃ বঙ্গবন্ধু সেতুর ইতিকথা – ২০১৫, তিস্তা প্রকল্পের ইতিকথা – ১৯৯৮
মুঠোফোনঃ ০১৭১৪-৭৪১৫২৩
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬